দেশে কনসার্ট ও মিউজিক শো : নীতি-নৈতিকতার স্থান কোথায়?
, ০৫ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত
ঢাকার মত একটি জনবহুল শহরে কিভাবে কনসার্টের অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ তা সত্যিই আশ্চর্যের বিষয়। কারণ আপনি একটা ধর্মীয় মাহফিল করতে যান অনুমতি পাবেন না, কোরবানী হাট বসাতে যান, অনুমতি পাবেন না। বলবে- যানজট হবে, মানুষের কষ্ট হবে। কিন্তু কনসার্টের ক্ষেত্রে কেন তা হয় না?
সম্প্রতি ‘কোক স্টুডিও কনসার্ট’ থেকে ফিরে অনেকেই মতামত জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস শেয়ার করেছে। তারা বর্ণনা করেছে, কিভাবে উক্ত কনসার্টে নারী-পুরুষের প্রকাশ্যে অবৈধ মেলামেশা, নোংরামি ঘটনা ঘটে। অশ্লীলতা সকল সীমা ছাড়িয়ে যায়। নারীদেরকে পুরুষের কাধে চড়ে নাচতে থাকে। এছাড়া ইয়াবা, গাজা, সীসাসহ তাবৎ নেশার রাজ্য হয়ে উঠে কনসার্ট প্রাঙ্গন। অনেকে অবশ্য এগুলো তারুণ্যের উচ্ছ্বাস বলে উৎসাহ দিতে চায়। কিন্তু তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আর নোংরামি এক না। নোংরামি নোংরা লোকের কাজ। জাতির ভবিষ্যত তরুণ প্রজন্মের নামে কখনো সেই নোংরামি চলতে পারে না। আর বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও আইনও কখনও এমন নোংরামিতে সায় দেয় না, সুতরাং কনসার্টের নামে যে নোংরামি ও অশ্লীলতা চলে, তা ঘৃণাই করতে হবে।
আসলে বর্তমানে সময়ে তরুণ প্রজন্মের নামধারী একটা শ্রেণী আছে, যাদের নোংরামি ও নেশা করার জন্য একটা উপলক্ষ খোঁজে। কনসার্ট, মিউজিক শো, থার্টি ফাস্ট, হ্যালোইন, সাকরাইন, ভ্যালেন্টাইন ডে হচ্ছে তাদের সেই নোংরামোর উপলক্ষ। কিছু লোক সেই নোংরামিকে সুযোগ দিয়ে ব্যবসা করে, কনসার্ট আর মিউজিক শোর টিকিট বিক্রি করে টাকা কামায়।
আসলে কনসার্ট বা মিউজিক শোগুলোতে নীতি নৈতিকতাকে থোরাই কেয়ার করা হয়। হয়ত পাশেই হাসপাতাল আছে, অসুস্থ রোগী আছে সেগুলো তাদের কাছে দেখার কোন বিষয় না। হয়ত পাশেই মসজিদে আজান হচ্ছে, নামাজ হচ্ছে, কিন্তু এর মধ্যেই তাদের উচ্চ আওয়াজের গান-বাদ্য-বাজনা চলছে, বন্ধ হওয়ার কোন লক্ষণ নেই।
বর্তমানে আমাদের দেশে কনসার্ট বা মিউজিক শো যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা আমাদের ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য খুব আশঙ্কার কথা। কারণ এক একটা কনসার্ট বা মিউজিক শোর মাধ্যমে নিত্যনতুন নোংরামির আমদানি করা হয় এবং উচ্ছৃঙ্খলতার ট্রেনিং দেয়া হয়। এই উচ্ছৃঙ্খতা শুধু সেই কনসার্ট প্রাঙ্গনেই যে সীমাবদ্ধ থাকে তা নয়, বরং পরবর্তীতে সারা দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তার প্রভাব পড়ে।
সুতরাং বাংলাদেশে এসব কনসার্ট ও মিউজিক শো নিষিদ্ধ করা উচিত, নয়ত অপসংস্কৃতি ভয়াল থাবায় আমরা বা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম, কেউ বাঁচতে পারবো না।
-মুহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)