গাড়ির মামলা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা (পর্ব-১)
, ১৪ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৫ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আইন ও জিহাদ
“ড্রাইভিং লাইসেন্স” নির্দিষ্ট শ্রেণীর মোটরযান চালানোর জন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কর্তৃত্ব প্রদান করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দ্বারা প্রদত্ত দলিল বা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্ত না হয়ে যারা গাড়ি চালায় তখন সেই ব্যক্তির নিকট থাকা গাড়িটির নামে মামলা দেওয়া হয় এটাই মূলত গাড়ির মামলা। এছাড়াই আইনে উল্লেখিত আরো অনেক নিয়ম কানুন ভঙ্গ করলেও গাড়ির নামে মামলা করা হয় বা জরিমানা করা হয়।
কি কি কারণে গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে?
বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো হলে।
সঠিক জায়গায় গাড়ি পার্ক না করা হলে।
চলাচল করতে গিয়ে পুলিশের নির্দেশনা অমান্য করা হলে।
গাড়ির ফিটনেস সংক্রান্ত কাগজপত্র নবায়ন করা না হলে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন না করা।
এ ছাড়াও আইন অনুযায়ী আরো কিছু বিষয় কে কেন্দ্র করে পুলিশ আপনার গাড়ি আটক করতে পারে।
যানবাহনের ত্রুটি, যেমন- যেমন হেডলাইট না জ্বলা বা না থাকা, ইন্ডিকেটর লাইট না থাকা বা না জ্বলা, সাধারণ পরিবহন/গাড়ীর বডিতে পার্টিকুলার বা বিবরণ না থাকা, মালিক বা মালিকের নাম ঠিকানা না থাকা, গাড়ীতে অতিরিক্ত আসন সংযোজন অথবা গাড়ীতে বিআরটিএ অনুমোদন ছাড়া কোন সংযোজন বা পরিবর্তন করা, ইত্যাদি কারণে যানবাহন মামলা হতে পারে।
ট্রাফিক আইন না মানা, যেমন- ট্রাফিক সিগন্যাল/লাইট না মেনে গাড়ী চালানো, বিপদজনকভাবে দ্রুত গতিতে গাড়ী চালানো, যখন তখন লেন পরিবর্তন করা, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা, হেলমেট ছাড়া মটরসাইকেল চালানো ইত্যাদি কারণে মামলা হতে পারে।
বৈধ কাগজপত্র না থাকলে, যেমন- রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন, ইন্স্যুরেন্স, সাধারণ পরিবহনের জন্য রুট পারমিট, সর্বোপরি চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি না থাকলে মটরযান আইনে মামলা হতে পারে। এগুলোকে ডকুমেন্টারি মামলা বলা হয়।
গাড়ি আটক করার সময় পুলিশের করণীয়:
পুলিশ গাড়ি আটক করার সময় একটি বা দু’টি কাগজ জব্দ করে থাকেন। পুলিশ গাড়ি আটক করার সাথে সাথে আপনাকে একটি রশিদ প্রদান করেন। পুলিশের প্রদানকৃত রশিদের পেছনেই লেখা থাকবে কোন জোনের ট্রাফিক পুলিশ আপনার গাড়িটি আটক করলো। আপনাকে সেই জোনের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
উক্ত প্রদানকৃত রশিদের পেছনে জোন ভিত্তিক আপনার উপস্থিতির সময় লেখা থাকবে। সে অনুয়ায়ী আপনি সেই জোনে গেলে আপনার সময় বাঁচবে বা কাজটা সহজ হবে। মনে রাখবেন আপনাকে প্রদানকৃত রশিদ বা কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট অফিসে পৌঁছাতে সাধারণত তিন-চারদিন সময় লাগে। সুতরাং আপনার ৫ দিন পরে উক্ত অফিসে যোগাযোগ করাই ভালো হবে।
কে জরিমানা করলেন? আপনার গাড়ীটি কোথায়? কি অপরাধে আপনার গাড়ীটির উপর জরিমানা করা হল? আপনাকে কত তারিখের মধ্যে হাজির হতে হবে? সকল কিছুই রশিদটিতে লিখে দেয়া থাকবে। সংশ্লিষ্ট জোনের ডেপুটি কমিশনার জরিমানা নির্ধারণের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করে থাকেন।
এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার অনুকূলে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে পারবেন। ডেপুটি কমিশনার পূর্ণ জরিমানার চার ভাগের এক ভাগ পর্যন্ত জরিমানা নির্ধারন পারেন, এমনকি জরিমানা সম্পুর্ণ মওকুফও করে দিতেও পারেন। জরিমানা দেবার জন্য ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের অফিস থেকে আরেকটি রশিদ আপনাকে দেয়া হবে।
জরিমানা না দিলে বা যথাসময়ে হাজির না হলে অপরাধের ধরণ, ঘটনাস্থল ইত্যাদির প্রতিবেদন সহকারে মামলাটি আদালতে প্রেরণ করা হবে এবং আপনার নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করার জন্য।
জরিমানা নির্ধারনের পর আপনি যদি মনে করেন আপনার ওপর অন্যায় করা হয়েছে তাহলে আপনিও আদালতে যেতে পারেন। যদিও সামান্য জরিমানার জন্য আদালতে গিয়ে আর্থিক বিচারে আপনার কোন উপকার হবে না, তবে রায় আপনার অনুকূলে গেলে সেটি আপনার জন্য একটি নৈতিক বিজয় হতে পারে। এত ঝামেলা করে কেউ সাধারণত জরিমানা চ্যালেঞ্জ করতে আদালতে যেতে চান না।
মটর সাইকেল-মাইক্রো/কার/বাস ভাড়ায় ব্যবহৃত হলে?
মটর সাইকেল-মাইক্রো/কার/বাস ভাড়ায় ব্যবহৃত হলেও গাড়ির মালিকের নামেই মামলা হবে। গাড়ি ভাড়াই চালিতো হলে যে ড্রাইভারের লাইসেন্স রয়েছে তার কাছে গাড়ি দিয়ে ভাড়াই চালাতে পারবেন।
মাইক্রো/কার/বাস ভাড়ায় ব্যবহৃত না হলে?
মাইক্রো/কার/বাস ভাড়ায় ব্যবহৃত না হলেও গাড়ির কোন মামলা হলে গাড়ির মালিকের নামেই মামলা হবে।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের ফিরিস্তি (৭)
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৫)
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের ফিরিস্তি (৬)
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
২৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৪)
২৫ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের ফিরিস্তি (৫)
২৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের ফিরিস্তি (৪)
১৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৩)
১৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১২ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (২৩)
১২ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরীমূলক কাজের ফিরিস্তি (৩)
১০ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (২)
০৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)