আপনাদের মতামত
জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয় তথ্য গোপন করা কেন? সরকার পক্ষ কেন প্রকৃত বিষয়টা প্রকাশ করে না?
, ১৫ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৯ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ০৩ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত
পশ্চিমা বিশ্ব ও তাদের সমমনা কাফের মুশরিকরা মিলে নিজস্ব অর্থায়নে এনজিও ও সেকুলার গণতান্ত্রিক সরকারের মাধ্যমে মুসলিমদেশ বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমিয়ে আনার একটা প্রকল্প শুরু করে। কিন্তু তাদের জন্য হতাশা ও পরিতাপের বিষয় হলো, এই প্রকল্প সফল হয়নি। বরং দিনদিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন যদি তারা প্রকৃত ব্যাপারটা প্রকাশ করে, তবে সে অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। বিশ্ব জরিপ সংস্থা ‘জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে’ দাবি করে এই কারণটাই বলার চেষ্টা করছেন।
তার উপর জনসংখ্যা কম দেখিয়ে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় বেশি দেখানো যায়। যদি বাংলাদেশে ১৬-১৭ কোটি বা ১৮-২০ কোটিই মানুষ হয়, তবে তো দেশে যা উৎপাদন হয় তা দিয়েই চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু না, অনেক খাদ্যপণ্যই আমদানি করতে হয়। তবে কেন? এটা থেকেও প্রমাণিত হয়, জনসংখ্যার প্রকৃত সংখ্যা সরকার পক্ষ প্রকাশ করে না, লুকিয়ে রাখে। যদি ৪০ কোটিরও বেশি লোকের আয়কে ১৮-২০ কোটি লোকের আয় হিসাবে দেখানো যায়, তবে মাথাপিছু আয় বেশি দেখানো যায়। তেমন করে ৪০ কোটিরও বেশি ভোগের চাহিদা হিসাব করে ১৮-২০ কোটিতে রূপান্তরিত করা যায়, তবে জিডিপিও বেশি দেখানো যায়। তখন দুর্নীতি লুটপাটও সহজ হয়। সরকার পক্ষ ও তার সহযোগীরা দেশে দুর্নীতির রাজ্য কায়েমের জন্যও প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করে না।
শুধু এগুলোই একমাত্র কারণ, এমন না। আরো আছে। বিশ্ব বাস্তবতায় চোখ বুলিয়ে দেখলে স্পষ্ট দেখা যায়, বিশ্বে মুসলমান দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশঙ্কাজনকহারে কাফের মুশরিকরা কমে যাচ্ছে। কাফেরদের মোকাবেলায় ‘বিশ্বে মুসলমান কম’ জুজু দেখিয়ে মুসলমানদের যে হীনম্মন্য করে রাখা হয়েছে, তাদের মনে একটা হালকা ভয় ঢুকানো গেছে, তা রক্ষার জন্যও আন্তর্জাতিকভাবে পশ্চিমা বিশ্ব ও তাদের মানসপুত্ররা প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করতে চায় না।
বাংলাদেশে ৪০ কোটিরও বেশি, ভারতে কম হলেও ৭০ কোটি হবে মুসলমান, পাকিস্তানেও ৩৫-৪০ কোটির মতো হবে। এখন হিসাব করে দেখেন, হিন্দুত্ববাদীদের মোকাবেলায় আমরা কম না-কি বেশি। এখন এটা যদি প্রকাশ পায়, তবে অন্যরকম একটা সাহস মুসলমানদের মনে থাকবে। আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। সেকুলার এবং কাফের-মুশরিকরা চায় না এই আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাক। এজন্য তারা প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করে না।
প্রকৃত সত্য প্রকাশ না করে, জুজু দেখিয়ে ভয় ও হীনমন্য করে যেমন রাখা হয়েছে, তেমন বেহিসাব লুটপাট করা গেছে। হীনমন্য করে রাখাটা বাংলাদেশে যেমন, ভারতেও তেমন, বাংলাদেশ হচ্ছে ভারতকে জনশক্তির দিক থেকে পালোয়ান হিসেবে তাড়া করে। আর আন্তর্জাতিকভাবে হচ্ছে মুসলমান কম দেখিয়ে ।
প্রকৃত সত্য হচ্ছে সারা বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি। সহায় সম্পদ ধনদৌলতেও মুসলমানরা কাফের মুশরিকদের থেকে এগিয়ে। এখন আমাদের উচিত হচ্ছে, হীনমন্যতা ত্যাগ করে মুশরিকদের বরাবর দাঁড়িয়ে সত্য বলে দেওয়া- আমরা খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াত শরীফ চাই।
-আছেমী নামদার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ স্টাইলের শাসকগোষ্ঠী দিয়ে উন্নয়ন নয়, লুটপাটই হবে
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলমানরা তাদের সন্তানদের কি শেখাচ্ছে, কি শেখানো উচিত? (২)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)