ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম (১১)
ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
, ২২ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২০ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ. اَللهُ الصَّمَدُ. لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ. وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا أَحَدٌ.
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আপনি বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি এক। মহান আল্লাহ পাক তিনি বেনিয়াজ বা কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি কারো কাছ থেকে আসেননি এবং উনার থেকেও কেউ নয়। এবং উনার সমকক্ষ কেউ নয়। মহান আল্লাহ পাক উনার পরিচয়, গোত্র, বংশ, ছেলে-মেয়ে, আল-আওলাদ, স্ত্রী-পুত্র ইত্যাদি সম্পর্কে কাফিররা যখন জিজ্ঞেস করলো, যেহেতু তাদের মহান আল্লাহ পাক উনার সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। তারা জিজ্ঞেস করলো, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি যে মহান আল্লাহ পাক উনার সংবাদ দিচ্ছেন। যার কথা বর্ণনা করতেছেন, যিনি আমাদের মা’বূদ, খলিক্ব উনার পরিচয় কি? কোথায় থাকেন? কি করেন? ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী-পুত্র কতজন উনার রয়েছেন? আমাদের জানার বিষয় রয়েছে। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফ নাযিল করে দিলেন। হে ব্যক্তিরা! তোমরা জেনে রাখ, মহান আল্লাহ পাক উনাকে তোমাদের মত মনে করো না।
قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ. اَللهُ الصَّمَدُ.
বলুন, মহান আল্লাহ পাক তিনি এক, মহান আল্লাহ পাক তিনি বেনিয়াজ। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। এবং তিনি কারো কাছ থেকে আসেননি। উনার থেকে কেউ নয় এবং উনার সমকক্ষ কেউ নয়।
কাজেই, মহান আল্লাহ পাক উনার তৌহিদের কথা মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ঘোষণা করে দিলেন। যে, এই বিষয়ে পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফের উপর ঈমান আনতে হবে। তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি যেরূপ বিশ্বাস বা আক্বীদা পোষণ করার আদেশ করা হয়েছে তা পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফ বিশ্বাস করলে, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি বিশ্বাস তার যথাযথ হবে। এর মধ্যে চু-চেরা, কিল-কাল সে করতে পারবে না। কোন দিক থেকে اَللهُ الصَّمَدُ মহান আল্লাহ পাক তিনি বেনিয়াজ, কতটুকু বেনিয়াজ? হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন যে দেখ, মহান আল্লাহ পাক তিনি বেনিয়াজ কতটুকু, ‘আল্লাহ’ শব্দ মুবারক যে রয়েছে এ শব্দ মুবারক থেকেও মহান আল্লাহ পাক তিনি বেনিয়াজ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘আল্লাহ’ শব্দ মুবাকেরও মুহতাজ নন। আমরা, যিনি আমাদের খলিক্ব ও মালিক, উনাকে ডাকব কি করে, সেজন্য ‘আল্লাহ পাক’ বলে ডেকে থাকি। কিন্তু হাক্বীক্বতান মহান আল্লাহ পাক তিনি এ শব্দেরও মুহতাজ নন। এর চাইতেও মহান আল্লাহ পাক তিনি উর্ধ্বে। এর মুখাপেক্ষীও মহান আল্লাহ পাক তিনি নন।
কাজেই, মহান আল্লাহ পাক তিনি আল্লাহ পাক-ই, সেটা বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক উনার কোন শরীক নেই। এখন অনেকে চু-চেরা ও কিল-কাল করে থাকে, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে শরীক বানিয়ে থাকে। কেউ মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শরীক বানিয়ে থাকে। যেমন যাতি নূর, ছিফতি নূর ইত্যাদি নানান চু-চেরা, কিল-কাল। কিন্তু হাক্বীক্বত মহান আল্লাহ পাক তিনি মহান আল্লাহ পাক-ই। মহান আল্লাহ পাক উনার যে তৌহিদ রয়েছে সেটা যে রকম রয়েছে ঠিক সে রকমই বিশ্বাস করতে হবে। তাহলে সে ঈমানদার হতে পারবে। পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফের মধ্যে যা বর্ণনা করা হয়েছে, একটা বিন্দু থেকে বিন্দুতম চু-চেরা, কিল-কাল করে, বাড়ানো, কমানো, ইফরাত-তাফরীত করে, তাহলে কোন ব্যক্তি ঈমানদার থাকতে পারবে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি এক, বেনিয়াজ, কারো মুখাপেক্ষী নন। কোন কিছুরও মুখাপেক্ষী নন। তিনি কোন মাখলুকাতের মুখাপেক্ষী নন এবং উনার থেকে কেউ আসেনি, উনি কারো কাছ থেকে নন। উনার সমকক্ষ কেউ নয়। মহান আল্লাহ পাক উনার মেছালের সমকক্ষও কেউ নয়। কাজেই, এখানে বিন্দুতম চু-চেরা করলে সে কাফির হয়ে যাবে। কাজেই, তৌহিদ সম্পর্কে এই আক্বীদা বা বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে, এটা বিশ্বাস স্থাপন করার পর সে ফেরেশ্তা, কিতাব, রসূল, পরকাল, তাক্বদীর, পুনরুত্থান, পর্যায়ক্রমে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। যদি প্রথমটাই কেউ বিশ্বাস স্থাপন না করে তাহলে পরবর্তীগুলি তার আর বিশ্বাস করার জরুরত নেই। কাজেই, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বীভাবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা মুতাবেক আক্বীদা পোষণ করার এবং তাতে দায়িম ও ক্বায়িম থাকার তাওফীক দান করেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় সম্মানিত মশহূর লক্বব মুবারক এবং এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় বেমেছাল খুছূছিয়ত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)