সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান, খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য মুবারক সম্পর্কে
ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ (২৯)
, ১৪ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পূর্ব প্রকাশিতের পর
কাজেই এ থেকে বুঝা যায়, উনার মর্যাদা, উনার মর্তবা-ফযীলত, উনার খুছূছিয়ত, উনার বৈশিষ্ট্য কত অপরিসীম। বিষয়টা তো সোজা বিষয় নয়। যিনি নূরে মুজাসসাম, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, যিনি খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুরূপ উনার সমস্ত কিছু ছিলো। এটা তো সোজা বিষয় নয়। এবং স্বয়ং যিনি হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি নিজেই এটা বলেন-
مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشْبَهَ
আমি কাউকে দেখিনি অনুরূপ, এতো মুশাবাহা, এতো মিল। এবং তিনি অন্য হাদীছ শরীফ-এ বলেছেন, অনেক সময় আওয়াজ শুনে আমরা মনে করতাম অথবা চালচলন মুবারক-এর শব্দ শুনে মনে করতাম হয়তো নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আসছেন। আমরা তা’যীমের জন্য দাঁড়িয়ে যেতাম। কিছুক্ষণ পর দেখতাম, লক্ষ্য করতাম, তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সরাসরি নন। উনার লখতে জিগার সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
এত বেমেছাল উনার মিল ছিলো। এখন কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলেন-
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে কাওছার হাদিয়া করেছি। অর্থাৎ কাওছারের তো লক্ষ কোটি অর্থ, প্রধান যে দু’টা অর্থ আমরা বলে থাকি- তা হচ্ছে, হাউজে কাওছার, যে হাউজে কাওছারের পানি পান করলে জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত আর কেউ পিপাসিত হবে না। সুবহানাল্লাহ! আরেকটা অর্থ হচ্ছে খইরে কাছীর, সমস্ত ভালাই হাদিয়া করা হয়েছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে। আরেকদিক থেকে উনার ছোহবতে আসার কারণে সবকিছুই উত্তম থেকে উত্তমতম হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারকের যে তাছীর, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, কুরআন শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে। কুরআন শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, যিনি জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ওহী মুবারক করলেন যখন উনার আহাল ও ইয়াল উনাদেরকে নিয়ে আসছিলেন। আগুনের প্রয়োজন হলো তখন তিনি রাত্রিবেলায় কাছে আগুন দেখতে পেলেন। সেখানে গেলেন আগুন আনার জন্য। নেদা হলো-
نُودِيَ يَامُوسَى
মহান আল্লাহ পাক তিনি নেদা করলেন, হে কালীমুল্লাহ হযরত মূসা আলাইহিস সালাম!
إِنِّي أَنَا رَبُّكَ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ إِنَّكَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى
মহান আল্লাহ পাক তিনি নেদা করলেন, হে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনি এসেছেন আলোর জন্য, বাতির জন্য, আমি আপনার রব যিনি খালিক্ব মালিক মহান আল্লাহ পাক। আপনি যে স্থানে এসেছেন সে স্থানটি একটা পবিত্র স্থান- তূর পাহাড়ের পাদদেশ। কাজেই, আপনি আপনার না’লাইন শরীফ খুলে আসুন। এটা কুরআন শরীফ উনার আয়াত শরীফ।
এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, কেন তিনি না’লাইন শরীফ খুলে আসবেন? একজন জলীলুল ক্বদর রসূল উনার না’লাইন শরীফ-এর তো অনেক মর্যাদা। যেহেতু উনার জিসিম মুবারক-এর স্পর্শে ধন্য, এটাতো অনেক মর্যাদার, এটা খুলে আসতে হবে কেন? মহান আল্লাহ পাক জানালেন, এখানে আরশে মুআল্লা, সম্মানিত আরশ, আরশে আযীম-এর যে নূর মুবারক রয়েছে, সেই নূর মুবারক-এর ৭০ হাজার ভাগের একভাগ তাযাল্লা এখানে যাহির হবে। সুবহানাল্লাহ!
সেই আরশে আযীম, আরশে মুআল্লা উনার ৭০ হাজার ভাগের এক ভাগ নূর এখানে যাহির হবে, তূর পাহাড়ের পাদদেশে। কাজেই স্থানটা সম্মানিত। এখানে তো না’লাইন শরীফ আনা যেতে পারে না। আপনি সেটা খুলে আসুন। সত্যিই তিনি খুলেই গেলেন।
এই যে বিষয়টা, আরশে আযীমের ৭০ হাজার ভাগের এক ভাগ নূর এখানে যাহির হবে। সেজন্য না’লাইন শরীফ খুলে যেতে হবে একজন জলীলুল ক্বদর রসূল উনার। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তো কোন মিছাল নেই। যেহেতু উনার মর্যাদা-মর্তবা, ফযীলত সম্পূর্ণ ভিন্ন।
(পবিত্র ওয়াজ শরীফ অডিও রেকর্ড পেতে যোগাযোগ করুন- তাহযীব তামাদ্দুন বিভাগ, রাজারবাগ শরীফ ঢাকা)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীর মহাসম্মানিত মুয়াল্লিমাহ্
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে জাদু করার কারণে উনার দাসীকে ক্বতল বা মৃত্যুদ-
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তা’লীম গ্রহণ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছিফত মুবারক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪৫)
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত মু’জিযাহ শরীফ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৭)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সত্যের মাপকাঠি
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র “মাক্বামে মাহমূদ” উনার বেমেছাল তাফসীর বিষয়ে খারেজী জাহমিয়া ফিরকার মুখোশ উম্মোচন (৯)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি। যা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান মুবারক উনারই বহিঃপ্রকাশ মুবারক (৪)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাইতুল্লাহ বা পবিত্র মসজিদ ও বাইতুর রসূল বা পবিত্র মাদরাসা সম্পর্কে ইলিম (১)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)