নবজাতক শিশুর তাহনীক করা সুন্নত
, ২৩ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০১ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
সন্তান জন্মগ্রহণ করলে শিশুকে ধুয়ে পরিস্কার করে কাপড় দিয়ে জড়িয়ে কোন বুযূর্গ ব্যক্তির নিকট নিয়ে যেতে হবে। তিনি শিশুর ডান কানে আযানের লফ্জ বা শব্দগুলি এবং বাম কানে ইক্বামতের লফ্জ বা শব্দগুলি বলবেন। এটাকে তা’যীন বলা হয়। এটা খাছ সুন্নত মুবারকের অর্ন্তভুক্ত। অনুরূপ তাহনীক করাও খাছ সুন্নত মুবারকের অর্ন্তভুক্ত। অর্থাৎ কোন বুযূর্গ ব্যক্তি খেজুর চিবিয়ে অথবা শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা মধু নিয়ে নিজের জিহ্বায় লাগিয়ে নবজাতকের মুখের ভিতর তালুতে লাগিয়ে দিবেন, যাতে বাচ্চা শিশু চুষে চুষে খেতে পারে।
তাহনীক সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে অনেক বর্ণনার উল্লেখ রয়েছে। তন্মধ্যে একখানা বর্ণনা হচ্ছে যে,
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আসমা বিনতে হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমি পবিত্র মক্কা শরীফে অবস্থান করাকালীন সময়েই হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আমার রেহেম শরীফে তাশরীফ আনেন।
যখন রেহেম শরীফে অবস্থানের সময় পূর্ণ হলো। এমতাবস্থায় আমি পবিত্র মদীনা শরীফে চলে আসলাম এবং কুবাতে অবস্থান করলাম। সেই কুবাতে থাকতেই হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি দুনিয়াতে তাশরীফ আনলেন।
অতঃপর উনাকে নিয়ে আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে উপস্থিত হলাম। উনার মুবারক কোলে উনাকে দিলাম।
অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খেজুর আনতে বললেন। (খেজুর আনা হলো) তিনি তা চিবিয়ে খুবই নরম করলেন। অতঃপর উনার মুখ মুবারকে উনার নূরুল বারাকাত বা লালা মুবারক দিলেন।
অর্থাৎ নবতজাতক শিশুর মুখ মুবারকে সর্বপ্রথম যা প্রবেশ করলো তা হচ্ছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল বারাকাত মুবারক। তারপর সেই চিবানো খেজুর দ্বারা ‘তাহনীক’ করলেন। অতঃপর বরকতের জন্য দোয়া মুবারক করলেন।
(সম্মানিত হিজরতের পর) তিনি ছিলেন সম্মানিত দ্বীন ইসলামে সর্বপ্রথম জন্মগ্রহণকারী সন্তান। তাই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। কেননা উনাদেরকে বলা হতো যে, ইহুদীরা আপনাদেরকে যাদু করেছে, তাই আপনাদের কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করেন না। (মুসনাদে আহমদ)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৩)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘কিস্সা’
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (২)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন বিভিন্ন প্রকারের সুন্নতী খাবার ‘খেজুর’
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (১)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন মাথায় ব্যবহার করার সুন্নতী ‘কেনায়া’
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইমামাহ বা পাগড়ী পরিধানের মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন কালোজিরা ও কালোজিরার তেল
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার মধু
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী লিবাস ‘জুব্বা’
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার মাঠা (লাবান)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাদ্য ‘যব’
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)