মন্তব্য কলাম
গণতন্ত্রে ইসলাম ও মুসলমান কখনও নিরাপদ নয় মুসলমানদের জন্য ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ সম্পূর্ণ ভূয়া ও প্রতারণা মুসলমানদের ক্ষেত্রে ভারতের সংবিধান সম্পূর্ণ অকার্যকর মুসলমানদের সম্পত্তি দখল, মুসলমানদের দ্বীন ইসলাম পালনে হিন্দুদের অন্তর্ভূক্তিকরণ
সর্বপোরি মুসলমানদের অবনত ও অপদস্থ করার জন্যই ভারতীয় রাজ্যসভায় পাস হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিশ্ব মুসলিমের উচিত- ভারতীয় মুসলমানদের আন্দোলনের সাথে একাত্ম হওয়া ভারতে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা ইনশাআল্লাহ
, ০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম

এটাই গণতন্ত্র। এখানে হালাল-হারামের বিচার নেই। শরীয়তের মূল্যায়ন নাই। চরম ইসলাম বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও ১৩ ঘন্টা বিতর্ক হলোও লোকসভায় ঠিকই। পাস হয়েছে মুসলমানও ওয়াকফ বিল।
লোকসভায় ৫৬ ভোটের ব্যবধানে পাস হয়েছে সংশোধিত ওয়াকফ বিল। ২৮৮ জন সাংসদ বিলের পক্ষে ভোট দেয়। বিপক্ষে দেয় ২৩২ জন সাংসদ। এখানে মুসলমানদের ইসলাম প্রাধান্য পায়নি। প্রাধান্য পেয়েছে সংখ্যাধিক্য।
বিশেষজ্ঞরা বলেছে, ভারতে সদ্য পাশকৃত ওয়াকফ বিল মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। মুসলিমদের সম্পত্তিতে সরাসরি হস্তক্ষপের জন্যই ওয়াকফ বিল পাশ করেছে বিজেপি সরকার।
সংস্কারের নামে মোদি সরকার মুসলমানদের সম্পত্তিতে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। নতুন করে দাঙ্গা বাধিয়ে মুসলমানদের হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যাপক বিরোধিতার পরও বিলটি পাশ করেছে মোদি সরকার।
ইসলামী ঐতিহ্যে, ওয়াকফ হলো সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য মুসলমানদের প্রদত্ত একটি দাতব্য বা ধর্মীয় দান। এই ধরনের সম্পত্তি বিক্রি বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না।
মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান এবং এতিমখানার জন্য এগুলো ব্যবহার করা হয় বলে ভারতের ২০ কোটি মুসলমানের কাছে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
সম্পত্তিগুলো এখন পর্যন্ত ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন দ্বারা পরিচালিত হয়, এর অধীনে এগুলো পরিচালনার জন্য রাজ্য-স্তরের বোর্ড রয়েছে। এই বোর্ডগুলোতে রাজ্য সরকারের মনোনীত ব্যক্তি, মুসলিম আইনপ্রণেতা, রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্য, ইসলামী প-িত এবং ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপকরা থাকেন।
বিবিসি জানিয়েছে, আইনটি সংশোধনে ভারতের পার্লামেন্টে যে নতুন বিল আনা হচ্ছে তাতে ৪০টির বেশি সংশোধনীর কথা বলা হয়েছে।
পার্লামেন্টের সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি যৌথ কমিটির প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ চলতি অধিবেশনেই বিলটি তোলার আশা করা হয়েছিল। কিন্তু ওই কমিটি এখন তাদের সুপারিশ জমা দিতে আরও সময় চেয়েছে।
ভারতে মসজিদ, মাদ্রাসা, আশ্রয়কেন্দ্র এবং হাজার হাজার একর ওয়াকফ জমির ব্যবস্থাপনা একটি বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার বলছে, ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির মূলোৎপাটন এবং আইনটির সংস্কারে মুসলিমদের দাবির প্রেক্ষিতেই আইন সংশোধন করা হচ্ছে।
তবে কয়েকটি মুসলিম গোষ্ঠী এবং বিরোধী দল এসব সংশোধনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করতে মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলের প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে।
ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী, মুসলিমরা নিজেদের সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণে তাদের ইসলাম বিরোধী সম্পত্তি দান করে। এটিই হচ্ছে ওয়াকফ বা ধর্মীয় দান। এসব সম্পত্তি আল্লাহর, তাই এগুলো বিক্রি বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না, এমন ধারণা প্রচলিত।
ওয়াকফ সম্পত্তির একটি বিশাল অংশ মূলত মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান এবং এতিমখানা নির্মাণে ব্যবহৃত হয়।
দ্বাদশ শতাব্দীতে মধ্য এশিয়ার শাসকরা দিল্লির সালতানাতে বসার পর থেকেই ভারতে ওয়াকফ ঐতিহ্য চলে আসছে।
এসব ওয়াকফ সম্পত্তি এখন ওয়াকফ অ্যাক্ট, ১৯৯৫ এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই আইনের অধীনে রাজ্যভিত্তিক বোর্ড গঠন করা হয়। এসব বোর্ডে রাজ্য সরকারের মনোনীত ব্যক্তি, মুসলিম আইন প্রণেতা, রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্য, ইসলামিক প-িত এবং ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপক অন্তর্ভুক্ত থাকেন।
দেশটির সরকার বলছে, ভারতে এখন যারা বিশাল বিশাল জমির মালিক, তাদের মধ্যে ওয়াকফ বোর্ডগুলো অন্যতম।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতজুড়ে কমপক্ষে ৮৭২৩৫১টি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে।
নয় লাখ ৪০ হাজারের বেশি একরের এসব সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ১১ লাখ কোটি রুপি।
ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তির একটি বড় অংশ বিভিন্ন ব্যক্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি বিভিন্ন সংস্থা দখল করে নিয়েছে। কিন্তু সেসব অভিযোগের দিকে মনোযোগ নেই সরকারের।
বিলের সবচেয়ে বিতর্কিত প্রস্থাবগুলোর একটি হল ওয়াকফ সম্পত্তির মালিকানা বিধিতে পরিবর্তন, যা বোর্ডের অধীনে থাকা অনেক ঐতিহাসিক মসজিদ, দরগা এবং কবরস্থানগুলোর ওপর প্রভাব ফেলবে।
এসব সম্পত্তির অনেকগুলোই কয়েক প্রজন্ম ধরে মুসলমানরা ব্যবহার করছে। কিন্তু এসব সম্পত্তির নথিপত্র নেই। কারণ কয়েক দশক বা শতাব্দী আগে মৌখিকভাবে বা আইনি নথি ছাড়াই এগুলো দান করা হয়েছিল।
১৯৫৪ সালের ওয়াকফ আইনের মাধ্যমে এসব সম্পত্তি ‘ব্যবহারকারীর ওয়াকফ’ হিসেবে গণ্য হতো। কিন্তু প্রস্তাবিত সংশোধনীতে সেই বিধানটি বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ফলে ওয়াকফ সম্পত্তির বিশাল একটি অংশর ব্যবস্থাপনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
শিকওয়া-ই-হিন্দ: দ্য পলিটিক্যাল ফিউচার অফ ইন্ডিয়ান মুসলিমস-এর লেখক অধ্যাপক মুজিবুর রেহমানের ভাষ্য, এই ধরনের দীর্ঘস্থায়ী সম্প্রদায়ের সম্পত্তির মালিকানা খুঁজে বের করা জটিল, কারণ তাদের ব্যবস্থাপনা এবং কাজের পদ্ধতি কয়েকশ বছর আগের মুঘল ব্যবস্থা থেকে শুরু ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সময় এবং বর্তমান পর্যন্ত চলে এসেছে।
নতুন বিলটি মুসলিমদের উদ্বেগের সমাধান করতে না পারলেও ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণে তাদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্যভাবে কেড়ে নিবে।
কারণ ওয়াকফ বোর্ডের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, অমুসলিমদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে সংশোধনীতে।
ওয়াকফ সম্পত্তির মালিকানা বিধিও বদলানোর কথা বলা হয়েছে সংশোধনীতে।
শুধু মুসলমানদের সম্পত্তির উপর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নয়, মুসলিমদের ওপর হিন্দু সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
সংশোধনী প্রস্তাবে ওয়াকফ বোর্ডগুলোকে জেলা কালেক্টরদের কাছে তাদের সম্পত্তির নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে।
পরে জেলা কালেক্টররা সরকারকে সুপারিশ করবেন, কোনো সম্পত্তিতে ওয়াকফের দাবি বৈধ কি না।
এটি ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা চরমভাবে খর্ব করবে।
