দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা ও দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার (২য় অংশ)
, ২৬ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৯ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আইন ও জিহাদ
স্থানীয় এখতিয়ারের মাধ্যমে আদালতের বিচারযোগ্য মামলার এলাকা নির্ধারণ করা হয়। যেমন, কোন জেলা জজ আদালত নির্দিষ্ট কোন জেলা ছাড়া অন্য কোন জেলার মামলার বিচার করতে পারবে না। হাইকোর্টের দ্বারা আদিষ্ট হলে অবশ্য এর ব্যতিক্রম হয়।
আদি এখতিয়ার হলো মামলার মূল্যমানের উপর ভিত্তি করে আদালত কর্তৃক মামলা গ্রহণ ও বিচারের ক্ষমতা। একটি আদালত নির্দিষ্ট মূল্যমানের মামলা বিচার করতে পারবেন কি না তা আর্থিক এখতিয়ারের দ্বারা নির্ধারিত হয়।
মামলার বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয় মামলাটি কোন আদালতে বিচার্য। যেমন, ফৌজদারী আদালত দেওয়ানী মামলা বিচার করতে পারেন না।
কোন আদালত মূল মামলা পরিচালনা করতে পারবেন কিনা বা আপিল গ্রহণ শ্রবণ করতে পারবেন কিনা তা নির্ধারিত হয় আপিল ও আদি এখতিয়ার বিবেচনা করে।
কোন মামলার রিভিশন শোনার ক্ষমতা কোন আদালতের আছে কিনা তা রিভিশন এখতিয়ার দ্বারা নির্ধারিত হয়। যেমন, দেওয়ানী কার্যবিধির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগকে রিভিশনের এখতিয়ার প্রদান করা হয়েছে।
কোন দেওয়ানী মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হয় মামলাটি কোন আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারের মধ্যে উদ্ভুত হয়েছে। দেওয়ানী কার্যবিধির ১৬ ধারায় বলা হয়েছে মোকদ্দমার বিষয়বস্তু যেখানে অবস্থিত, মোকদ্দমা সেখানে অর্থাৎ সেই এলাকা যে আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারের অধীন সে আদালতে দায়ের করতে হয়। কিন্তু মোকদ্দমার বিষয়বস্তু যদি ভিন্ন আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারের মধ্যে অবস্থিত হয় তাহলে স্থানীয় এখতিয়ারসম্পন্ন যে কোন আদালতে মোকদ্দমাটি দায়ের করা চলে। এই বিধান দেওয়ানী কার্যবিধির ১৭ ধারায় সন্নিবেশিত রয়েছে। যেক্ষেত্রে মামলা স্থানীয় এখতিয়ারের ভিত্তিতে কোন আদালতে দায়ের করতে হযে তা সুস্পষ্ট ভাবে নির্ধারণ করা যায় না, সেক্ষেত্রে দেওয়ানী কার্যবিধির ১৮ ধারার বিধান অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হয়। এক্ষেত্রে কোন দেওয়ানী আদালত উক্ত অনিশ্চয়তার কথা লিপিবদ্ধ করে মামলাটি বিচারের জন্য গ্রহণ করতে পারেন। ব্যক্তির প্রাতি বা অস্থাবর সম্পত্তির প্রতি কোন ক্ষতিসাধনের ফলে ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করতে হবে সেই আদালতে যেই আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারের মধ্যে অনিষ্ট সাধন হয়েছে। এটি দেওয়ানী কার্যবিধির ১৯ ধারায় বিবৃত করা হয়েছে। এছাড়াও বিবাদী যে আদালতের স্থানীয় স্থানীয় এখতিয়ারের মাধ্যে বসবাস করেন বা ব্যবসা পরিচালনা করেন সে আদালতেও মামলা দায়ের করা যাবে। কার্যবিধির ২০ ধারায়ে একাধিক বিবাদী দ্বারা সংঘটিত দেওয়ানী ক্ষতির জন্য মামলা দায়েরের স্থান সম্পর্কে বিধান রয়েছে। বলা হয়েছে মোকদ্দমা শুরু হওয়ার সময় বিবাদী যে আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে ও স্বেচ্ছায় বাস করেন বা ব্যবসা পরিচালনা করেন সে আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করা যাবে।
যোগ্যতাসম্পন্ন সর্বনিম্ন আদালতে মামলা দায়ের:
দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫ ধারার বিধান হলো কোন দেওয়ানী মোকদ্দমা বিচারের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন সর্বনিম্ন আদালতে দায়ের করতে হবে। এই ধারার বিধান অনুসারে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় বিবেচনা করতে হয়-
