ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইসলামী আক্বীদা এবং উনার গুরুত্ব
, ২৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৪ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২৮ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
كُلُّ مُصَوِّرٍ فِى النَّارِ
“প্রত্যেক ছবি তোলনেওয়ালা তোলানেওয়ালা জাহান্নামী”।
এখানে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিষেধ করে দিলেন, জাহান্নামী বলে ঘোষণা দিলেন। এখন যদি কেউ চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে তাহলে সে তো ঈমানদার হিসেবে থাকতে পারবেনা।
كُلُّ لَعِبٍ حَرَامٌ
“সমস্ত খেলাধুলা হারাম”।
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঘোষণা মুবারক দিলেন। এখন কেউ যদি বলে, বর্তমান যামানায় প্রয়োজন রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! সে তো কাট্টা কাফির হয়ে যাবে। একইভাবে টিভি চ্যানেলে ইসলামী প্রোগ্রাম করে। নাউযূবিল্লাহ! কেউ যদি জায়িয বলে, সে তো ঈমানদার থাকতে পারবেনা।
অর্থাৎ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক তিনি সব বিষয় স্পষ্ট করে দিলেন, জানিয়ে দিলেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্পষ্ট করে বলে দিলেন যে দেখ, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা আদেশ মুবারক করবেন নির্দেশ মুবারক করবেন সব মানতে হবে, কোন চু-চেরা, কোন ক্বীল-ক্বীল করার এখানে সুযোগ নেই।
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার শানে নুযূলে বলা হয়। উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছিলো কেন? সেটা উম্মতের জন্য বান্দাদের জন্য ইবরত ও নছীহত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাদিম হযরত যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বিয়ে করাতে হবে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফুফাতো বোন হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে বিয়ে দিতে হবে, ছেলের প্রয়োজন মেয়ের প্রয়োজন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু তিনি ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একজন নবী এবং একজন রসূল আলাইহিমুস সালাম উনার সমস্ত কিছু চিন্তা-ধারণা মুবারক অর্থাৎ তিনি যা বলেন, করেন, চিন্তা মুবারক করেন, স্বপ্ন মুবারক দেখেন সমস্ত কিছু হচ্ছে সম্মানিত ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চিন্তা করেছিলেন, যদি এই ছেলে ও মেয়ে উনাদেরকে বিয়ে করিয়ে দেয়া হয় তাহলে তো আর নতুন করে ছেলে ও মেয়ের প্রয়োজন হয় না। শুধু এতটুকু চিন্তা করেছেন, এতে কোন সিদ্ধান্ত দেননি, ফায়সালা করেননি। সংবাদ পৌঁছলো হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার যিনি ভাই হযরত আব্দুল্লাহ বিন জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের কাছে, উনারা ফিকির করলেন, উনারা অস্বীকার করেননি, কোন চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করেননি কোন দ্বিমতও উনারা প্রকাশ করেননি। উনারা শুধু চিন্তা করেছিলেন, কুফূ যে বিষয়টা রয়েছে সে সম্পর্কে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শিক্ষা দিয়েছেন কুফূর বিষয়টা। এদিকে কুফূটা কি ঠিক থাকবে, এতটুকু চিন্তা করেছেন উনারা। সেই সময় মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করলেন। এতে কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি প্রথমে কিছু বলেননি। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাই উনার সমস্ত কিছুই সম্মানিত ওহী মুবারক। তিনি চিন্তা করেছিলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সাথে সাথে পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করলেন। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা ফযীলত বুঝানো হলো। উনার আদেশ-নির্দেশ মুবারক, উনার চিন্তা মুবারক সম্পর্কে বলা হলো যে, কোন অবস্থাতেই উনার মধ্যে কোন চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করা যাবেনা। নাযিল করা হলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করে দিলেন-
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللهُ وَرَسُولُهٗ أَمْرًا أَنْ يَكُوْنَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ ۗ وَمَنْ يَعْصِ اللهَ وَرَسُولَهٗ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُّبِيْنًا.
“কোন নর-নারীর জন্য জায়িয হবেনা মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যে ফায়সালা দিয়েছেন, তার মধ্যে কথা বলা, চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করা। যদি করে বা কিছু বলে তাহলে সে প্রকাশ্য গোমরাহে গোমরাহ হয়ে যাবে।”
এখানে কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেননি আগে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চিন্তা করেছিলেন। আর হযরত আব্দুল্লাহ বিন জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনারা কিন্তু অস্বীকার করেননি। তারপরেও মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে উম্মতদেরকে বান্দাদেরকে সতর্ক করে দিলেন যে, সাবধান হয়ে যাও, কোন অবস্থাতেই আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোন বিষয়ে চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করা যাবে না।
যখন আয়াত শরীফ নাযিল হলো উনারা আসলেন। এসে বললেন, হে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের কোন কথা নেই; কোন চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল নেই, কোন দ্বিমত নেই। আমরা শুধু ফিকির করেছিলাম কুফূর বিষয়টা। কুফূর বিষয়টা চিন্তা করেছিলাম যে একটা কুফূ বা সমকক্ষতার বিষয় রয়েছে। আপনি শিক্ষা দিয়েছেন। এটার কি ফায়সালা, এতটুকু শুধু।
এর মধ্যে পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হলো। এটা হযরত ছাহাবায়ে কিয়াম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের জন্য তো আয়াত শরীফ নাযিল হবে। তখন তো উনারা ছিলেন, সকলেই হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। আর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিই তো নাযিল হবে আর তো কারো প্রতি ওহী নাযিল হবে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা ফয়সালা করে দিলেন। পরবর্তী উম্মতরা যেনো ইবরত হাছিল করে, নছীহত হাছিল করে এর থেকে যে, কোন রকম চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল না করে।
যদি করে সে কিন্তু প্রকাশ্য গোমরাহে গোমরাহ হয়ে যাবে। এখন এখান থেকে কিন্তু ইবরত হাছিল করতে হবে, অনেক নছীহত হাছিল করতে হবে। পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে। ইবরত যদি কেউ হাছিল করে, নছীহত কেউ যদি হাছিল করে তার জন্য অল্পতেই যথেষ্ট।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় সম্মানিত মশহূর লক্বব মুবারক এবং এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় বেমেছাল খুছূছিয়ত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
উম্মু আবীহা, খাইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত হুজরা শরীফে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (৩০)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)