টাইম বোমার মতোই সুপ্ত বিপদ হলো প্রতিবেশী বিধর্মী সম্প্রদায়
, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
অন্যান্য দিনের মতোই ভারতের বোম্বের এক সকাল। এক হিন্দু নাপিত তার দোকানের ঝাঁপ খুলে চুল কাটার জিনিসপত্র ঠিকঠাক করছে। এর মধ্যেই দোকানে এসে হাজির হলো এলাকার এক মুসলিম যুবক। পরিচিত সেই মুসলিম যুবকের সাথে হিন্দু নাপিতটি খুব খোশগল্প ও হাসিঠাট্টা করতে লাগলো।
মুসলিম যুবকটি চেয়ারে বসলো, হিন্দু নাপিতটি যুবকটির গালে সাবান মাখিয়ে ক্ষুর হাতে প্রস্তুত হলো। এর মধ্যেই বাইরে শোনা গেল চিৎকার ও হট্টগোল। দোকান থেকে তারা দু’জন দেখতে পেল, বাইরে মুসলমানদের টুপি পরা কয়েকজন যুবক (আসলে টিভি অভিনেতা) একজনকে পেটাচ্ছে। তা দেখে হিন্দু নাপিতটির চেহারায় কেমন একটি হিংস্র ভাব চলে আসলো, মুসলিম যুবকটি হয়ে উঠলো ভয়ার্ত।
ক্ষুর হাতে রয়েছে হিন্দু নাপিত, সামনেই মুসলিম যুবকের গলা। যুবকটি অস্ফুট স্বরে নাপিতটিকে কিছু একটি বলতে গেলো, কিন্তু তার আগেই হিন্দু নাপিত ক্ষুরের এক টানে যুবকটির গলা চিরে ফেললো। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবকটি চেয়ার থেকে নিচে পড়ে গেলো, আর হিন্দু নাপিতটি ঐ টুপি পরা ব্যক্তিগুলোর দিকে দৌড়ে গেলো তার রক্তমাখা ক্ষুর হাতে নিয়ে।
তখন হঠাৎ করে একপাশ থেকে কেউ একজন বললো, “কাট! কাট!” শুনে টুপি পরা লোকগুলো একদিকে সরে গেল, যারা ছিলো নাটকের শুটিংয়ের অভিনেতা। হিন্দু নাপিতটি তখন বুঝতে পারলো, সে কতগুলো অভিনেতাকে মুসলমান মনে করে তার পরিচিত মুসলমান যুবকটির গলায় ক্ষুর চালিয়েছে।
ইন্টারনেটের প্রচারিত তিন মিনিটের একটি ক্ষুদ্রচিত্রে উপরের কাহিনীটি দেখানো হয়েছে ভারতীয় হিন্দুদের মনমানসিকতা ফুটিয়ে তুলতে। ঐ হিন্দু নাপিতটির সাথে মুসলিম যুবকটির বছরের পর বছর ধরে প্রতিবেশীর মতো সম্পর্ক, কিন্তু তাও সময় বুঝে হিন্দু নাপিতটির মধ্যকার হিংস্র পশুটি জেগে উঠতে সময় নেয়নি। মুসলিম যুবকটির গলায় ক্ষুর চালাতে সে দ্বিধা করেনি।
ভারতের প্রত্যেকটি দাঙ্গায় দেখা যায়, মুসলমানদের উপর হামলা করেছে সেসব হিন্দুরা, যারা ঐসব মুসলমানদের প্রতিবেশী হিসেবে বছরের পর বছর পাশাপাশি বসবাস করেছে। মুসলমানরা হতভম্ব হয়ে যায় এই ভেবে যে, যেই হিন্দুকে সে দিনের পর দিন ভাই ডাকলো, বন্ধু ডাকলো, সে কিভাবে তাদের ওপর হামলা করলো? তাদের মেয়েদের সম্ভ্রমহানি করলো?
আসলে আমাদের প্রতিবেশী মুশরিক সম্প্রদায় হচ্ছে টাইম বোমার মতোই সুপ্ত বিপদ। টাইম বোমা যেভাবে অনেকক্ষণ সুপ্ত অবস্থায় থেকেও সময় হওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে বিস্ফোরিত হয়, ঠিক সেভাবেই মুশরিকরাও বছরের পর বছর মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্ব দেখালেও সময় হলেই মুসলমানদের গলায় ছুরি চালায়। ভারতবর্ষে যে মুসলিম শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটেছিলো, তা এমনি এমনি ঘটেনি। ব্রিটিশরা মুসলমানদের ঘরের বাইরে থেকে আক্রমণ করেছিলো, আর ব্রিটিশদের সাথে আঁতাত করে ঘরের শত্রু বিভীষণের ন্যায় মুসলমানদের পিঠে ছুরি চালিয়েছিলো হিন্দু সম্প্রদায়।
ব্রিটিশরা আসার আগে এই মুশরিকরা হাজার বছর ধরেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলো মুসলিম শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটানোর। সুযোগ আসার আগ পর্যন্ত এই মুশরিকরা মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্বের অভিনয় করে গিয়েছে, মনে মনে হাজার বছর ধরে সুপ্ত রেখেছে মুসলিম নিধনের বাসনা। যতোদিন এই সুপ্ত বিপদকে নিজেদের ঘরে আশ্রয় দিবে ভারতবর্ষের মুসলমানরা, ততোদিন তাদের মুক্তি ঘটবে না।
-গোলাম মুর্শিদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












