জীবানু অস্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদীদের জাতি নিধনের ষড়যন্ত্র (৩)
, ২৪ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
প্রায় ৯০০০ প্রকারের এইচ আই ভি ভাইরাস রয়েছে। অর্থাৎ ঝামেলা মাত্র শুরু হয়েছে। কোনটা ব্রেইনে পচন ধরাবে, কোনটা রক্তের ক্যান্সার আবার কোনটা থাকবে নিস্ক্রিয়। কারণ হাজার হাজার কম্বিনেশনে হাজার হাজার ভাইরাস তৈরি হবে যার সবগুলোর প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হবে না। আবার কিছু হলেও তা হবে বাস্তবে ক্ষতিকর যেমন পোলিও ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছিলো যা ব্রেইনে ক্যান্সার তৈরি করতো, সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস যা পোলিও টাইপ রোগ তৈরি করতো, স্মল পক্স ভ্যাকসিন এবং হেপাটাইটিস ভ্যাকসিন এ দুটো এইডস তৈরি করতো। অর্থাৎ এই ভ্যাকসিনগুলোর মধ্যে সেই রোগগুলোর স্ট্রেইন প্রবেশ করিয়ে দিয়ে পুশ করা হত।
পোলিও ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছিলো সবুজ বানরের কিডনির কোষের মধ্যে। ফলে পোলিও ভ্যাকসিন ঝঠ-৪০ ভাইরাস নামক বানরের একটি ভাইরাস।
পোলিও কালচারকে কলুষিত করেছিলো। ৬০ দশকে যারা এই পোলিও ভ্যাকসিন নেয় তাদের মধ্যে ব্রেইন ক্যান্সার দেখা দেয়। সাধারণত ২০-৩০ বছর এর প্রভাব থাকে সেভাবে দেখলে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত এর ক্ষতিকর প্রভাব বিদ্যমান ছিল।
অনেকের মনেই প্রশ্ন আফ্রিকাতে এইডস ভাইরাস ছড়ানোটা যদি পরিকল্পিত হয় তবে এখন আমেরিকাতে কিভাবে এইডস ছড়ালো। ১৯৭৮ সালের আগ পর্যন্ত আমেরিকাতে এইডস ভাইরাসের কোন উপস্থিতি ছিলনা। সে সময়ে হাসপাতালে সংরক্ষিত কোন ব্লাডে, ভ্যাকসিনে এই ভাইরাস খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ডঃ উইলিইয়াম সজমুনেস পোল্যান্ডে জন্ম কিন্তু পড়াশুনা করে রাশিয়াতে। ১৯৬৯ সালে ইমিগ্রেশন নিয়ে আমেরিকাতে আসে। একসময় সে নিউইয়র্ক ব্লাড ব্যাংকের প্রধান হয়। সে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনের জন্য একটি সমীক্ষা করে এবং সেই সমীক্ষার জন্য বেছে নেয়া হয় ২০-৪০ বছরের যুবকদের এবং বিশেষভাবে যারা বহুগামী। ১৯৮১ সালে সেন্টার ফর ডিজিজ কোন্ট্রোল জানায় যারা হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন নেয় তাদের ৪% এইডস রোগে আক্রান্ত। ১৯৮৪ সালে জানানো হয় ৬০% এইডস রোগে আক্রান্ত। পরবর্তীতে জানানো সেই সময়ে এই ভ্যাকসিনে নেয়া সকলেই এইডস রোগে আক্রান্ত। তাহলে সাম্রাজ্যবাদীরা যেমন আফ্রিকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মারতে ব্যস্ত সে সময় রাশিয়ার এক এজেন্ট (ডঃ উইলিইয়াম সজমুনেস) পরিকল্পিতভাবে আমেরিকার যুবকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয় এইচ আই ভি ভাইরাস। যাই হোক কিন্তু আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ যাদের এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে কোন ধারণাই নেই।
চিকুনগুনিয়া ভাইরাস নিয়ে লিখবো বলেই কলম ধরেছিলাম। কিন্তু কয়েকটি ভাইরাস বিষয়ে ধারণা না দিলে জাতি নিধনে বা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সাম্রাজ্যবাদীদের যে কতরকম ন্যাক্কারজনক কার্যক্রম আছে তা মানুষ ভাবতেই পারবে না। এই পর্যায়ে বলবো জিকা ভাইরাস নিয়ে কথা। জিকা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় উগান্ডাতে ১৯৪৭ সালে বানরের মধ্যে কিন্তু মানুষের মধ্যে প্রথম দেখা যায় ১৯৫২ সালে।
