ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম (২০)
, ০৮ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
إِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَنْ تُغْنِيَ عَنْهُمْ أَمْوَالُهُمْ وَلَا أَوْلَادُهُمْ مِّنَ اللهِ شَيْئًا وَأُولٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيْهَا خَالِدُوْنَ
প্রথম আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি যা বলেছেন, এই আয়াত শরীফ উনার মধ্যেও তদ্রƒপ বললেন, যারা কাফির এদের ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি দিয়ে অর্থাৎ ধনবল, জনবল, মনোবল, রাজ্যবল দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছ থেকে কোন ফায়দা লাভ করতে পারবে না।
যেমন- ফিরআউন চারশত বছর রাজত্ব করেছে, শাদ্দাদ এক হাজার বছর রাজত্ব করেছে, নমরূদ সতেরশ বছর রাজত্ব করেছে, কুফরী করেছে, অনেক হারাম কাজ করেছে, মহান আল্লাহ পাক উনার সরাসরি বিরোধিতা করেছে। মহান আল্লাহ পাক উনার যাঁরা রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিরোধিতা করেছে। ফলে তাদের ধনবল, জনবল, রাজ্যবল তাদের কোন ফায়দা দিতে পারেনি। এখন তারা জাহান্নামের কীট হয়েছে। এখন জাহান্নামের আযাব-গযব ব্যতীত তাদের কোন উপায় নেই।
সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, তোমরা কোন ফায়দা লাভ করতে পারবে না। প্রথম আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে জাহান্নামের ইন্ধন, লাকড়ি। পরের আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বললেন-
এরা হচ্ছে জাহান্নামের অধিবাসী। অনন্তকাল ধরে وَأُولٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيْهَا خَالِدُوْنَ
সেখানে থাকবে। অনন্তকাল ধরে সেখানে থাকবে যারা কুফরী করবে, কুফরী করে মারা যাবে। এটা মনে রাখবেন, খুব কঠিন বিষয়। খুব সূক্ষ্ম বিষয় নিজের ঈমানকে হিফাযত করা।
যেটা অন্য আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলেন-
إِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَمَاتُوْا وَهُمْ كُفَّارٌ فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْ أَحَدِهِمْ مِّلْءُ الْأَرْضِ ذَهَبًا وَّلَوِ افْتَدٰى بِهٖ أُولٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ وَمَا لَهُمْ مِّنْ نَّاصِرِيْنَ
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
إِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَمَاتُوْا وَهُمْ كُفَّارٌ
নিশ্চয়ই যারা কাফির এবং কুফরী করে মারা গেছে তাদের অবস্থা কি? মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলতেছেন-
فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْ أَحَدِهِمْ مِّلْءُ الْأَرْضِ ذَهَبًا وَّلَوِ افْتَدٰى بِهٖ
তারা যদি যমীন থেকে আসমান পরিপূর্ণ স্বর্ণ এই কুফরীর বিনিময় কাফফারা বাবদ দেয় তবুও মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা কবুল করবেন না।
أُولٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ وَمَا لَهُمْ مِّنْ نَّاصِرِيْنَ
তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে এবং তারা কোন সাহায্যকারী পাবে না।
যমীন থেকে আসমান পরিমাণ যদি স্বর্ণ কেউ কাফফারা বাবদ দেয় সেটাও কিন্তু কবুল করা হবে না। তাকে এই কুফরীর শাস্তি ভোগ করতেই হবে। নাউযুবিল্লাহ!
কাজেই বিষয়টা খুব ফিকির করতে হবে। আমরা মুসলমান, আমরা ঈমানদার দাবি করে থাকি। কাজেই ঈমানদার দাবি করার সাথে সাথে ঈমান উনার যে বিষয়গুলো রয়েছে সেটা জেনে তারপর ইস্তিকামত থাকতে হবে।
এই বিশ্বাসের উপর ইস্তিকামত থাকতে হবে। কোন অবস্থাতেই এই বিশ্বাস থেকে নড়া যাবে না। যদি কেউ আক্বাইদের কোন একটা বিষয় থেকে সরে যায় সে কিন্তু ঈমানদার থাকবে না। সেটা আমি অনেকবার বলেছি। অতীতেও বলেছি। একটা লোক পুরুষ-মহিলা, বাবা-মা, দাদা-দাদী হতে পারে, নানা-নানী হতে পারে। অনেকে বলে থাকে, সন্তানরা কথা শুনে না। এর লক্ষ-কোটি কারণ থাকতে পারে, তবে এর মধ্যে একটা বড় কারণ সেটা হচ্ছে, এই বাবা-মা যারা রয়েছে তারা কিন্তু তাদের অজান্তেই কুফরী করে থাকে। কুফরী করাটা কঠিন ছিল। এখনতো মানুষের জন্য সেই কঠিন যে ব্যাপারটা, সেটা দূর হয়ে গেছে। এখন উলামায়ে ‘সূ’ যারা রয়েছে, এরা হারাম কাজ করে থাকে। এরা টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে। সাধারণ মানুষ মনে করে, টিভি চ্যানেলে ইসলাম শিক্ষা করা যায়। অর্থাৎ জায়িয। নাউযুবিল্লাহ! (অসমাপ্ত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীর মহাসম্মানিত মুয়াল্লিমাহ্
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে জাদু করার কারণে উনার দাসীকে ক্বতল বা মৃত্যুদ-
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তা’লীম গ্রহণ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছিফত মুবারক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪৫)
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত মু’জিযাহ শরীফ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৭)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সত্যের মাপকাঠি
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র “মাক্বামে মাহমূদ” উনার বেমেছাল তাফসীর বিষয়ে খারেজী জাহমিয়া ফিরকার মুখোশ উম্মোচন (৯)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি। যা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান মুবারক উনারই বহিঃপ্রকাশ মুবারক (৪)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাইতুল্লাহ বা পবিত্র মসজিদ ও বাইতুর রসূল বা পবিত্র মাদরাসা সম্পর্কে ইলিম (১)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)