মন্তব্য কলাম
জাতিসংঘের আদিবাসী ঘোষণাপত্র ২০০৭- স্বাক্ষর করেনি বাংলাদেশ। পার্বত্য জেলার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীরা যে আদিবাসী নয় তাও ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। নতুন করে শুরু হচ্ছে আদিবাসী অপপ্রচার।
সরকারের উচিত, এক্ষুনি এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া। (প্রথম পর্ব)
, ২২ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২৮ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১৩ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
‘আদিবাসী’ নিয়ে বিতর্কের সমাধান দেয়া হয়েছে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে। সংবিধানের ৬ এর ২ ধারা মতে, জাতি হিসেবে বাঙালি ও নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশি বলে বিবেচিত হবে। এছাড়া বাঙালি ব্যতীত অন্যান্য যারা আছে তারা উপজাতি, নৃ-গোষ্ঠী বলে পরিচিত হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, সন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আদিবাসী ইস্যুকে জিইয়ে রেখে উপজাতি সন্ত্রাসীদের ঘৃণ্য এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। যেখানে স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় যে, বাংলাদেশের পার্বত্য ৩ জেলাতে বসবাসকারী উপজাতিরা আদিবাসী নয় সেখানে জোর করে তারা সরকারের কাছ থেকে নিজেদের আদিবাসী স্বীকৃতি গ্রহণ করতে চাচ্ছে।
১৯৮২ সালের আগস্ট মাসে জাতিসংঘে বিশ্বের আদিবাসীরা তাদের মানবাধিকার, অধিকার ও স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠী বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভা করেন। বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশে আদিবাসীদের জনসংখ্যা প্রায় ৩৭ কোটি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ থেকে ১৯৯৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালনের স্বীকৃতি পায় ৪৯/২১৪ বিধিমালায়। এরপর থেকে প্রতি বছর ৯ আগস্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক দিবসটি পালন করে থাকেন আদিবাসীরা। বিশ্বের সকল আদিবাসী তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, অধিকার ও নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালন করেন। তবে আদিবাসী শব্দটি নিয়ে বিশ্বের দেশে দেশে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারো ৯ আগস্ট সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব আদিবাসী দিবস। এ বছর বিশ্ব আদিবাসী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য: ‘ওহফরমবহড়ঁং ণড়ঁঃয ধং অমবহঃং ড়ভ ঈযধহমব ভড়ৎ ঝবষভ-ফবঃবৎসরহধঃরড়হ’. অর্থাৎ ‘আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আদিবাসী তরুণরাই মূলশক্তি’। বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষ হঠাৎ করে ২০০১ সাল থেকে নিজেদের আদিবাসী দাবি করে স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন শুরু করে। এদেশের অনেকেই স্বাভাবিক ও উদারতা দেখিয়ে ‘উপজাতি’ শব্দের শ্রুতিমধুর প্রতিশব্দ হিসেবে ‘আদিবাসী’ শব্দটিকে বিবেচনা করে থাকেন। সে অনুযায়ী তারা ‘উপজাতি’ শব্দের পরিবর্তে ‘আদিবাসী’ শব্দের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ ও দাবি জানিয়ে থাকেন। কিন্তু এটি এতো সরল সমীকরণের বিষয় নয়। আদিবাসীদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য জাতিসংঘের দুটি কনভেনশন রয়েছে। প্রথমটি আদিবাসী ও ট্রাইবাল কনভেনশন- ১০৭, (১৯৫৭) ও দ্বিতীয়টি আদিবাসী জনগোষ্ঠী ট্রাইবাল কনভেনশন-১৬৯ (১৯৮৯)। এছাড়াও রয়েছে আদিবাসী বিষয়ক জাতিসংঘ চার্টার। বাংলাদেশের উপজাতিদের আদিবাসী দাবির মূল প্রেরণা ও লক্ষ্য