পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরা সম্পর্কে-
ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ (৫)
, ১৩ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৪ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১০ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এখন চাঁদের বিষয়টা যদি অনুধাবণ করা না যায় তাহলে পবিত্র হজ্জ করা বা সম্মানিত ইসলাম উনার যে অন্যান্য হুকুম আহকামগুলো রয়েছে, ইবাদত-বন্দেগী সেগুলো করা অত্যন্ত কঠিন। আজকাল যেমন অনেকেই বলে থাকে এদের অজ্ঞতা ও মূর্খতার কারণে, এরা কেউ মুফতী, মুহাদ্দিছ দাবি করে, অনেক কিছু দাবি করে থাকে, এরা বলে থাকে যে, সৌদি আরবে প্রত্যেক বৎসর প্রথম চাঁদ উঠবে। নাউযুবিল্লাহ! এদের ইলমের এতো যে সংকীর্ণতা, অজ্ঞতা, মূর্খতা যেটা স্বভাবিকভাবেই মানুষের কাছে ফিকিরের যোগ্য। এরা আসলে ফরয ইলম, যেটা অর্জন করা ফরয ছিলো সেটা তারা অর্জন করতে পারেনি। যার জন্য তারা মনে করে থাকে, সউদী আরব যেহেতু প্রত্যেক বৎসর প্রথম ঘোষণা দেয় চাঁদ দেখা সম্পর্কে তাই হয়ত; তারাই প্রথম চাঁদ দেখবে তা প্রত্যেক বছর এবং প্রতি মাসে দেখবে। নাউযুবিল্লাহ! চাঁদ পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে, যে কোন দেশ থেকে প্রথম চাঁদ দেখা যেতে পারে। সউদী আরবও দেখতে পারে, আমাদের দেশেও দেখা যেতে পারে, অন্যান্য ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকেও দেখা যেতে পারে। কাজেই চাঁদের বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সেজন্য ইরশাদ মুবারক করেছেন-
والشَّمْسَ وَالْقَمَرَ حُسْبَانًا
চাঁদ এবং সূর্যকে হিসাবের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। উভয়ে হিসাব মতো নির্দিষ্ট গতি পথে চলে থাকে। কিতাবে এসেছে-
اَلشّمْسُ لـِمَنَافِعٍ وَالْقَمَرَ لِمَنَاسِكٍ
সূর্যটা হচ্ছে ফায়দা দেয়ার জন্য আর চাঁদটা হচ্ছে ইবাদত বন্দেগীর জন্য নির্দিষ্ট। এখন সূর্যও ইবাদত করার জন্য এসে থাকে। প্রত্যেকটার জন্য আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
هُوَ الَّذِيْ جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاءً
সেই মহান আল্লাহ পাক যিনি সূর্যকে একটা আলোকপি- করেছেন, আলোকদানকারী করেছেন।
وَالْقَمَرَ نُوْرًا
চাঁদকে করেছেন ¯িœগ্ধময়। যেটা সূর্য থেকে আলো সংগ্রহ করে বিতরণ করে থাকে।
وَقَدَّرَهٗ مَنَازِلَ
প্রত্যেকের জন্য তার মনযিল তার গতিপথ নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।
لِتَعْلَمُوْا عَدَدَ السِّنِيْنَ وَالْـحِسَابَ
চাঁদ এবং সূর্যের গতিপথে যথাযথ চলার কারণে যেন তোমরা জানতে পারো বৎসরের সংখ্যা এবং হিসাব করতে পারো। বৎসর, মাস ও দিনগুলি। সেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَا خَلَقَ اللهُ ذٰلِكَ اِلَّا بِالْـحَقِّ
তিনি চাঁদ এবং সূর্যকে অনর্থক সৃষ্টি করেননি। অর্থাৎ চাঁদ এবং সূর্যকে যথাযথ সৃষ্টি করা হয়েছে।
يُفَصِّلُ الْاٰيَاتِ لِقَوْمٍ يَّعْلَمُوْنَ
যারা জ্ঞানী তাদের জন্যে এর মধ্যে নিদর্শন মুবারক রয়েছে। অর্থাৎ বিস্তারিত নিদর্শন মুবারক ও হুকুম আহকাম রয়েছে তাদের জন্য যারা সমঝদার এবং যারা জ্ঞানী।
কাজেই চাঁদের যে গতিপথ, সূর্যের যে গতিপথ সেটা মানুষকে ভালো করে বুঝতে হবে যদি তার ইবাদত বন্দেগীগুলি যথাযথভাবে করতে চায়। কারণ সূর্য ও চাঁদ সম্পর্কিত ইলম ছাড়া মানুষের পক্ষে ইবাদত বন্দেগী করা কখনও সম্ভব নয়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
هُوَ الَّذِيْ خَلَقَ لَكُمْ مَّا فِي الْأَرْضِ جَمِيْعًا
সেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন মানুষদেরকে ফায়দা দেয়ার জন্যে। আসলে প্রকৃতপক্ষে সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি হয়েছে এবং করেছেন যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, যিনি ইমামুল মুরসালীন, যিনি খতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়ার জন্যে।
যেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
وَتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَاَصِيْلًا
আমার যিনি হাবীব, যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করো, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো, ছানা-ছিফত মুবারক করো সকাল সন্ধ্যা তথা অনন্তকাল ধরে। এটা সমস্ত কায়িনাতের জন্য জিন-ইনসানসহ সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি হয়েছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করার জন্য, উনাকে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার জন্য এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক করার জন্য। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সকল কাফিররাই মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৫)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৪)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)