চাঁদ এবং ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদীদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত (৭) আরবী মাসের তারিখ ঘোষণা নিয়ে সউদী সরকারের ষড়যন্ত্রের নেপথ্য কথা
, ১৫ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
দ্বিতীয় মনগড়া পদ্ধতিতে মাস গণনার প্রমাণ:
অনেকেই মনে করে থাকে যে, সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার হয়তো চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করে, আসলে তা নয়। বিগত বছরগুলোতে মহাকাশ বিজ্ঞানীসহ সাধারণ মানুষের কাছে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, যদি খালি চোখে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করাকে বিবেচনায় আনা হয়, তাহলে সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার সঠিক তারিখে আরবী মাস শুরু করেনি।
চিত্র-১: “মাজলিশ-আল-ইফতা আল আ’লা” কর্তৃক জর্দান মহাকাশ বিষয়ক সংস্থাকে প্রেরিত টেলিগ্রামের নমুনা।
ঘটনাক্রমে সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কাউন্সিল “মাজলিশ-আল-ইফতা আল আ’লা” থেকে জর্দান মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা একটি টেলিগ্রাম পায়, যাতে ধরা পড়ে সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার খালি চোখে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করে না; বরং তাদের নিজস্ব মনগড়া নিয়ম অনুযায়ী আরবী মাস ঘোষণা করে। তাদের এই মনগড়া নিয়ম হচ্ছে সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স ১২ ঘণ্টার বেশি হলে নতুন আরবী মাস শুরু হবে। কিন্তু বাস্তবে কোনোদিন এই নিয়মে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা সম্ভব নয়। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তাদের এই মনগড়া নিয়ম বলবৎ ছিল।
তৃতীয় মনগড়া পদ্ধতিতে মাস গণনার প্রমাণ:
সাধারণত অমাবস্যার পর নতুন চাঁদের জন্ম হয়। সেই নতুন চাঁদ যখন পশ্চিমাকাশে খালি চোখে দেখা যায়, তখন নতুন আরবী মাস গণনা শুরু হয় আর চাঁদ দেখা না গেলে পুরানো মাস ত্রিশ দিনে গণনা করা হয়।
চিত্র-২: সউদী শূরা কাউন্সিলের বর্ণিত মনগড়া নিয়মের চিত্রিক নমুনা
সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার ১৯৯৯ সাল থেকে আরবী মাস গণনার ক্ষেত্রে তৃতীয় মনগড়া নিয়ম চালু করে, যা ২০০১ সাল পর্যন্ত বলবৎ ছিল। এই মনগড়া নিয়মে বলা হয়- মাসের ২৯তম দিনে যদি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার আকাশে সূর্যাস্তের পরে চাঁদ অস্ত যায়, তবেই নতুন মাস শুরু হবে। এই নতুন মনগড়া নিয়মেও খালি চোখে চাঁদ দেখে মাস শুরু করাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। আর মহাকাশ বিজ্ঞানের তথ্য অনুযায়ী, চাঁদ অমাবস্যাতে পৌঁছানোর পূর্বেও এমন হতে পারে যে সূর্যাস্তের পরেই চাঁদ অস্ত যাবে। অর্থাৎ শুধু সূর্যাস্তের পরে চাঁদ অস্ত যাওয়ার বিষয় বিবেচনা করে মাস শুরু করা অর্থহীন।
সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার কর্তৃক দ্বিতীয় মনগড়া পদ্ধতি রহিত করে তৃতীয় মনগড়া পদ্ধতি চালু করার কারণে তাদের নিজেদের ক্যালেন্ডারেই দুই রকম তারিখ পরিলক্ষিত হয়। ১৯৯৯ সালে যখন তৃতীয় মনগড়া পদ্ধতি চালু করে, তখন তাদের পূর্ববর্তী অর্থাৎ দ্বিতীয় মনগড়া পদ্ধতিতে রচিত (যা ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত অনুসরণ করা হয়েছে) ক্যালেন্ডারে ১৪২০ হিজরী সনের পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার পহেলা তারিখ উল্লেখ আছে ৮ ডিসেম্বর। আর নতুন নিয়মে বা তৃতীয় মনগড়া পদ্ধতিতে রচিত (যা ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অনুসরণ করা হয়েছে) ক্যালেন্ডারে ১৪২০ হিজরী সনের পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার পহেলা তারিখ উল্লেখ আছে ৯ ডিসেম্বর।
অর্থাৎ একই বছরের (১৪২০ হিজরী সনের) পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার পহেলা তারিখ পুরাতন বা দ্বিতীয় মনগড়া পদ্ধতিতে ৮ ডিসেম্বর আর নতুন বা তৃতীয় মনগড়া পদ্ধতিতে ৯ ডিসেম্বর উল্লেখ আছে।
অথচ দুটো তারিখই ভুল। চাঁদের সঠিক হিসাব অনুযায়ী ওই বছর পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার প্রথম তারিখ শুরু করা উচিত ছিল ১০ ডিসেম্বর।
চিত্র-৩: সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার কর্তৃক দুইটি আলাদা মনগড়া পদ্ধতিতে রচিত ১৪২০ হিজরী সনের পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ক্যালেন্ডারের দুইটি পাতা
ডান দিকের ছবিতে দেয়া আছে- ১৪২০ হিজরী সনের পহেলা রমাদ্বান শরীফ ৮ ডিসেম্বর আর বাঁয়ের ছবিতে দেয়া আছে ১৪২০ হিজরী সনের পহেলা রমাদ্বান শরীফ ৯ ডিসেম্বর। (চলবে)
-এবিএম রুহুল হাসান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীর মহাসম্মানিত মুয়াল্লিমাহ্
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে জাদু করার কারণে উনার দাসীকে ক্বতল বা মৃত্যুদ-
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তা’লীম গ্রহণ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছিফত মুবারক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪৫)
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত মু’জিযাহ শরীফ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৭)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সত্যের মাপকাঠি
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র “মাক্বামে মাহমূদ” উনার বেমেছাল তাফসীর বিষয়ে খারেজী জাহমিয়া ফিরকার মুখোশ উম্মোচন (৯)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি। যা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান মুবারক উনারই বহিঃপ্রকাশ মুবারক (৪)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাইতুল্লাহ বা পবিত্র মসজিদ ও বাইতুর রসূল বা পবিত্র মাদরাসা সম্পর্কে ইলিম (১)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)