দস্তরখানায় পতিত খাদ্য উঠিয়ে খাওয়ার ফযীলত (১)
, ০৭ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا وَلَا تُسْرِفُوْا إِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِيْنَ
অর্থ: তোমরা খাও এবং পান করো। কিন্তু অপচয় করো না। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না। (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
খাদ্য-দ্রব্য মহান আল্লাহ পাক উনার অন্যতম নিয়ামত। তিনি বান্দাকে তা খাওয়ার জন্য দেন। অপচয় বা নষ্ট করার জন্য নয়।
কাজেই, নিয়ামতের ক্বদর (সম্মান) করা উচিত। অসম্মান করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি অসন্তুষ্ট হন। ফলে নিয়ামত লাভে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যারা খাবার নষ্ট বা অপচয় করে তারা খাদ্যে কষ্ট পায়। নাউযুবিল্লাহ!
খাবার সুন্নত তরিকায়, সুন্নতী পরিমাণে খাওয়া উচিত। পেটের তিন ভাগের এক ভাগ খাদ্য, একভাগ পানীয় এবং এক ভাগ শ্বাস-প্রশ্বাস ও যিকির-ফিকিরের জন্য রাখা কর্তব্য। অতিরিক্ত খাওয়া সেটাও অপচয়ের অন্তর্ভুক্ত। কেননা তা স্বাস্থ্যের জন্য কল্যাণকর হয় না। বরং তা স্বাস্থ্যের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয় ক্ষতিকর।
দস্তরখানা বিছিয়ে খাবার খাওয়া সুন্নত। দস্তরখানার রং খয়েরী হওয়াও সুন্নত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চামড়ার দস্তরখানা মুবারক বিছিয়ে খাবার খেয়েছেন। তাছাড়া দস্তরখানা বিছিয়ে খাবার খেলে অপচয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাতে রয়েছে অনেক ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী ও সম্মান। শারীরিক ও মানসিক অফুরন্ত কল্যাণ ও উপকার।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দস্তরখানায় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে বিভিন্নভাবে তারগীব বা উৎসাহ দিয়েছেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَـحْضُرُ أَحَدَكُمْ عِنْدَ كُلِّ شَىْءٍ مِنْ شَأْنِهٖ حَتَّى يَـحْضُرَه عِنْدَ طَعَامِهٖ فَإِذَا سَقَطَتْ مِنْ أَحَدِكُمُ اللُّقْمَةُ فَلْيُمِطْ مَا كَانَ بِهَا مِنْ أَذًى ثُمَّ لْيَأْكُلْهَا وَلَا يَدَعْهَا لِلشَّيْطَانِ فَإِذَا فَرَغَ فَلْيَلْعَقْ أَصَابِعَه فَإِنَّه لَايَدْرِي فِي أَىِّ طَعَامِهٖ تَكُوْنُ الْبَرَكَةُ .
অর্থ: বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রতিটি কাজে উপস্থিত থাকে। এমনকি যখন খাবার খাও তখনও সে শরীক হয়। কাজেই, যদি কখনো তোমাদের কারো কোন খাদ্যকণা পড়ে যায়, আর তাতে ধুলাবালি লাগে, তবে অবশ্যই সে যেন তা ভালভাবে ধুয়ে নেয় এবং খেয়ে ফেলে। শয়তানের জন্য তা না রেখে দেয়। খাওয়া শেষ হলে আঙ্গুলগুলো চেটে খায়। কেননা, সে জানেনা কোন খাদ্যে বরকত রয়েছে। (বুখারী শরীফ, রিয়াদুছ ছলেহীন, মুসলিম শরীফ)
-আল্লামা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ কাওছার আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শুকনা গোশ্ত খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন এলকোহলমুক্ত বিশুদ্ধ সুগন্ধি সুন্নতী আতর
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মানুষ মেথির উপকারিতা জানলে প্রয়োজনে স্বর্ণ দিয়ে ওজন করে ক্রয় করতো
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী ফল “আঙ্গুর”
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বেমেছাল উপকারিতা সমৃদ্ধ মহাসম্মানিত সুন্নতী খাবার “কিছ্ছা”
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সকল ধরণের সুন্নতী খাবার
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কিয়ামত পর্যন্ত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন হবে না
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন খাছ সুন্নতী “টুপি
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহান আল্লাহ পাক ও উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত মুহব্বত মুবারক হাছিল করতে হলে অবশ্যই মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা করতে হবে
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল ‘ডুমুর’
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র নামায উনার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারকসমূহ
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)