বিল গেটস-মেলি-া গেটস ফাউন্ডেশনের নাম নিশ্চয়ই সবাই শুনেছেন। এই ফাউন্ডেশনের ব্রিটিশ বায়োটেক কোম্পানি ডেঙ্গু মশার প্রাদুর্ভাব থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য বিশেষ ধরনের জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ার্ড এক ধরনের মশার সৃষ্টি করে। ধারণা করা হচ্ছে মানবসৃষ্ট এই বিশেষ ধরনের মশাই আসলে জিকা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন- যে ভাইরাস মানুষের জীবনে আতঙ্ক বয়ে নিয়ে এসেছে, যে রোগ নিয়ে নিত্যদিন মিডিয়া এই পরিমাণে মেতে উঠেছে তা প্রাকৃতিক কোন রোগ নয়! বরং মানব তৈরি।
২০১১ সাল থেকে অক্সিটেক নামের একটি কোম্পানি ব্রাজিলের গহীন অরণ্যে এই মশার বংশবিস্তার করে চলেছে ডেঙ্গু মশার প্রাদুর্ভাব থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য। এক সপ্তাহে তারা প্রায় দুই মিলিয়ন মশা উৎপাদন করে ব্রাজিলের ক্যম্পিনাস এ অবস্থিত এদের ফ্যাক্টরীতে।
ব্রাজিলে ২০১৫ এর ১ নভেম্বর থেকে প্রায় ৪০০০ শিশু ছোট মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্তানসম্ভাবা মহিলারা ছোট মাথার এবং স্বল্প মেধার সন্তান জন্ম দিয়ে থাকে।
আরেকটি রহস্যময় তথ্য বলা দরকার, ২০১৫ সাল থেকে ব্রাজিল সরকার সন্তানসম্ভাবা মায়েদের একটি নতুন ভ্যাকসিন নেয়া অত্যাবশ্যক করে। টিডিএপি নামক এই ভ্যাকসিনের সঠিকভাবে কোন পরীক্ষা ছাড়াই হঠাৎ এভাবে আবশ্যকীয় করে দেয়া আর ঠিক একই সময়ে এরকম অদ্ভুত শিশু জন্মের হার বাড়তে থাকে। এই ভ্যাকসিন এর উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে একটু খোঁজ নিতে শুরু করলেই একটি নাম আবার সামনে পেয়ে যাবেন- বিল গেটস-মেলি-া গেটস ফাউন্ডেশন। এমনকি এই ভ্যাকসিন লাইসেন্সড হবার আগে তার কার্যকারিতা সম্পর্কে অর্থাৎ সন্তানসম্ভাবা মায়ের শরীরে গিয়ে আসলেই কাজ করে কি না সেই ব্যাপারে পরীক্ষা করার কোন নথিপত্র ও পাওয়া যায়নি।
ব্রাজিলই বা কেন আমেরিকা থেকে এমন একটি ভ্যাকসিন কিনে তার দেশে অত্যাবশ্যক করে দিলো যার কোন নির্দিষ্ট পরীক্ষার ইতিহাস নেই, নাকি এজন্য তারা উপযুক্ত পরিমাণে পকেট গরম করার সুযোগ পেয়েছে। এখন আবার আমেরিকা জিকা ভাইরাসের প্রতিষেধক এর পিছে ছুটছে। একইভাবে মিডিয়া ইবোলা ভাইরাস নিয়েও মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল।
অনেক দেশে সন্তানধারণ এরই মধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে আসলেই বিল গেটস এর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এজেন্ডা বাস্তবায়িত হচ্ছে। সম্প্রতি মাত্র একজন মানুষের সিমেনে এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়ার সাথে সাথেই একে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড অর্থাৎ শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ানো রোগের কাতারে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মানবমনে শারীরিক সম্পর্ক এবং সন্তান ধারণের প্রতি আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। ২০০৩ সাল থেকেই বিল গেটস জোরপূর্বক ভ্যাকসিনাইজেশন করে জন্মনিয়ন্ত্রণের স্বপক্ষে কথা বলে চলছে। (চলবে)
-আল হিলাল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বদ নযর বা কুদৃষ্টি এবং তার শরয়ী আহকাম (৪)
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অন্যায়কে ঘৃণা না করলে ঈমানদার থাকা যায় না
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে পবিত্র নামায ক্বছর হওয়ার জন্য সফরের দূরত্বের সঠিক পরিমাপ মাইল হিসেবে সফরের দূরত্ব
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তা’বীয ও ঝাড় ফুঁক সম্পর্কে শরয়ী ফায়সালা (৫)
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)