ভারতীয় পার্লামেন্টের সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসির অভিযোগ, এই বিধান মুসলমানদের জমি কেড়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
বর্তমান আইনে রাজ্য সরকারগুলো একজন জরিপ কমিশনার নিয়োগ করে, যিনি ওয়াকফ সম্পত্তি চিহ্নিত করে একটি তালিকা প্রস্তুত করেন। তারপর তালিকাটি রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়। পরে যা আইনি বিজ্ঞপ্তি করা হয়। এক বছরের মধ্যে কোনো দাবিদার পাওয়া না গেলে ওই সম্পত্তির চূড়ান্তভাবে ওয়াকফ হয়ে যায়।
সংশোধনের ফলে কিছু ওয়াকফ সম্পত্তির বর্তমান অবস্থা বদলে যাবে বলে মনে করেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
“অনেকে অবৈধভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করে আছে। এর মানে (নতুন আইনে) তারা দাবি করার সুযোগ পাবে যে সম্পত্তিটি তাদের,” বলেন তিনি।
মুসলিম দলগুলো বলছে, আইন সংশোধনের এই প্রক্রিয়া অনেক ঐতিহাসিক দরগা ও মসজিদকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।
ওয়াকফ আইন সংশোধন করার মাধ্যমে সরকার ওই সম্পত্তি কব্জা করতে চাইছে। মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব করতে চাইছে বিজেপি সরকার। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ কাঠামোয় আঘাত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের প্রবেশাধিকার নিয়েও সব মুসলিমদের চরম আপত্তি রয়েছে।
বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের প্রস্তাব পেশ করার পর থেকেই ভারতজুড়ে শুরু হয়েছিল সমালোচনার ঝড়। তবে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলটি এরই মধ্যে ভারতের সংসদে পাস হয়েছে। এখন এটিতে শুধু রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষা।
ওয়াকফ বিল পাস করাতে সরকারের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগবে। সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগে। লোকসভা ও রাজ্যসভা দুই জায়গাতেই এনডিএ-র সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। ফলে সরকারের পক্ষে বিল পাস করাতে অসুবিধা হবে না।
অন্যদিকে, সাংসদ সাওয়ন্ত ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলমান সদস্য এবং ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের সিইও পদে আমলা নিযুক্ত করার সমালোচনা করে বলেছে, “সরকার কি মন্দির কমিটিতে অ-হিন্দুদের থাকার অনুমতি দেবে?”
কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই বিলের বিরোধিতা করবে। কারণ, তারাও মনে করে, এই বিল সংবিধানসম্মত নয়। দিল্লির বিক্ষোভে কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ-সহ একাধিক নেতা যোগ দিয়েছিলেন।
ওয়াকফ বিল নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু করেছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড(এআইএমপিএলবি)। বুধবার পাটনায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। ২৯ তারিখ অন্ধ্রপ্রদেশে আন্দোলন হবে। কিছুদিন আগে দিল্লিতে এই আন্দোলন হয়েছে।
এই সংশোধনী বিলটি পাসের প্রতিবাদে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গেরজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
শুক্রবার কলকাতার পার্ক সার্কাসের সেভেন পয়েন্টে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের নামে হাজার হাজার মানুষ।
পোস্টার, পতাকা, স্লোগান দিয়ে বিতর্কিত ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে তারা। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতের বিরুদ্ধেও স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এই সমাবেশের পর কার্যত সেভেন পয়েন্ট অবরুদ্ধ করেন বিক্ষোভকারীরা। এক পর্যায়ে তাদেরকে সামাল দিতে নামানো হয় পুলিশ বাহিনী।