ক. মামলাটির উদ্ভবের এলাকা,
খ. মামলাটির আর্থিক মূল্যমান।
অধস্তন দেওয়ানী আদালত প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৭ সনের দেওয়ানী আদালত আইন দ্বারা। এই আইনে অধস্তন আদালতসমূহকে ক্রমানুযায়ী বিন্যাস্ত করা হয়েছে। সর্বনিম্ন আদালত হলো সহকারী জজ আদালত, এর উপর রয়েছে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত। এভাবে যুগ্ম জেলা জজ , অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ও জেলা জজ আদালত। যে আদালতের স্থানীয় সীমার মধ্যে দেওয়ানী মোকদ্দমার উদ্ভব হয় সে আদালতে মামলা দায়েরের পূর্বে দেখতে হবে যে, ঐ আদালত, মামলার যে অর্থমূল্য সে অর্থমূল্যের এখতিয়ারসম্পন্ন কিনা। যেমনঃ কোন দেওয়ানী মামলা যদি কেরানীগঞ্জ উপজেলায় উদ্ভব হয় তাহলে দেখতে হবে কেরাণীগঞ্জ কোন কোন আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারাধীন। উক্ত মামলা ঢাকা জেলার সবগুলো আদালাতের স্থানীয় এখতিয়ারাধীন। কিন্তু এই মামলার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন আদালত হলো কেরাণীগঞ্জ সহকারী জজ আদালত।
এরপর দেখতে হবে মামলার অর্থিক মূল্য কত। দেওয়ানি মামলা বিচারের ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের বিচারকদের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার বাড়িয়ে ‘দ্য সিভিল কোর্টস (সংশোধন), ২০২১’ বিল সংসদে পাস হয়েছে। এক্ষেত্রে আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার ক্ষেত্রভেদে বিদ্যমান আইনের ছয় থেকে সাত গুণ বাড়ানো হয়েছে।
একজন সহকারী জজ এতদিন দুই লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের (সম্পত্তি বা অর্থে যে অংকের টাকা নিয়ে বিরোধ) মামলা নিষ্পত্তি করতে পারতেন। এখন সেই এখতিয়ার বাড়িয়ে ১৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে জ্যেষ্ঠ সহকারী জজের বিচারিক এখতিয়ার চার লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা এবং আপিল শুনানির ক্ষেত্রে জেলা জজের এখতিয়ার পাঁচ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা করা হয়েছে।
পাঁচ কোটি টাকার কম মূল্যমানের কোনও মামলায় যুগ্ম-জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কোনও আপিল বা কার্যক্রম হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন থাকলে তা জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরের বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে।
আগে পাঁচ কোটি টাকার কোনও আপিল হলে হাইকোর্টে যাওয়া লাগতো। আইন সংশোধন হলে জেলা জজ সেই আপিল শুনানি করতে পারবেন বলে বিলে বিধান রাখা হয়েছে।
যদি মামলার অর্থিক মূল্য অনুর্ধ্ব ১৫ লাখ টাকা হয় তাহলে তা কেরাণীগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে দায়ের করতে হবে; কেননা সহকারী জজ আদালতের আর্থিক এখতিয়ার হলো অনুর্ধ্ব ১৫ লাখ টাকা। কিন্তু মামলার আর্থিক মূল্য যদি ১৫ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে কিন্তু ২৫ লাখের মধ্যে হয় তাহলে সেই মামলা দায়ের করতে হবে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে। আর যদি মামলার মূল্যমান ২৫ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে যে কোন মূল্যমানের হয় তাহলে তা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দায়ের করতে হবে।
এছাড়া পারিবারিক মামলা, সাকসেশন মামলা এখতিয়ার সম্পন্ন যুগ্ম জেলা জজ আদালত এবং আরবিট্রেশন মামলা
এখতিয়ার সম্পন্ন জেলা জজ আদালত দায়ের করতে হবে।
দেওয়ানি মামলার শুরু:
প্রতিটি দেওয়ানি মামলা শুরু হয় আরজি দাখিলের মাধ্যমে (ধারা ২৬, আদেশ ৭ বিধি ১)। ঞযব ঈড়ফব ড়ভ ঈরারষ চৎড়পবফঁৎব, ১৯০৮ এর ১৫ ধারা অনুসারে প্রত্যেকটি মামলা অবশ্যই বিচার করার উপযুক্ত সর্বনিম্ন স্তরের আদালতে দায়ের করতে হবে।
