টক-ঝাল-মিষ্টি চা, দিনে বিক্রি ৩০ হাজার টাকা
, ১১ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২১ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ০৮ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পাঁচ মিশালী
বাহারি পদের এই চা বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন দিনাজপুরের শাহ আলম। তার দোকানে ৭ পদের চা পাওয়া যায়। প্রতিদিন তিন হাজার কাপ বিক্রি করেন। হিসাবে দিনে ৩০-৩৫ হাজার টাকা বিক্রি হয়। লেখাপড়া বেশি দূর না করলেও দিনরাত পরিশ্রম করে নিজেই গড়েছেন নিজের ভাগ্য। পৌরসভার পুলহাট এলাকায় রাস্তার পাশে দোকানের অবস্থান। ৩০ বছর ধরে চা বিক্রি করছেন। বাড়ি একই এলাকায়। এর মধ্যে গত ৯ বছর ধরে তেঁতুল চা, মরিচ চা ও লেবু চা বিক্রি করছেন। দোকান করেই এক ছেলে ও এক মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছেন। এখন তাদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অপেক্ষায় আছেন এই দোকানি।
৭ পদের চা বিক্রি:
তেঁতুল চা, মরিচ চা ও লেবু চা ছাড়াও এখানে পাওয়া যায় মালাই চা, মধু চা, দুধ চা, লাল চা। এর মধ্যে তেঁতুল চা, মরিচ চা ও লেবু চায়ের কাপের মূল্য ১৫ টাকা। মালাই চা ও মধু চা ২০ টাকা আর লাল চা ৫ টাকা। প্রতি কাপের মূল্য ১০ টাকা করে ধরলেও দাঁড়ায় ৩০ হাজার টাকা।
কাঁচা মরিচের চা জনপ্রিয়:
তবে দোকানটি কাঁচা মরিচের চায়ের জন্য বেশ জনপ্রিয়। তৈরিতেও রয়েছে ভিন্নতা। প্রথমে চিনি দিয়ে পরে একটি লেবুর অর্ধেক রস দেওয়া হয়। এরপর চায়ের লিকার, গরম পানি ও একটি কাঁচা মরিচ ও বিশেষ মশলা দেওয়া হয়। যা দোকানি নিজেই তৈরি করেন। এরপর চামচ দিয়ে নেড়ে পরিবেশন করা হয়। তেঁতুল চাও একইভাবে তৈরি হয়। চিনি ও তেঁতুলের সঙ্গে দেওয়া হয় লিকার। এরপর গরম পানি ও বিশেষ মশলা দিয়ে পরিবেশন করা হয়। লেবু চায়ে থাকে লেবুর রস, গরম পানি ও চিনি। সব চায়ে দেওয়া হয় আদার কুচি।
এখানের চায়ের স্বাদ অন্যরকম উল্লেখ করে জেলা সদরের মাসিমপুর এলাকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেদিনই আমি শহরে যাই, ফেরার পথে এখানে কাঁচা মরিচের চা পান করি। খুবই ভালো লাগে। টক, ঝাল, মিষ্টি; অন্যরকম স্বাদ।’
শহরের নয়নপুর এলাকার ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। সপ্তাহে একদিন এলাকায় আসতে হয়। এখানে এলেই মরিচ চা অথবা তেঁতুল চা পান করি। বেশ ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে এমন চা তৈরির চেষ্টা করি, কিন্তু হয় না। তাই এখানেই আসি।’
এ সব চা তৈরীর অভিজ্ঞতা জানিয়ে চা বিক্রেতা শাহ আলম বলেন, ‘একবার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে মরিচ চা খেয়েছি। এরপর রাজশাহীতে গিয়েও এমন চা তৈরি দেখেছি। তারপর নিজেই তৈরি করেছি এবং সফল হয়েছি। সবমিলিয়ে পরিশ্রম করে ভালোভাবে জীবনযাপনের চেষ্টা করছি।’
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্লুটোর সবচেয়ে বড় চাঁদ চারনের রহস্য নিয়ে যা জানাল গবেষণা
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তামাক পাতার জর্দা: জেনেশুনে বিষ করছেন পান?
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কোটি কোটি অশ্লীল ও কুরুচিকর ডিপফেক ছবি তৈরি করে যাচ্ছে যে সব দেশ
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কোটি কোটি অশ্লীল ও কুরুচিকর ডিপফেক ছবি তৈরি করে যাচ্ছে যে সব দেশ
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শীতে চোখের যত্ন
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাকাশ হতে আসা সংকেতের রহস্য উন্মোচন করল বিজ্ঞানীরা
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
চাঁদের পাশে ভেনাসের দুর্লভ দৃশ্য
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইংরেজ ব্রিটিশ দস্যুদের অত্যাচারের সাক্ষী ডানলপের নীলকুঠি
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সোনালি অতীতের সাক্ষী চুনাখোলা মসজিদ
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চুলে ‘মধু’ ব্যবহার করলে যে সব উপকার পাবেন
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ার যত রেকর্ড
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)