কলকাতার পার্ক সার্কাসের পর আসানসোলেও এই বিতর্কিত বিলের বিরুদ্ধে পথে নামেন সম্মানিত মুসলমানগণ। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে আসা জামাল উদ্দিন শেখ বলেন, আমরা এই বিলের প্রতিবাদে আজ আসানসোল বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিলাম। আগামী দিনে যদি এই বিল না ফেরত নেওয়া হয় তাহলে কলকাতা থেকে আসানসোল পর্যন্ত অবরোধ করা হবে।
বিক্ষোভকারী আব্বাস আলী খান জানিয়েছেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছি। আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। এই অন্যায়ের প্রতিবাদেই আমরা আজ সবাই একত্রিত হয়ে এই বিলের প্রতিবাদ করছি। কেন্দ্রীয় সরকার যদি এখনো এই ওয়াকফ বিল ফেরত না নেয় তাহলে এর থেকেও বড় আন্দোলনে যাওয়া হবে।
বিশ্ব মুসলিমের উচিত- ভারতীয় মুসলমানদের আন্দোলনের সাথে একাত্ম হওয়া ভারতে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
স্বাধীনতা উত্তর এ পর্যন্ত কখনও জাতীয় চৈত্র সংক্রান্তি দিবস ঘোষণা করা হয়নি। এমনকি অন্তবর্তী সরকারের ২০২৫ সালের জাতীয় দিবস ঘোষণার পরিপত্রেও তা ছিলো না। হঠাৎ করে ৯ই এপ্রিল জাতীয় চৈত্র সংক্রান্তি দিবস ঘোষণা হলো কিভাবে? মাদরাসায় চৈত্র সংক্রান্তি পালনের নির্দেশের অর্থ হলো মুসলমানদের ইসলাম ত্যাগ করার নির্দেশ। মুসলমানদের হিন্দু ও উপজাতি হওয়ার নির্দেশ। মুসলমানদের হরেক রকমের পূজা করার নির্দেশ।
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্বাধীনতা উত্তর এ পর্যন্ত কখনও জাতীয় চৈত্র সংক্রান্তি দিবস ঘোষণা করা হয়নি। এমনকি অন্তবর্তী সরকারের ২০২৫ সালের জাতীয় দিবস ঘোষণার পরিপত্রেও তা ছিলো না। হঠাৎ করে ৯ই এপ্রিল জাতীয় চৈত্র সংক্রান্তি দিবস ঘোষণা হলো কিভাবে?
১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দুঃখজনক হলেও সত্য অধিকাংশ সাধারণ মুসলমান এখনো জানে না পবিত্র ফিলিস্তিন ভূমি- শীর্ষ সন্ত্রাসী ইসরায়েলিদের দ্বারা জঘণ্য বর্বর, নিকৃষ্ট জবরদখলের ইতিহাস তথাকথিত সভ্য রাষ্ট্র দাবীদার আমেরিকা, ব্রিটেনের নির্মম নিষ্ঠুর আঁতাতের ইতিহাস
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নারীরা এখন প্রকাশ্যে সিগারেট থেকে সব ধরণের মাদক সেবন ও বিকি-কিনিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে। রক্ষা পেতে নারীদের জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার বিকল্প নেই
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সঠিক পরিসংখ্যান ও জরিপের অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার সঠিক পরিসংখ্যান ছাড়া শুধু অর্থনীতিই নয় কোনো খাতেরই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা সম্ভব নয় বাজার নিয়ন্ত্রণে চাই সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত জরিপ তথা পরিসংখ্যা
০৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ উনাদের বেমেছাল ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
০৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী ওয়াক্ত মুতাবিক রাজারবাগ শরীফ সুন্নতী জামে মসজিদ-এ দেশের সর্বপ্রথম ঈদুল ফিতর উনার জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬:৩০ মিনিটে
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যেদেশে জনগণকে সব ক্ষমতার উৎস ধরা হয়, সেদেশের জনগণ থেকে ভেজালশূন্যতা আশা করা যায় না। সেদেশে সর্বত্রই ভেজাল, এমনকি মশলাতেও ভেজাল পাওয়া যাবে- এটাই স্বাভাবিক। গণতান্ত্রিক আইন দ্বারা ভেজাল রোধ করা সম্ভব নয়।
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশে কয়েক বছরে ধনী-গরীব বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থায় জাতীয় সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে গুটিকয়েক ব্যক্তির হাতে ধনী গরীব বৈষম্য দূরীকরণে যাকাত ব্যবস্থাই একমাত্র সমাধান
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)