হচ্ছে আইএলও কনভেনশন- ১৬৯ এবং আদিবাসী বিষয়ক ইউএন চার্টারে। কিন্তু কী আছে এই ইউএন চার্টারে আমরা তা বেশিরভাগ সময়ই খতিয়ে দেখতে যাই না। কিন্তু আদিবাসী স্বীকৃতি বিষয়ক আলোচনায় এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৬১তম অধিবেশনে আদিবাসী বিষয়ক একটি ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। এর নাম ঞযব টহরঃবফ ঘধঃরড়হং উবপষধৎধঃরড়হ ড়হ ঃযব জরমযঃং ড়ভ ওহফরমবহড়ঁং চবড়ঢ়ষবং চার্টার। এ ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করলে ১৪৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে, ৪টি দেশ বিপক্ষে, ১১টি দেশ ভোট দানে বিরত এবং ৩৪টি দেশ অনুপস্থিত থাকে। ভোট দানে বিরত থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া দেশগুলো হচ্ছে- অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘোষণাপত্রে সর্বমোট ৪৬টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এসব অনুচ্ছেদের বেশ কয়েকটি ধারা একটি দেশের সার্বভৌমত্ব, অখ-তা, অস্তিত্ব, কর্তৃত্ব, সংবিধান ও আত্মপরিচয়ের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। এসব অভিযোগ তুলেই দেশগুলো ভোটদানে বিরোধিতা করেছে বা ভোটদানে বিরত থেকেছে। একই কথা আইএলও কনভেনশন- ১৬৯ এর বেলায়ও প্রযোজ্য। যেমন, দেশের ভৌগোলিক অখ-তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং সার্বিক বিবেচনায় রাষ্ট্রের স্বার্থের বিপক্ষে যাচ্ছে বলেই পৃথিবীর অনেক দেশই আইএলও কনভেনশন-১৬৯ অনুমোদন করেনি। প্রতিবেশী ভারতে ৭০৫টি স্বীকৃত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে। এদের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন আইন এবং সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকলেও ভারত নিজের দেশে ‘আদিবাসী’ কনসেপ্ট স্বীকার করে না। তাই, আইএলও কনভেনশন-১৬৯ অনুমোদন করেনি। (অওচচ ্ তওঋ, ২০১৭)। যদিও ভোটদানে বিরত ও বিরোধিতাকারী দেশগুলোর কেউ কেউ পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষণাপত্র গ্রহণ করেছে। কিন্তু এর বাস্তবায়ন নিয়ে সেসব দেশের আদিবাসীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া একটি আদিবাসী অধ্যুষিত দেশ। সেদেশে আদিবাসীদের ধনড়ৎরমরহধষ আখ্যা দেয়া হয়। অনড়ৎরমরহধষ ধহফ ঞড়ৎৎবং ঝঃৎধরঃ ওংষধহফবৎং- নামক দুইটি জনগোষ্ঠীকে অস্ট্রেলিয়ান সরকার আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে অসংখ্য সম্প্রদায় রয়েছে। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৯ লাখ ৮৪ হাজার, যা মোট জনসংখ্যার ৩.৮%। এই আদিবাসীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে। তবুও অস্ট্রেলিয়া জাতিসংঘের ২০০৭ সালের ঘোষণাপত্রের বিপক্ষে ভোট প্রদানকারীদের মধ্যে অন্যতম। তারা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করার পিছনে অনেকগুলো কারণ উল্লেখ করেছে। যেমন তাদের ভাষায়, আত্মনিয়ন্ত্রণের ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হতে পারে, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক সম্পত্তির অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে, ভূমি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের বাস্তবতা অনুধাবনে ব্যর্থতার সুযোগ রয়েছে, সম্মতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতায় রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে ভেটো দেয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি তাদের নিজেদের স্বার্থে গৃহীত অর্থনৈতিক বা প্রশাসনিক পদক্ষেপসমূহও বিরোধিতার মুখোমুখি হতে পারে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ হল এই যে, এই ঘোষণাপত্র আদিবাসীদের প্রথাগত আইনকে দেশের প্রচলিত আইনের উপরে স্থান দেয়া হয়েছে।
