ঢাকায় ৪০ টাকার ভাসমান হোটেল!
, ২৭ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৭, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পাঁচ মিশালী
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৬০-এর দশকে বোর্ডিংগুলোর যাত্রা শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা ঢাকায় যাতায়াত করতেন ব্যবসার কাজে। কাজে আটকা পড়ায় হোটেলের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় কখনও কখনও পড়তেন থাকার সমস্যায়। ফলে কিছু ব্যবসায়ী-মহাজন তাদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে ঢাকার বুড়িগঙ্গায় তৈরি করেন ভাসমান বোর্ডিংগুলো। তখন নৌকার মধ্যে কাঠের তৈরি বোর্ডিং ছিল যেখানে খাওয়া যেত আর পাশাপাশি থাকার ব্যবস্থা। সে সময় খাওয়ার জন্য টাকা নিলেও থাকার জন্য নেওয়া হতো না। স্বাধীনতার পর থাকার জন্যও টাকা নেওয়া শুরু হয়।
নব্বইয়ের দশকের পরে সংস্কার করে লোহা দিয়ে তৈরি করা হয় এগুলো। কয়েক বছর পর পর এই নৌযানগুলো ডকইয়ার্ডে পাঠিয়ে সংস্কার ও মেরামত করা হয়ে থাকে। পাঁচ যুগ ধরে এই বোর্ডিংগুলো সদরঘাট এলাকায় থাকলেও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের উন্নয়ন কাজের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র নির্দেশে ২০২০ সালের শুরুতে মিটফোর্ড ঘাটে স্থানান্তর করা হয়।
সরেজমিনে বুড়িগঙ্গার মিটফোর্ড ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, একটি কাঠের তৈরি ছোট এবং পাঁচটি লোহার তৈরি নৌযানের ভাসমান বোর্ডিং। এর মধ্যে কাঠের তৈরি বোর্ডিং ও লৌহার তৈরি অপর একটি ভাসমান বোর্ডিং অনেকটাই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। উমা উজালা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর ও বুড়িগঙ্গা নামে চারটি ভাসমান বোর্ডিংয়ে রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। ভাসমান বোর্ডিংয়ে ওঠানামার জন্য নদীর পাড় থেকে রয়েছে বাঁশ ও কাঠের তৈরি সাঁকো। দ্বিতল বোর্ডিংগুলোতে নিচতলা ও দোতলায় দুপাশে সারিবদ্ধভাবে কক্ষ আর মাঝ দিয়ে রাস্তা। আবার কোনোটায় রয়েছে অতিথিশালা। বোর্ডিংগুলোতে প্রথম কক্ষেই থাকেন একজন ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার)। আর দুপাশের সারিতে এক সিট ও দুই সিটের কক্ষ, যা কেবিন নামেও পরিচিত। রয়েছে উন্মুক্ত ঢালাও বিছানার কক্ষ, যেখানে তিন-চারজন একসঙ্গে থাকেন নিজেদের কাঁথা-বালিশ নিয়ে। এখানে থাকতে তাদের ভাড়া দিতে হয় জনপ্রতি মাত্র ৪০ টাকা। আর প্রতিটি কেবিনে রয়েছে তোশক, কাঁথা, বালিশ, ফ্যান ও লাইট। এক সিটের কেবিনের ভাড়া ১০০ টাকা, দুই সিটের কেবিনের ভাড়া দিনপ্রতি ১৫০ টাকা। একেকটি বোর্ডিংয়ে ৫০-৬০ জনের মতো থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। বোর্ডিংগুলোতে থাকতে পারেন শুধু পুরুষরাই।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদরঘাট ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভাসমান লোক রয়েছে। যাদের থাকার জায়গা নেই। আবার বেশি টাকা খরচ করে আবাসিক হোটেলে থাকার সামর্থ্যও নেই। তারাই থাকেন এই বোর্ডিংগুলোতে। অর্থাৎ বুড়িগঙ্গার আশপাশের হকার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। মালিকরা গ্রাহকদের সুবিধা মাথায় রেখে সে অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করেন। বোর্ডিংয়ে বিনামূল্যে কম্বল, পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে।
পুরোনো ঢাকার বাদামতলীর ফল বিক্রেতা হাসান জানান, তিনি সেখানে একটি ৮০ টাকার কক্ষে প্রায় ৬ মাস ধরে থাকছেন। এর আগে তিনি একটি আবাসিক মেসে মাসে দুই হাজার টাকা ভাড়ায় থাকতেন। তিনি বলেন, ভাসমান বোর্ডিং হাউজে দৈনিক ভাড়ার ব্যবস্থা ও বিনামূল্যে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা তার জন্য বেশি লাভজনক।
উল্লেখ্য, ভাসমান হোটেল প্রতিদিন রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। মানুষ বেশি হলে ছাদেও থাকার ব্যবস্থা আছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বদলে যাচ্ছে রসায়নের শত বছরের পুরনো সূত্র
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাতাস থেকে সরাসরি পুষ্টি পেতে পারে মানবদেহ : গবেষণা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উৎপাদন বাড়াতে ছাঁটাই করা হয় চা গাছ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্দি-কাশি দূর করতে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মধুর গুণাগুণ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সর্দি-কাশি দূর করতে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মধুর গুণাগুণ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশের যে গ্রামের জনসংখ্যা চারজন!
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ডাবের পানি খেলে শরীরে কি হয়? ডাবের পানির উপকারিতা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ধানের গোলা এখন কেবলই স্মৃতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
১০ হাজার ফুট ওপর থেকেও যেভাবে শিকার দেখতে পায় ঈগল
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওজন আর রক্তচাপ কমায় বিটের রস! বাড়ায় স্মৃতিশক্তি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবালের সন্ধান মিললো প্রশান্ত মহাসাগরে
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্ট্রবেরি খেলে শরীরে যা ঘটে
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)