দেশ পরিচিতি: কাতার (১)
, ২৭ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২০ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২০ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পাঁচ মিশালী
কাতার মধ্য প্রাচ্যের আরব দেশ গুলির মধ্যে সবচেয়ে ছোট দেশ যা পারস্য উপসাগরের উপকূলে অবস্থিত। কাতারের দক্ষিণে সৌদি আরব এবং পশ্চিমে দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইন অবস্থিত। আরব উপদ্বীপের মত কাতারও একটি উত্তপ্ত ও শুষ্ক মরু এলাকা। তবে কাতার অর্থনৈতিকভাবে খুবই সমৃদ্ধশালী। পৃথিবীর তৃতীয় প্রাকৃতিক তেল এবং গ্যাস সমৃদ্ধ দেশ কাতার। মধ্যপ্রাচ্যে কাতারের অন্যতম সহযোগী দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিশরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর থেকে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের আলোচনার মূল বিন্দুতে চলে আসে।
কাতারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
কাতার এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। প্রাগৌতিহাসিক কালে কাতারে জনবসতির কোনো চিহ্ন না পাওয়া গেলেও সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থেকে বোঝা যায় মানুষের যাতায়াত ছিল। কাতারে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হত। ফলে বর্ষাকালে এখানে ‘কান্নানিয়ান’ নামের একটি জেলে সম্প্রদায় মাছ ধরতে আসতো। আরবে ইসলামিক যুগ শুরু হওয়ার আগে কাতারও অন্যান্য আরব দেশের মতো ‘শাসানী’ রাজবংশের অধিনস্ত ছিল। তারাই মূলত শাসন করতো কাতারসহ অন্য আরব দেশসমূহকে।
৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে কাতারে শাষণ করতেন বনু তামিম গোত্র। সে সময় সেই এলাকায় বনু তামিম গোত্রপ্রধান ছিলেন, হযরত মুনযির বিন সাওয়া আল তামিমি রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরন করেন এবং ঈমান আনেন। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানা পেলেও উনার ছোহবত ইখতিয়ার করতে না পারার কারণে ছাহাবিয়তের মাক্বামাত হাছিল করতে পারেননি। যাইহোক, হযরত মুনযির বিন সাওয়া আল তামিমি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পরবর্তীতে ওই অঞ্চলে দ্বীন ইসলাম প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
পরবর্তীতে ঊনবিংশ শতকে কাতার নামক আধুনিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা শেখ জসিম বিন মোহাম্মদ আল থানি। একসময় কাতার তুরস্কের অটোমান শাসনাধীনে ছিলো। ১৯শ শতকের শেষভাগ থেকে আল থানি গোত্রের লোকেরা কাতার অঞ্চলটিকে একটি আমিরাত হিসেবে শাসন করে আসছিল। পরবর্তীতে মোহাম্মদ বিন থানি ব্রিটিশদের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করে যার ফলে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে কাতার ব্রিটিশ শাসন অধীনে চলে যায়। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে দেশটি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। প্রায় ১৫০ বছরের ইতিহাসে আজও কাতার থানী পরিবার দ্বারা শাসিত হয়ে আসছে। বিংশ শতাব্দীতেও কাতারের সাধারণ মানুষের জীবিকা ছিলো একমাত্র মাছ ধরা তাই বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত এটি একটি দরিদ্র দেশ ছিল। কাতারের প্রধান ব্যবসা মূলত মাছ ধারা ছড়াও উট ও ঘোড়া পালন, কেনা, বেচা ইত্যাদি। ১৯৪০ সালে প্রথম “দুখান” তেলকূপ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করতে শুরু করে। পরবর্তীতে কাতারে মুক্তার ব্যবসা আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে চীনে কাতারের মুক্তার চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে মাথাপিছু আয়ের হিসেবে কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি। (চলবে)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দিনে তিন কাপ কফি মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি করতে সক্ষম - ক্যানসার-হার্টের মত আত্মঘাতী রোগ-ব্যাধি দূর করে
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম প্রজাতন্ত্রের দেশ সেনেগাল
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সেনেগালে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও ইসলামী আদর্শে নতুন মাত্রা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে আদা
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রাশিয়ার আকাশে দেখা মিললো উজ্জ্বল গ্রহাণুর
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মসজিদের ভেতরে ৫৪০ বছরের পুরনো জিনের মসজিদ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চাঁদের বয়স কত? এক খ- পাথরের মাধ্যমে যা জানা গেল
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পাখির অভয়াশ্রম যে গ্রাম
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বায়ুদূষণ কতোটা ক্ষতিকর, জানালো গবেষণা
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রতিদিন ডাল খেলে যে ৩টি দারুণ উপকার মিলবে
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চাঁদে বসছে ট্রেন লাইন!
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতিদিন কাঁচা মরিচ খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)