ঢাবিতে বাংলার বারো ভূঁইয়াদের শেষ স্মৃতি ঐতিহাসিক মুসা খান মসজিদ
, ১৯ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৮ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ০৭ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২৩ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) স্থাপত্য নিদর্শন

১৯৮০ সালে এই সিস্টেমটি আবিষ্কার করা হয়েছিলো। সেসময় এই বিষয়টি নিয়ে সেইভাবে কোনো গবেষণা হয়নি। তবে বর্তমানে এই প্রযুক্তিটিকে নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। টেসলা কয়েলের সাহায্যে বিদ্যুৎ পাঠানো সম্ভব হয়েছে। তার জন্য কোন বিদ্যুৎ সংযোগকারী তার লাগবে না।
গবেষণাটি করা হয়েছে ইউএস নেভাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে। সেখানকার বিজ্ঞানীরাও প্রথম আবিষ্কারকের মতোই অনুরূপ একটি কয়েল তৈরি করেছে। এক কিলোমিটারে ১.৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাতে সক্ষম হবে। পুরো পদ্ধতিটি আবিষ্কারকের নীতিগুলি অনুসরণ করা হয়েছে। সিস্টেম অনুযায়ী বিদ্যুৎকে মাইক্রোওয়েভে রূপান্তরিত করতে হবে প্রথমে, এরপর রিসিভারের একটি বিমে ফোকাস করা হয়। সেখানে থাকে আরএফ ডায়োডসহ একটি এক্স-ব্যান্ড ডাইপোল অ্যান্টেনা। যখন মাইক্রোওয়েভগুলি অ্যান্টেনার সাথে মিলিত হয়, তখন কারেন্ট উৎপন্ন হয়।
আগেও কয়েকটি দেশে এ ধরণের গবেষণা করা হয়েছিল,তবে তারা সফল হয়নি। কিন্তু এখন তা সম্ভব হয়েছে। আমেরিকান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই প্রযুক্তির বিকাশের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রযুক্তিটি একবার সফল হলে তা মানুষকে অবিশ্বাস্য রকমের সুবিধা প্রদান করবে। ওয়াইফাইয়ের মতো ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।
মুঘল শাসক আকবরের আমলে বাংলার বারো শাসককে বলা হয় ‘বারো ভূঁইয়া’। আর তাদের আমলেই বাংলায় নির্মিত হয় চমৎকার সব স্থাপত্য। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের উত্তর-পশ্চিম কোণে এখনও দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক মুসা খান মসজিদ।
বাংলায় স্বাধীনভাবে শাসন পরিচালনা করা বারো ভূঁইয়াদের শেষ স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে টিকে আছে ভূঁইয়াদের প্রধান ঈশা খাঁর পুত্র মুসা খানের নামে তৈরি এই ঐতিহাসিক মসজিদটি। বাহ্যিক চাকচিক্য হারালেও নান্দনিক নির্মাণ শৈলীতে তৈরি এ স্থাপনা এখনও সচল রয়েছে জামে মসজিদ হিসেবে। কার্জন হল চত্ত্বরে অবস্থিত এ মসজিদে নিয়মিত জুমওয়াসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
মুসা খান ছিলেন, ভাটি অঞ্চলের অধিপতি মসনদ-ই-আলা ঈসা খানের পুত্র। ১৫৯৯ খৃ: ঈসা খানের ইন্তেকালের পরে, মুসা খান পিতার স্থলাভিষিক্ত হন। হয়ে যান বিশাল এলাকার অধিপতি। তার রাজ্য বৃহত্তর ঢাকা ও কুমিল্লা জেলার অর্ধেক, প্রায় সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা, বৃহত্তম রংপুর, বগুড়া এবং পাবনা জেলার কিছু অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মুসা খানের রাজধানী ছিল সোনারগাঁয়।
১৬২৩ খৃ: মুসা খান ইন্তেকাল করেন। তাকে ঢাকায় দাফন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে। তার কবরের পাশেই নির্মাণ করা হয়েছিল, তার নামে মসজিদ।
কার্জন হলের চত্বরটি একসময় ‘বাগে-মুসা খান’ বা মুসা খানের বাগান নামেই পরিচিত ছিল।
তবে পর্যাপ্ত যত্ন ও তত্ত্বাবধানের অভাবে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় সংরক্ষিত মসজিদটি হারিয়েছে তার স্বাতন্ত্র্য। পূর্বদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগ, উত্তরে বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের কার্যালয় ও অগ্রণী ব্যাংকের শাখা, দক্ষিণে শহীদুল্লাহ হল এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের কার্যালয়ের মাঝখানে তিন গম্বুজবিশিষ্ট মুসা খান মসজিদটি অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালেই ঢাকা পড়ে আছে। ইতিহাস জানা না থাকলে দেখার পরেও অনুমান করা কষ্ট এটি ইতিহাসের একটি অমূল্য নিদর্শন। মসজিদটি একসময় একটি দেয়াল দিয়ে ঘেরাও করা ছিল। সেটারও এখন কোনও চিহ্ন নেই।
ইতিহাসবিদদের মতে, নাম মুসা খান মসজিদ হলেও তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা নন। এর স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে শায়েস্তা খানের স্থাপত্যরীতির মিল পাওয়া যায়। সেখান থেকেই এমন ধারণা। শায়েস্তা খান ঢাকায় আসেন আরও পরে।
অধ্যাপক এম হাসান দানীর মতে, মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন মুসা খানের নাতি মনোয়ার খান। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও আবুল কালাম মুহম্মদ যাকারিয়াও তার এই মতকে সমর্থন দেন।
মুসা খান মসজিদটি দেখতে রমনার তিন নেতার মাজারের পেছনে অবস্থিত খাজা শাহবাজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মসজিদের মতোই। মাটি থেকে বেশ খানিকটা উঁচুতে অবস্থিত মসজিদটি। মঞ্চের মতো অংশে রয়েছে ছোট ছোট প্রকোষ্ঠ। যা এখন বন্ধই পড়ে থাকে।
চলবে ইনশাল্লাহ.....
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুঘল আমলের নিরাপত্তা নিদর্শন হাজীগঞ্জ দুর্গ
০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রাচীন মসজিদের অজানা ইতিহাস
০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তাজ-উল-মসজিদ ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
টাইম ম্যাগাজিনের তালিকায় আশুলিয়ার জেবুন নেসা মসজিদ
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক চুনাখোলা মসজিদ
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (১৪)
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঐতিহাসিক বানিয়াবাসী মসজিদ (৩)
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঐতিহাসিক বানিয়াবাসী মসজিদ (২)
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঐতিহাসিক বানিয়াবাসী মসজিদ (১)
২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (১১)
২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঐতিহাসিক রোয়াইলবাড়ি দুর্গ (৩)
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (১০)
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)