চিনি মুক্ত খাদ্য উপাদান হিসেবে সুইটেনারকে বিপদমুক্ত মনে করে অবাধ ব্যবহার চলছে। কিন্তু আসলেই কি সুইটেনার তেমন ক্ষতিকর না?
গবেষণা বলছে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মারাত্মক ঝুঁকি বাড়াতে পারে কৃত্রিম সুইটেনার। অতএব সবাইকে সাবধান হতে হবে।
, ১৬ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৩ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ০১ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৬ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
শুধু ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ নয়, ওজন কমানোর জন্য লো-ক্যালোরি ডায়েট করতেও মানুষ ঝুঁকছে চিনির এসব কৃত্রিম বিকল্পে। এ যুগের মানুষের পক্ষে এসব সুইটেনার এড়ানোর উপায়ও কমছে দিনকে দিন। না চাইলেও নিজের অজান্তেই হয়তো সেগুলি অনেকে গ্রহণ করে চলেছেন।
বিগত বছরে হংকংয়ে বিক্রি হওয়া খাদ্যপণ্যের ওপর এক জরিপে দেখা গেছে, সালাদ ড্রেসিং, পাউরুটি, ইনস্ট্যান্ট ন্যুডলসের মতো বহু পণ্যেই রয়েছে এর উপস্থিতি।
সুইটেনার আমাদের খাদ্যাভ্যাসের সাথে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছে যে, নদীতে মানব বর্জ্যের দূষণের মাত্রা নির্ধারণের সময় পরিবেশ বিজ্ঞানীরা সেখানে এসসালফেম পটাশিয়ামের মতো সুইটেনারে ব্যবহৃত উপাদান খোঁজেন। বেশিরভাগ সময়েই এসব উপাদান আমাদের অন্ত্রে পরিপাক না হয়েই শরীর থেকে নিঃসৃত হয়।
সুইটেনারের এই সর্বব্যাপীতার অন্যতম কারণ কিন্তু উন্নত দেশগুলোয় চিনির ওপর আরোপিত নানান কর ব্যবস্থার সাফল্য, যা ২০১০ সাল থেকে ৪০টির বেশি দেশে চালু করা হয়েছে।
যেহেতু বিশ্বের বড় ভোগ্যপণ্যের কর্পোরেশনগুলো পশ্চিমা দেশগুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা প্রভাবিত, তাই বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও আছড়ে পরে এই ‘সুগার ফ্রি’ ট্রেন্ড। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শহুরে জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি, শিক্ষার বিস্তার, পশ্চিমা জীবনযাত্রা বা খাদ্যাভ্যাসের অনুকরণ, জনপ্রিয়তা, গণমাধ্যমের প্রচারণা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে চিনি এড়িয়ে চলার প্রবণতাও এই কৃত্রিম মিষ্টিকারকের বিস্তারের কারণ হয়েছে। আজকাল এনার্জি ড্রিংকস বাজারজাতকরণেও দেওয়া হচ্ছে ‘সুগার ফ্রি’ সেøাগান। অথচ, এনার্জি ডিংকসে চিনিই সেই উপাদান যা আপনাকে চনমনে করবে বা এনার্জি দেবে, তাহলে এই প্রচারে যুক্তিটাই বা কোথায়?
নানাবিধ খাদ্যপণ্যে সুইটেনার হিসেবে বহু ধরনের কৃত্রিম উপাদানের ব্যবহার যেভাবে বাড়ছে, তাতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এগুলো সত্যিই তেমন গুণ সম্পর্কিত কিনা- যা এগুলোর সম্পর্কে বলা হয়। সুইটেনার নিয়ে ব্যাপক এক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও বা হু)। এই গবেষণার ভিত্তিতে হু’ ‘নন সুগার সুইটেনার’ সম্পর্কিত নতুন এক খসড়া গাইডলাইন জারি করে, যা সুইটেনার বিপুলভাবে ব্যবহারকারী কোমল পানীয় শিল্পকে উৎকণ্ঠিত করেছে।
খাবারে চিনির বদলে দীর্ঘদিন কৃত্রিম সুইটেনারের ব্যবহারে টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও)। জাতিসংঘের এই সংস্থাটি সতর্ক করেছে, সুইটেনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে কোনো ধরনের সাহায্য করে না। বরং দীর্ঘদিন এই কৃত্রিম সুইটেনার গ্রহণ একটি সময় পর বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাদ্য ও পানীয় শিল্পের পণ্যগুলোতে সাধারণত অ্যাসপার্টেম, স্টিভিয়া ও স্যাকারিনের মতো উপাদানগুলো যোগ করা হয়, তবে সেগুলো অন্তত ওই সব খাদ্যপণ্যে চিনি বা শর্করার পরিমাণ কমানোর জন্য ব্যবহার হয় না।
চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত জিরো ক্যালোরি পণ্য এরিথ্রিটল গ্রহণে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। বহুল ব্যবহৃত এ খাদ্যপণ্যের সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধা, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এমনকি মৃত্যু ঝুঁকিরও যোগাযোগ দেখা গেছে।
হৃদরোগের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ডায়াবেটিসের মতো ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যায় ভুগছেন, তাদের রক্তে সর্বোচ্চ মাত্রায় এরিথ্রিটল থাকলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত: জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা তৈরী করা সরকারের সাংবিধানিক কর্তব্য। পাশাপাশি স্বাস্থ্য রক্ষা এবং এ সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন মুসলমানের জন্য ফরজ। কাজেই সরকারকেও যেমন সাংবিধানিক কর্তব্য হিসেবে সুইটেনারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরী করতে হবে। তেমনি ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদেরও ঈমানী কর্তব্য হিসেবে সুইটেনার পরিপূর্ণরুপে অগ্রনী হতে হবে ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)