পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরা সম্পর্কে-
ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ (৫)
, ১৫ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৬ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هُوَ الَّذِيْ خَلَقَ لَكُمْ مَّا فِـي الْأَرْضِ جَمِيْعًا
সেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টি করেছেন সমস্ত কায়িনাতকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করার জন্য।
এখন উনার উম্মত হওয়ার কারণে সেই খিদমত মুবারক উনার হিসসা উম্মতরাও লাভ করে থাকে।
কাজেই এখন সূর্যের এবং চাঁদের খিদমতের বিষয়টা উল্লেখ্য। মহান আল্লাহ পাক তিনিতো পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বলেছেন পবিত্র নামায উনার বিষয়টা। সরাসরি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ كِتَابًا مَّوْقُوْتًا
নিশ্চয়ই পবিত্র নামাযকে ফরয করা হয়েছে মু’মিনদের জন্য, নির্দিষ্ট সময়ে। এখন পবিত্র যুহরের ওয়াক্তে বা জুমুয়ার ওয়াক্তে আছর মাগরিব ফজর নামায পড়লে চলবে না, কারণ নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। প্রত্যেক পবিত্র নামায উনার জন্য নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সে বিষয়টাও মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বলে দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَقِمِ الصَّلَاةَ لِدُلُوْكِ الشَّمْسِ إِلٰى غَسَقِ اللَّيْلِ وَقُرْاٰنَ الْفَجْرِ ۖ إِنَّ قُرْاٰنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُوْدًا
এ আয়াত শরীফ উনার মধ্যে, পাঁচ ওয়াক্ত পবিত্র নামায উনার বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
أَقِمِ الصَّلَاةَ لِدُلُوْكِ الشَّمْسِ إِلٰى غَسَقِ اللَّيْلِ
তোমরা নামায ক্বায়িম করো সূর্য যখন ঢলে যাবে। সূর্য ঢলে যেয়ে যুহর, আছর, মাগরিব রাত্রির অন্ধকার হওয়া পর্যন্ত, ইশার নামায।
وَقُرْاٰنَ الْفَجْرِ ۖ إِنَّ قُرْاٰنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُوْدًا
আর কুরআনাল ফার্জ হলো ফজর নামায। ফজর নামায তোমাদের জন্য সাক্ষী হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যুহর, আছর, মাগরিব, ইশা এবং ফজর পাঁচ ওয়াক্ত নামায উনাদের কথা পবিত্র কুরআন শরীফে বলে দিলেন। সেটা কখন? এ নামাযের সময় কিন্তু চাঁদের সাথে নয়, সূর্যের সাথে সংশ্লিষ্ট। সূর্য ঢললে পবিত্র যুহর ওয়াক্ত শুরু, দুই কাঠি পর্যন্ত পবিত্র যুহরের নামায। এরপর আছর নামায। যখন সূর্য ডুবে যাবে তখন মাগরিব হবে। তারপর যখন শাফাকে আবইয়াদ্ব হয়ে অন্ধকার হয়ে যাবে তখন ইশার নামায পড়তে হবে। আবার ছুবহি ছাদিক্ব যখন হবে তখন থেকে ফজর নামায সূর্য উঠার পূর্ব পর্যন্ত। এটা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে বলে দিয়েছেন। সূর্য অনুযায়ী নামাযের ওয়াক্তগুলো নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আবার রোযা উনার কথা যদি বলা হয়, তাহলে বলতে হবে পবিত্র রোযা উনার মাসটা চাঁদের সাথে সম্পৃক্ত।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ
তোমরা যারা পবিত্র রমদ্বান শরীফ উনার মাস পাবে তাদেরকে অবশ্যই পবিত্র রোযা রাখতে হবে। ওটা সূর্যের সাথে না, চাঁদের সাথে সম্পৃক্ত। যেটা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صُوْمُوْا لِرُؤْيَتِهٖ، وَأَفْطِرُوْا لِرُؤْيَتِهٖ، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ، فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ شَعْبَانَ ثَلَاثِيْنَ،
হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, চাঁদ দেখে রোযা রাখো, চাঁদ দেখে ঈদ করো। যদি উনত্রিশ তারিখে চাঁদ না দেখা যায়, তাহলে ত্রিশ দিন পুরা করো। ” এটা প্রতি মাসেরই একই হুকুম। এখানে চাঁদ দেখার সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কিন্তু পবিত্র রোযা যে রাখতে হবে, ইফতার, সাহরী করতে হবে সেটা কিন্তু চাঁদের সাথে নয়, সূর্যের সাথে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)