কানাডাও বিশ্বের প্রাচীন আদিবাসীদের দেশ। কানাডার সংবিধানে তিনটি জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তারা হচ্ছে, ওহফরধহং, ওহঁরঃ ধহফ গল্কঃরং. ২০১৬ সালের সেন্সাস অনুযায়ী, কানাডাতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৭০ হাজার। তবুও দেশের সংবিধানের সাথে বেমানান এবং চলনসই নয় অভিযোগ তুলে কানাডা জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষণাপত্রের বিরোধিতা করেছে। কানাডা সরকারের ভাষ্যমতে, দেশের সংবিধানে স্বাধীনতা এবং অধিকারের যে বিধান রয়েছে, জাতিসংঘের এই ঘোষণাপত্র তার সাথে চলনসই নয়। এর কয়েকটি আর্টিকেল নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, এগুলো আদিবাসীদের এমন কিছু অধিকার দিয়েছে, যা রাষ্ট্রের মৌলিক গঠনতন্ত্রের সাথে চলনসই নয়। এছাড়াও সাধারণ পাবলিক পলিসির ক্ষেত্রে আদিবাসীদের সম্মতি নেয়ার যে বিধান রাখা হয়েছে, তাও সমস্যা সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হয়েছে। এমনকি, মন্তব্য করা হয়েছে যে, এটি পশ্চিমা গণতন্ত্র অনুসরণকারী কোনো সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক সরকারের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। এছাড়াও, এটা শুধুমাত্র ‘ঋরৎংঃ ঘধঃরড়হং’ এর অধিকার রক্ষা করবে। বলাই বাহুল্য, এখানে র্ফাস্ট নেশন্স বলতে আদিবাসী বুঝানো হয়েছে। সমালোচনা করে বলা হয়েছে যে, কানাডাতে আদিবাসীদের অধিকার অন্যদের অধিকার খর্ব করতে পারে না। কারণ, এই দেশে দুই থেকে তিনশত বছর ধরে অন্যরাও আদিবাসীদের সাথেই পশু শিকার করেছে এবং মাছ ধরেছে।
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন আদিবাসী জনগোষ্ঠী মাওরিদের বসবাস নিউজিল্যান্ডে। সেখানে ৪৭ লাখ আদিবাসী বসবাস করে। তবুও নিউজিল্যান্ডের এই ঘোষণাপত্রের বিরোধিতা করার মূল কারণ ছিল, এটি আদিবাসীদেরকে অতি নাগরিকে (ঈরঃরুবহ চষঁং) এ পরিণত করে। একে দন্তবিহীন আখ্যা দিয়ে, এর বিরুদ্ধে ভোট প্রদান করে। নিউজিল্যান্ডের আপত্তির বক্তব্য অনুযায়ী, এটি দেশের সংবিধান এবং আইনী ব্যবস্থার সাথে বেমানান। মূলত এই ঘোষণাপত্রের চারটি ধারাকে মোটা দাগে অগ্রহণযোগ্য বলা হয়েছে। তন্মধ্যে, ভূমির অধিকার সংক্রান্ত ধারাটির ব্যাপারে আপত্তি সবচেয়ে জোরালো। আদিবাসী বা অ-আদিবাসী নাগরিকের মালিকানায় থাকা ভূমিতে আদিবাসীদের অধিকার স্বীকার করে নিলে যে জটিলতা সৃষ্টি হবে, তার সমাধান বাস্তবে অসম্ভব বলে মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে। যদিও পরে নানামুখী সমালোচনার মুখে নিউজিল্যান্ড জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষনাপত্র গ্রহণ করেছে। কিন্তু মাওরিদের অভিযোগ, নিউজিল্যান্ড তাদের উক্ত ঘোষণায় প্রাপ্ত সুবিধা দেয়নি। এছাড়া এখনো আইএলও কনভেনশন ১৬৯ ৎধঃরভু করেনি দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রে আদিবাসীদের নেটিভ আমেরিকান, রেড ইন্ডিয়ান ও আলাস্কা নেটিভ নামে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তবুও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই ঘোষণাপত্রটি যথাযথ পরিষ্কার মনে হয়নি। এমনকি, এর ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা সম্ভব বিধায়; এটি কোনো সার্বজনীন নীতি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে বলে মত প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যান্য দেশের আপত্তির সাথে সুর মেলানোর পাশাপাশি, ঘোষণাপত্রটি ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠীর’ কোনো পরিষ্কার ও নির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত না করতে পারার দিকে যুক্তরাষ্ট্র দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন বোল্টন এই