দ্বীনি পরিবেশ ছাড়া দ্বীন ইসলাম পালন করা কঠিন (২)
, ১৫ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৬ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত
শুধু ইফতার মাহফিল নয়, অনেক সুন্নতী ফলের মধ্যেও দ্বীনি সুবাস থাকলে তার বিরোধীতা করে ইসলামবিদ্বেষীরা। যেমন- রোযার মাস আসলেই বলে- “খেজুর খাওয়া লাগবে কেন? বরই খেলেই তো হয়। নবীজির যুগে আরব দেশে যদি বরই থাকতো, তবে বরই খাওয়াই সুন্নত হতো। ”
আশ্চর্য! ইসলামবিদ্বেষীরা জানেই না, আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে আরবে বরই গাছ ছিলো। এবং হাদীছ শরীফে বরই গাছের কথা পাওয়া যায়। কেউ মারা গেলে গোসল করানোর জন্য বরই পাতার পানি ব্যবহার করা হয়, এই নির্দেশনা হাদীছ শরীফ থেকেই পাওয়া যায়। আর যেহেতু ইফতারিতে আখেরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খেজুর গ্রহণ করেছেন, তাই খেজুর খাওয়া সুন্নত। আর সুন্নত পালনে সর্বাধিক দ্বীনি পরিবেশ ও জযবা সৃষ্টি হয়। আর তাতে বাধা দিতে ইসলামবিদ্বেষীরা নানান যুক্তি তর্ক দেয়।
শুধু যে ইফতার মাহফিল বা খেজুরের মধ্যে দ্বীনি সুবাস রয়েছে বিষয়টি এমন নয়। ভাষার মধ্যে দ্বীনি পরিবেশ বিস্তার করে। যেমন- সম্প্রতি ইসলামবিদ্বেষীরা মাশাআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাল্লাহ এই শব্দগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের দাবি হচ্ছে, এই বিদেশী শব্দগুলো বাংলা ভাষায় জোর করে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
আসলে তাদের মূল লক্ষ্য, বাংলা ভাষা প্রতি মুহব্বত নয়, ভাষা নিয়ে যদি সমস্যা হতো, তবে বাংলা ভাষায় প্রতিনিয়ত যে অসংখ্য ইংরেজী শব্দ প্রবেশ করছে, সেটা নিয়ে তারা আগে কথা বলতো। কারণ নতুন প্রজন্ম তো ইংরেজী মিশ্রন ছাড়া কথাই বলতে পারে। কিন্তু সেটার বিরুদ্ধে তারা কিছু বলছে না। তারা বলছে, মাশআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাল্লাহ শব্দগুলো নিয়ে। কারণ এই শব্দগুলোর মধ্যে দ্বীনি সুবাস আছে, এই শব্দগুলো উচ্চরণের মাধ্যমে দ্বীনি পরিবেশ তৈরী হয়, দ্বীনি জজবা তৈরী হয় যা তাদের পছন্দ না।
একইভাবে দেখবেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরুর গোশত খেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, “গরুর গোশত না খেয়ে মুরগীর গোশত খান। আপনি গরুর গোশত খেলে পাশের হিন্দু ছেলেটি কষ্ট পাবে। আজকে যদি হিন্দু ছেলেটি আপনার পাশে বসে শুকরের গোশত খায়, তবে কি আপনি কষ্ট পাবেন না?”
‘হিন্দু ছেলে কষ্ট পাবে বলে মুসলমানরা গরু খাওয়া বাদ দিবে’ এটা একটা ফালতু কথা। হিন্দুরা মূর্তি পূজা করলে মুসলমান কষ্ট হয়, তাই বলে কি হিন্দুরা মূর্তি পূজা বন্ধ করে দেয়? আর গরুর গোশত খাওয়া শুধু ইসলামী সংস্কৃতিই না, বরং বাঙালী সংস্কৃতির অংশ। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশে এই সংস্কৃতি চলে আসছে, যার কারণে কুরবানীর ঈদে বাংলাদেশে এত বিপুল পরিমাণে গরু কুরবানী হয়।
-মুহম্মদ গোলাম ছামদানী (লেখক ও গবেষক)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)