পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরা সম্পর্কে-
ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ (২)
, ০৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلِلّٰهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيْلًا ۚ وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ اللهَ غَنِـيٌّ عَنِ الْعَالَمِيْنَ.
যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি বলে দিচ্ছেন, জানিয়ে দিচ্ছেন, নিশ্চয়ই মানুষদের জন্য, জ্বিন ইনসানের জন্য পবিত্র কা’বা শরীফে হজ্জ করা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রিযামন্দী সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষ্যে ফরয করে দেয়া হলো।
وَلِلّٰهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيْلًا
যাদের পথ এবং পাথেয়, মাল, জান, ঈমানের নিরাপত্তা থাকবে, তাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেযামন্দী ও সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষে হজ্জকে ফরয করা হলো-
وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ اللهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِيْنَ
যে এ বিষয়গুলো অস্বীকার করবে, সে যেন এটা জেনে রাখে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব তিনি গণী, বেনিয়াজ সমস্ত কায়িনাত থেকে, সমস্ত আলম থেকে তিনি বেনিয়াজ, তিনি ছমাদ, তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। যারা এটা অস্বীকার করবে তারা কাফির হবে এবং মহান আল্লাহ পাক যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব তিনি এর মুহতাজ নন তিনি বেনিয়াজ, ছমাদ। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই বান্দা-বান্দী, উম্মত যাদের পথ, পাথেয় ঈমানের নিরাপত্তা, মালের ও জানের নিরাপত্তা থাকবে, সামর্থ্য থাকবে তাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষ্যে রেজামন্দী হাছিলের লক্ষ্যে হজ্জ করা ফরয হবে।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تعالٰى عَنْهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُوْجِبُ الْـحَجَّ قَالَ الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ.
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। এক ব্যক্তি হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কোন বিষয়গুলো কোন জিনিসগুলো পবিত্র হজ্জকে ফরয করে দেয়, ওয়াজিব করে দেয়?
قَالَ اَلزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ
পাথেয় এবং বাহন।
একটা লোক যে হজ্জ করতে যাবে তার যাবতীয় খরচ, যাতায়াত, সংসারের খরচ এবং বাহন, ঈমানের নিরাপত্তা, জানের নিরাপত্তা যদি থাকে তাহলে তার জন্য পবিত্র হজ্জ আদায় করা ওয়াজিব অর্থাৎ ফরয হয়ে যায়।
আরেক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تعالٰى عَنْهُ قَالَ سَأَلَ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَا حَبِيْبَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! ومَا السَّبِيْلُ؟ قَالَ زَادٌ وَّ رَاحِلَةٌ
হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যে বলেছেন সাবীলার কথা
مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيْلًا
এর অর্থ কি? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
زَادٌ وَّ رَاحِلَةٌ
পাথেয় এবং বাহন। অর্থাৎ একটা লোকের যাতায়াতের খরচসহ তার বাড়ীর খরচসহ সমস্ত খরচ যদি থাকে, পথের বাহনের ব্যবস্থা থাকে, জান-মাল এবং ঈমানের নিরাপত্তা যদি থাকে। অর্থাৎ ঈমানের নিরাপত্তা, মালের নিরাপত্তা, জানের নিরাপত্তা যদি থাকে তখন তার জন্য পবিত্র হজ্জ ফরয হয়ে যায়। সেটাই বলা হয়েছে সাবীলা।
পবিত্র হজ্জ উনার মাস সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেছেন-
اَلْـحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُوْمَاتٌ
হজ্জের মাসগুলো হচ্ছেন চিহ্নিত, সুবিদিত মাস। যেটা সকলেরই জানা রয়েছে, মশহূর।
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَوَّالٌ وَّ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْـحِجَّةِ
সে মাসগুলো হচ্ছেন- পবিত্র শাওওয়াল শরীফ, পবিত্র যিলক্বদ শরীফ এবং পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ। এ তিনটি হজ্জের মাস।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সকল কাফিররাই মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৫)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৪)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)