দেওয়ানী মামলার বিভিন্ন স্তর:
ধাপ-১ঃ সেরেস্তাদারের নিকট মামলা দায়ের (বাদী একজন আইনজীবীর মাধ্যমে দায়ের করবেন)
ধাপ-২ঃ মামলা গ্রহন এবং নম্বর প্রদান। (সেরেস্তাদারের কাজ)
ধাপ-৩ ঃ বিবাদী/বিবাদীগণের প্রতি সমন ইস্যু (সেরেস্তাদারের কাজ)
ধাপ-৪ঃ সমন প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিবাদীর উপস্থিতি (আদালতের জারিকারক বিবাদীকে সমন পৌছে দিবে)
ধাপ-৪.১ঃ বিবাদীর অনুপস্থিতি
ধাপ-৫ঃ বিবাদী লিখিত জবাব দাখিল করা (বিবাদী একজন আইনজীবীর মাধ্যমে করবেন)
ধাপ-৫.১ঃ একতরফা শুনানী (৪.১ এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য অর্থ্যাৎ বিবাদী যদি সমন প্রাপ্তি হওয়া স্বত্বেও আদালত অনুপস্তিত থাকেন)
ধাপ-৬ঃ মিডিয়েশন (দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৮৯ এ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালত করবেন)
ধাপ-৬.১ একতরফা সাক্ষ্য গ্রহণ (৫.১ এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
ধাপ-৭ঃ ইস্যু গঠন (বিজ্ঞ আদালত করবেন)
ধাপ-৭.১ঃ একতরফা আদেশ (৬.১ মতে একতরফা সাক্ষ্য গ্রহন শেষে)
ধাপ-৮ঃ ৩০ ধারায় পদক্ষেপ (বাদীর ক্ষেত্রে)
ধাপ-৯ ঃ এস ডি (বিজ্ঞ আদালত করবেন)
ধাপ-১০ঃ চূড়ান্ত শুনানী (বাদী পক্ষ তাদের সাক্ষী এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিজ্ঞ আদালত দাখিল করবেন এবং বিবাদী পক্ষ জেরা করবেন)
ধাপ-১১ঃ অধিকতর শুনানী (বাদী পক্ষ তাহার প্রয়োজনীয় আরও সাক্ষী দিবেন উক্ত সাক্ষীকে বিবাদীপক্ষ জেরা করবেন। পরবর্তীতে বিবাদীপক্ষ সাক্ষী দিবেন এবং বাদী পক্ষ জেরা করবেন।)
ধাপ-১২ঃ যুক্তিতর্ক (বাদী ও বিবাদীপক্ষের আইনজীবী করবেন)
ধাপ-১৩ঃ রায় প্রচার (বিজ্ঞ আদালত করবেন)
ধাপ- ১৪ঃ ডিক্রি প্রস্তুতকরণ (বিজ্ঞ আদালত করবেন)
সিদ্ধান্তের ভিত্তি:
The Code of Civil Procedure, ১৯০৮ এর ২নং আদেশের ৩নং রুল অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি একই কজ অব অ্যাকশনের অধীনে একাধিক দাবির দাবিদার হলে তাকে সব দাবি একসাথে চাইতে হবে।
২নং আদেশের ২(৩)নং রুল অনুযায়ী, কোন ক্ষেত্রে বাদি মোকদ্দমার একই বিষয়বস্তু সম্পর্কে বহু সংখ্যক প্রতিকার দাবী করার অধিকারী হলে সে সমস্ত বা তন্মধ্যে যে কোন প্রতিকার দাবী করে মোকদ্দমা দাখিল করতে পারে। অবশ্য এক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি ছাড়া উক্ত ধরণের প্রতিকারগুলোর মধ্যে কোন দাবী না করে থাকলে পরে সেরূপ কোন প্রতিকার দাবী করা চলবে না। সুতরাং, যদি একাধিক দাবীর দাবিদার হয়ে কিছু দাবি চায় এবং কিছু দাবি না চায় তাহলে যে দাবি বা দাবিগুলো না চাইবে সেসব দাবি পরিত্যাগ করেছে বলে গণ্য হবে। ওই সব দাবি নিয়ে নতুন করে কোন মামলা করতে পারবেনা। তাছাড়া এই রুলের ওষষঁংঃৎধঃরড়হ এ উপরিউক্ত সমস্যার সমাধানও দেওয়া আছে।
-এডভোকেট মুহম্মদ মেজবাহউদ্দীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৬)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৪)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৩)
২৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (২)
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (১১)
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (১)
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (১০)
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৩)
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত বনু কায়নুকার জিহাদ (৪)
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত বনু কায়নুকার জিহাদ (৩)
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত বনু কায়নুকার জিহাদ (২)
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৯)
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)