ঘোষণাপত্রের বিরোধিতায় বলেছিলেন যে, ‘এটি ভালো অনুভব করার মতো এমন একটি দলিল (ধ শরহফ ড়ভ ভববষ-মড়ড়ফ ফড়পঁসবহঃ), যেখানে এমন অনেকগুলি অস্পষ্ট বাক্যাংশ রয়েছে (ংড় সধহু ঁহপষবধৎ ঢ়যৎধংবং) যে, আপনি যখন এটির সাথে একমত হবেন তখন নিশ্চিত হতে পারবেন না যে, এটি কী অর্থ বহন করে। যে দলিলের ভবিষ্যৎ প্রভাব সম্পর্কে আপনি সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারেন না, সেরকম একটি দলিলে স্বাক্ষর করা ভুল এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক (ৎিড়হম ধহফ ঢ়ড়ঃবহঃরধষষু ফধহমবৎড়ঁং)। ’ (ইবৎমবৎ, ২০১০)। আদিবাসী বিষয়ক ঘোষণাপত্র অনুমোদনের জন্য আহুত জাতিসংঘের উক্ত অধিবেশনে বিশ্বের অন্যতম আদিবাসী অধ্যুষিত এবং আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ে সোচ্চার দেশগুলোর দেয়া উক্ত বক্তব্য থেকে পরিস্কার বোঝায় যায়, আলোচিত চার্টারটি একটি দেশের স্বাধীনতা, অখ-তা, কর্তৃত্ব ও শৃঙ্খলার জন্য ব্যাপকভাবে হুমকি সৃষ্টিকারী।
বাংলাদেশের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীগুলো আদিবাসী স্বীকৃতি পেলে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে নিজস্ব আইনে নিজস্ব ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মুষ্টিমেয় চিহ্নিত উপজাতিরা দাবি করছে, ঐতিহ্য ও প্রথাগত অধিকার বলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল ভূমির মালিক তারা। একই অধিকার বলে সমতলের উপজাতীয় অধ্যুষিত এলাকার সকল ভূমির মালিকানা সেখানকার উপজাতীয়রা দাবি করবে। সেখানে যেসব ভূমি সরকারি ও ব্যক্তিগত মালিকানা (আদিবাসী নয়) রয়েছে তা ফেরত দিতে হবে বা তার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এমনকি উপজাতীয়রা রাজি না হলে সমতল থেকে সমপরিমাণ সমগুরুত্বের ভূমি ফেরত দিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে যেহেতু ঐ গোষ্ঠী সকল সামরিক স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার দাবি জানাচ্ছে, সেকারণে সেখান থেকে সকল সামরিক স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় যেসব বাঙালি বসতি স্থাপন করেছে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। ইউএনডিপিসহ কিছু বৈদেশিক সংস্থা ইতোমেধ্যে প্রকাশ্যে এ দাবি তুলেছে।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাপবিত্র রওজা শরীফ ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফের পবিত্র ভূমি জাজিরাতুল আরবকে অপবিত্র করে দিন দিন পরিণত করা হচ্ছে অবাধ পাপাচারের পঙ্কিলরাজ্যে নাউযুবিল্লাহ! কা’বা শরীফের আদলে তৈরি মঞ্চে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশন শো, উদ্দাম কনসার্ট, বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ কোটি টাকার ভারতীয় সিনেমার টিকিট; পালিত হচ্ছে হ্যালোইনও! নাউযুবিল্লাহ!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢেকে রাখলেই প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা (নাউযুবিল্লাহ) বোরকা পড়াকে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশ পর্দার আড়ালে নারীদের বন্দী, বৈষম্য এবং পিছিয়ে পড়ার অপবাদ দিলেও বাস্তবতা হচ্ছে গোটা ইউরোপ-আমেরিকায় নারীর প্রতি বৈষম্য হয়রানি, সহিংসতা, অত্যাচার আর ব্যভিচারের মাত্রা ভয়াবহ পশ্চিমাদের বোরকা নিষিদ্ধের প্রবনতা শুধুই ইসলাম আর মুসলিম বিদ্বেষ (পর্ব-১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চলচ্চিত্র নামক জাহান্নামী সংস্কৃতির ফাঁদে মুসলিম উম্মাহ। নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সিনেমার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিস্তার ঘটছে ইসলামোফোবিয়ার। পরকালের কথা স্মরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)