তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (২২)
, ২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
কাফির, মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী, ইহুদী, নাছারা এদের উপাসনালয়ে যাওয়া লা’নতের কারণ:
১ম দলীল:
এই সমস্ত কুফরী ও লা’নত থেকে বাঁচার জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম তিনি যা বলেছেন তা কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَا تَدْخُلُوْا عَلَى الْمُشْرِكِـيْـنَ فِـىْ كَـنَائِسِهِمْ يَـوْمَ عِيْدِهِمْ فَاِنَّ السَّخْطَةَ تَـنْزِلُ عَلَيْهِمْ
“সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তোমরা মুশরিকদের উৎসবের দিনে তাদের উপাসনালয়ে, মন্দিরে প্রবেশ করো না। কেননা, নিশ্চয়ই তাদের উপর (এই দিনসমূহে মহান আল্লাহ পাক উনার) অসন্তুষ্টি, আযাব-গযব, লা’নত বর্ষিত হয়। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ৯/৩৯২)
২য় দলীল:
‘মুছান্নাফে আব্দুর রায্যাক’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِنَّا لَا نَدْخُلُ كَنَائِسَكُمْ مِنْ اَجْلِ الصُّوَرِ الَّتِـىْ فِـيْـهَا يَـعْنِـى التَّمَاثِـيْلَ
“সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের (ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিকদের গির্যায়, মন্দিরে, প্যাগোডায়) উপাসনালয়ে প্রবেশ করি না, সেখানে থাকা প্রতিকৃতিগুলির কারণে অর্থাৎ মূর্তি, ভাস্কর্য ও ছবিগুলোর কারণে। ” (মুছান্নাফে আব্দুর রায্যাক্ব ১/৪১১)
৩য় দলীল:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
اَمَّا الْـحَنَفِيَّةُ فَكَانَ تَـحْرِيْـمُهُمْ مُطْلَقًا وَعَلَّـلُوْهُ بِاَنَّـهَا مَأْوَى الشَّيَاطِيْـنِ
“হানাফীগণ উনাদের নিকট সাধারণভাবেই সেটা হারাম। উনারা হারাম হওয়ার কারণ বর্ণনা করেছেন যে, বিধর্মীদের উপাসনালয় অর্থাৎ মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা শয়তানদের বাসস্থান যা প্রকৃতপক্ষে লা’নতের স্থান। ” (মুছান্নাফে আব্দুর রায্যাক্ব ১/৪১১) না‘ঊযুবিল্লাহ!
এখান থেকে ফিক্বহী মাসয়ালা বর্ণনা করা হয়েছে যে, বির্ধমীদের উপাসনালয়ে যাওয়া সম্পূর্ণরূপে হারাম। কারণ সেখানে যে যাবে সে মালউন বা লা’নতগ্রস্থ হবে। অতএব সেখানে যেন মুসলমানগণ কখনোই না যায়।
অতএব, মূর্তি পাহারা দেয়ার জন্য মন্দিরে যাওয়া, মূর্তি পাহারা দেয়া, হিন্দুদের পূজায় যাওয়া, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করা, সমর্থন করা, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করা, তাদেরকে সম্মান করা, তাদের গীতা পাঠ করা, এই সকল কাজ করে আনন্দ প্রকাশ করা এবং শুকুরগুজারী করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয ও কাট্টা কুফরী। উলামায়ে ছূসহ যারা এই কার্য্যসমূহ করেছে, তারা কাট্টা কাফির, মুশরিক ও মুরতাদ হয়ে গেছে। এই সমস্ত উলামায়ে ছূদের ও যুলামায়ে ছূদের আলেম বলা যাবে না। এদেরকে বলতে হবে জুহালায়ে ছু। এদের ইমামতিতে নামাজ পড়া যায়েজ নেই। কারণ এরা মুরতাদ ও কাফির হয়ে গেছে। কেউ যদি তাদের পিছনে নামাজ পড়ে তাহলে তার নামাজ কখনোই হবে না। তাকে নামাজ অবশ্যই দোহরায়ে পড়তে হবে। অন্যথায় সে শুধুমাত্র নামাজ তরকের গুনাহে গুনাহগারই হবে না বরং সেও মুরতাদ ও কাফির হবে।
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত যাকাত উনার আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৯)
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (২৫)
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সারাবিশ্বে এক দিনে ঈদ পালন সম্ভব কি? একটি দলীলভিত্তিক বিশ্লেষণ.... (৬)
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত যাকাত উনার আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৮)
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (২৪)
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সারাবিশ্বে এক দিনে ঈদ পালন সম্ভব কি? একটি দলীলভিত্তিক বিশ্লেষণ.... (৫)
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত যাকাত উনার আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৭)
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)