মন্তব্য কলাম
নিহতদের মধ্যে শুধু আন্দোলনকারীই নয় বরং গণমাধ্যমের হিসেব অনুযায়ী অধিকাংশ সাধারণ মানুষ প্রশ্ন হল- রাষ্ট্র কী এভাবে সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করতে পারে? অপরদিকে সচেতন নাগরিক কী এরূপ সহিংসতা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাঙচুর-লুটপাট করতে পারে? (পর্ব-১)
, ২৩ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০১ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
সহিংসতা নিয়ে একদম নীরব- এরূপ কোনো গণমাধ্যম নেই। তবে প্রায় সব গণমাধ্যম বিশ্লেষণ করে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন যে নিহতদের মধ্যে বেশীর ভাগই সাধারণ মানুষ।
হৃদয় আহমেদ শিহাব বাড্ডা লিংক রোডের একটি ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী। গত ১৯ জুলাই শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় বাসা থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে দোকানে যাচ্ছিলেন। এ সময় লিংক রোডে কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। হঠাৎ গুলিবিদ্ধ হয়ে শিহাব লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিহাবের পরিবারের দাবি, তিনি কখনো রাজনীতি করতেন না। অল্প বেতনে চাকরি করতেন, পরিবারের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।
ওইদিন একইভাবে মারা গেছেন একটি গার্মেন্ট কারখানার কর্মচারী জাকির হোসেন। অফিসের জন্য কিছু মালামাল কিনতে টঙ্গী বাজার যাওয়ার সময় রাজধানীর আবদুল্লাহপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। যখন তার শরীরে গুলি লেগেছিল ঠিক তখন জাকির তার মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন।
এই দুজনের মতোই সহিংসতায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শত শত মারা গেছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে তাদের বেশিরভাগই পথচারী। এ ছাড়া আছে শিশু, শিক্ষার্থী, দিনমজুর, দোকান কর্মচারী। তাছাড়া পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকও আছেন নিহতদের তালিকায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের তালিকা থেকেও এমন ধারণা স্পষ্ট হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল সূত্র জানায়, গত ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ ও শারীরিক আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয়েছে এমন ৭৪ জনের তালিকা আছে সেখানকার মর্গে। নিহতদের বেশিরভাগই ঢাকা মহানগর ও কাছাকাছি এলাকায় সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন। মর্গের ওই তালিকা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, নিহতের মধ্যে ৪৮ জন পথচারী, আটটি শিশু, শিক্ষার্থী তিনজন, পুলিশ একজন ও সাংবাদিক একজন। বাকি ১৩ জনের মধ্যে আটজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। পাঁচজনের নাম পেলেও বিস্তারিত পরিচয় নেই।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের বেশিরভাগই পথচারী। গত ১৯ ও ২০ জুলাই সংঘর্ষের সময় বিভিন্ন কাজে বের হয়ে বা কাজ শেষে ঘরে ফিরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন কেউ কেউ। আবার কেউ কেউ সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বাসাবাড়িতে বসেও অনেক নিরীহ মানুষও গুলিবিদ্ধ হন। বাড্ডায় আট বছরের শিশু ইমন রাস্তায় সংঘর্ষ দেখতে গেলে তার পায়ে গুলি লাগে। এক পা স্বাভাবিক হলেও আরেক পা ভালো না হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। রিকশাচালক সাগরও যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন। বাড্ডা লিংক রোডে সংঘর্ষ দেখতে এসে গুলিবিদ্ধ হন জাকির হোসেন। তার বাম পায়ের ঊরুর নিচের অংশের হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়ে গেছে। তিনি একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন। এমন অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে বসে আছেন। এ ছাড়া ময়মনসিংহের শিমুল আহম্মেদ, কুমিল্লার নাসির উদ্দিন, ঝালকাঠির আবির, শরীয়তপুরের মেহেদী, নড়াইলের শীতল, ভোলার সিফাত, মাদারীপুরের নেসার উদ্দিন, বরগুনার ছাত্রলীগের কর্মী কাওসার, পুলিশ সদস্য রাসেল ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঢাকা মেডিকেলের মর্গের তালিকার বাইরেও আরও একজন সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও দুজন পুলিশ নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। মর্গের তালিকা অনুযায়ী, যাত্রাবাড়ী এলাকায় সহিংসতায় মৃত্যু বেশি। টানা পাঁচ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ যাত্রাবাড়ী থেকে ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়ে নারায়ণগঞ্জের মৌচাক পর্যন্ত। গত ১৮ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত এই এলাকায় ৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৮ জন পথচারী, ছয় শিশু, একজন শিক্ষার্থী, দুজন পুলিশ ও একজন সাংবাদিক। এরপর বেশি নিহত হয়েছে বাড্ডা, রামপুরা ও ভাটারা এলাকায়। এ এলাকায় নিহতের সংখ্যা ১১। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী ও বাকি ১০ জন পথচারী। সায়েন্স ল্যাব, নিউ মার্কেট ও আজিমপুর এলাকায় নিহতের সংখ্যা ছয়। তাদের মধ্যে পথচারী চারজন, শিক্ষার্থী একজন ও শিশু একটি। মোহাম্মদপুর-বসিলা এলাকায় মারা গেছে তিনজন। তাদের মধ্যে একটি শিশু, বাকিরা পথচারী। পল্টন ও মিরপুরে দুজন করে চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন পথচারী। একজন মারা গেছেন সংঘর্ষের সময় ছোড়া গুলি বাসায় ঢুকে।
স্বীকৃত মতে- উত্তরায় মারা গেছেন ১১ জন। এ এলাকায় গাজীপুরে সাবেক মেয়রের সহকর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন চিকিৎসকও আছেন। তিনি তার ভাইকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মারা গেছেন।
গাজীপুরে মারা গেছেন চারজনই পোশাক শ্রমিক। তারা কারখানায় আসা-যাওয়ার সময় মারা গেছেন।
ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা সাভারে দুই শিক্ষার্থীসহ ১০ জন মারা গেছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলায় সহিংসতায় এক শিশু ও আট শ্রমিক মারা গেছেন। সংঘর্ষের সময় ছোড়া গুলি লেগে শিশুটি নিহত হয়েছে বাসার ছাদে।
নিহতদের মধ্যে বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ আছে। তাদের স্বজনরাও দাবি করেছেন, তারা সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে অথবা দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে বা আঘাত পেয়ে মারা গেছেন। তারা হলেন নিরাপত্তাকর্মী ছাদেক আলী, গাড়িচালক বাচ্চু, মাছ ব্যবসায়ী ওয়াসিম, ফল ব্যবসায়ী নাজমুল, রাজমিস্ত্রি গনি শেখ, ডেলিভারিম্যান সোহাগ, দোকান মালিক মোবারক, হোটেল কর্মচারী আরিফ, শান্ত। সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে শিশু আল আমিন, দোকান কর্মচারী রানা, ফারুক ও বাসার ছাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিশু রিয়া ঘোষ মারা গেছে। ইন্টারনেট দোকানের কর্মচারী সাজিদুর রহমান, বিক্রয়কর্মী শাজাহান, গার্মেন্টস শ্রমিক জামান মিয়া, ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ওমর ফারুক, মুদির দোকানের কর্মচারী সাইমন, টেইলার্স দোকানের কর্মচারী জাকির হোসেন ও গাড়িচালক সোহেল রানা সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে বা সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেলসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েক হাজার লোক। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পথচারী।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, চার শিক্ষার্থীসহ ছয়জন মারা গেছেন। বাকি দুজন পথচারী।
এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন তান্ডব আর হয়নি। দেশকে রক্ষা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অ্যাকশনে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। ওই সময় অনেকে মারা গেছেন তা সত্য। আমরাও তথ্য পাচ্ছি, নিরীহ লোকজনও মারা গেছেন। ’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পুঁজি করে তৃতীয়পক্ষ (বিএনপি-জামায়াত) তান্ডব চালালেও তাদের কোনো নেতা বা কর্মী হতাহত হয়নি। তারা ছিল প্রশিক্ষিত। তারা এমনভাবে ছিল, সংঘর্ষ হলেও তাদের শরীরে আঁচড়ও লাগেনি। মাঝে নিরপরাধ লোকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। ’
পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘সহিংসতার ধরন দেখলেই বোঝা যায়, শিক্ষার্থীরা এই কাজ কিছুতেই করতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত এসব অপকর্ম করেছে। তারা পুলিশকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে। তিন পুলিশকে মেরে ফেলেছে। অসংখ্য পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই দুটি দলের গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীরাও তান্ডবের কথা স্বীকার করেছেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। উসকানিদাতাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। ’
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দাঙ্গা দমনের সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম ও আইন আছে যেগুলো সারা বিশ্বে মেনে চলা হয়। সেই নিয়ম বাংলাদেশের এবারের বিক্ষোভ দমনের ক্ষেত্রে মানা হয়নি বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তারা বলেন, ‘পুলিশ শুট টু কিল’ করেছে। ফলে এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন, ‘এই ধরনের আন্দোলন বিশ্বের সব জায়গায় হয় এবং পুলিশের দিক থেকে যে গুলি করা হয় সেটা সাধারণত কোমরের নিচ থেকে পায়ের দিকে হয়। তাতে দুই একটি ইনসিডেন্ট হতে পারে। কিন্তু এখানে বাংলাদেশের কোনো পুলিশকে নিচে গুলি করতে দেখা যায় না। ’
তারা আরো মন্তব্য করেন, ‘ট্রিগার হ্যাপি হয়ে... মানে আমার কাছে বন্দুক আছে, মার এই মনোভাব থেকে মেরেছে এবং সেগুলো বুক, চোখ-মুখ লক্ষ্য করেই মেরেছে। এক নম্বর হলো, এখানে যেটা করার কথা না সেটা করেছে (পুলিশ)। দুই নম্বর হলো, পুলিশ যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে সেগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেওয়া হয় না। ’
অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘এই সহিংসতায় সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যে এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে সেই এলাকাগুলোতে ভাসমান মানুষ বেশি ছিল। যাদের টাকা বা দলীয় পোস্ট পজিশনের প্রলোভন দিয়ে সহিংসতায় ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধ বয়সের মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কেউ কেউ না বুঝেই অগ্নিসংযোগ করেছেন। আবার কেউ কেউ সংঘর্ষ দেখতে জামায়েত হয়ে আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাই এই সংঘর্ষে রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীর চেয়ে সাধারণ মানুষ বেশি মারা গেছেন। ’
মানবাধিকারকর্মী ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এই ধরনের হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা অবর্ণনীয়, অগ্রহণযোগ্য ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন তাদের আইনের আওতায় না এনে ন্যায্য দাবি তুলে আন্দোলন করা ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো। এগুলো বিস্ময়কর। ’
(ইনশআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার ৪০ ট্রিলিয়ন ডলার। সুবিশাল এই বাজারে প্রবেশে অনেকটাই ব্যর্থ বাংলাদেশ। মান নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নত পণ্য ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশও এই সুবিশাল বাজার ধরতে পারে সরকারের উচিত- হালাল পণ্য উৎপাদন রফতানিতে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা এবং মুসলিম বিশ্বের বাজার ধরতে কুটনৈতিক তৎপরতা চালানো।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)