পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম
(পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার আলোকে সংক্ষিপ্ত তাফসীরসহ)
, ২০ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৯ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফ উনার
تحقيقات الكلمات الطيبات (পবিত্রতম শব্দাবলী উনাদের বিশ্লেষণ)
:قل অর্থ : আপনি বলুন। ছীগাহ : واحد مذكر حاضر বাহাছ : امر حاضر معروف বাব : نصر ينصر মাদ্দাহ : ق-و-ل মাছদার : القول জিন্স : اجوف واوى
:لم يلد অর্থ : উনার থেকে কেউ জন্মগ্রহণ করেননি। ছীগাহ : واحد مذكر غائب বাহাছ : نفى جحد بلم در فعل مستقبل معروف বাব : ضرب يضرب মাদ্দাহ : و-ل-د মাছদার : الولد জিন্স : مثال واوى
:لم يولد অর্থ : উনিও কারও থেকে জন্মগ্রহণ করেননি। ছীগাহ : واحد مذكر غائب বাহাছ :نفى جحد بلم در فعل مستقبل مـجهول বাব : ضرب يضرب মাদ্দাহ : و-ل-د মাছদার : الولد জিন্স : مثال واوى
:لم يكن অর্থ : নেই। ছীগাহ : واحدمذكر غائب বাহাছ : نفى جحد بلم در فعل مستقبل معروف বাব : نصر ينصر মাদ্দাহ : ك-و-ن মাছদার : الكون জিন্স : اجوف واوى
সংক্ষিপ্ত ছহীহ্ তাফসীর বা ব্যাখ্যা মুবারক
‘পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফ’ উনার মধ্যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার একত্বতা বা ওয়াহ্দানিয়াতের বর্ণনা দিয়েছেন বা করেছেন। কারণ প্রথমতঃ নাস্তিকেরা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার অস্তিত্ব মুবারক বা ওয়াজূদ মুবারক স্বীকার করে না। এজন্য খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যে ‘ওয়াজিবুল ওয়াজূদ’ সেটা স্পষ্ট করে বর্ণনা করেছেন। দ্বিতীয়তঃ মজূসী বা অগ্নি উপাসকেরা এক মহান আল্লাহ পাক উনার ওয়াজূদ মুবারক বা অস্তিত্ব মুবারক স্বীকার না করে দুই খোদা অর্থাৎ ‘আহুরমান’ ও ‘মাজদা’-এর অস্তিত্ব স্বীকার করে। নাঊযুবিল্লাহ! তৃতীয়তঃ খ্রীষ্টানরা এক মহান আল্লাহ পাক উনার অস্তিত্ব মুবারক বা ওয়াজূদ মুবারক স্বীকার না করে তিন খোদার অস্তিত্ব স্বীকার করে অর্থাৎ ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস করে। যেমন মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে হযরত মারইয়াম আলাইহাস সালাম উনাকে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার আহলিয়া এবং হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস্ সালাম উনাকে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তান হিসেবে তিন খোদাতে বিশ্বাসী। নাঊযুবিল্লাহ! অন্য বর্ণনায়, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস্ সালাম উনাকে এক অংশীদার সন্তান হিসেবে আর পবিত্র আত্মাকে দ্বিতীয় অংশীদার মোট তিন খোদাতে বিশ্বাসী। নাঊযুবিল্লাহ!
আর ইয়াহূদীরা হযরত উযাইর আলাইহিস্ সালাম উনাকে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পুত্র হিসেবে দুই খোদাতে বিশ্বাসী। নাঊযুবিল্লাহ! আর মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ এরা সকলেই তাদের মূর্তি সমূহকে খোদাতুল্য মনে করে অসংখ্য খোদাতে বিশ্বাসী। নাঊযুবিল্লাহ! ইত্যাদি বিষয় বর্ণিত রয়েছে ইবনে কাছীর, ইবনে জারীর তাবারী, মুয়ালিম, খাযিন, নিশাপুরী ইত্যাদি তাফসীরগ্রন্থে। আর বিশেষ করে ইয়াহূদী, নাছারা, মজূসী, মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ ইত্যাদি সম্প্রদায় মনে করে থাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের প্রবর্তিত শরীকদারের মুখাপেক্ষী। নাঊযুবিল্লাহ! অর্থাৎ তাদের শরীকদার ব্যতীত সর্বকাজে সক্ষম নন বা অক্ষম। নাঊযুবিল্লাহ! সে প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তিনি ছমাদ বা বেনিয়াজ অর্থাৎ কারো মুখাপেক্ষী নন। এ সমস্ত শরীকদার প্রবর্তন করে তারা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ করেছে যা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّ اللهَ عَلٰى كُلّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ.
“নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলের উপর সবসময় সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২০)
আর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ‘ছমাদিয়াত’ সম্পর্কে আক্বাইদের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে, “খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি দেহ বা জিসিম থেকে, চওড়া ও প্রশস্ততা থেকে, পরিধি ও ব্যাস থেকে, আকার ও আকৃতি থেকে, সংখ্যা থেকে, টুকরা টুকরা হওয়া থেকে, অংশ হওয়া থেকে, কোন কিছুর সম্মিলিতরূপ হওয়া থেকে, শেষ ও শুরু হওয়া থেকে, সীমাবদ্ধতা থেকে, বস্তু হওয়া থেকে পরিপূর্ণভাবে পবিত্র। ” সুবহানাল্লাহ! (আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)
এজন্য হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘আল্লাহু’ শব্দ উনার থেকেও পবিত্র। তিনি উনারও মুহতাজ নন। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কারো থেকে জন্মগ্রহণ করেননি বা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কারো উত্তরাধিকারী নন এবং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার থেকেও কেউ জন্মগ্রহণ করেননি এবং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কোন উত্তরাধিকারী নেই আর মহান আল্লাহ পাক উনার সমকক্ষও কেউ নেই। কাজেই, এ সকল প্রশ্ন অবান্তর যা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ ও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় সম্মানিত মশহূর লক্বব মুবারক এবং এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় বেমেছাল খুছূছিয়ত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)