খেলাধূলা বনাম বাস্তবতা
, ১৭ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৩ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির মধ্যে খেলা বা অপ্রয়োজন নেই, ঠিক তেমনি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষেরও উচিত নয়, তার জীবনটা খেলাচ্ছলে ব্যয় না করা।
আসলে, আজকাল সাধারণ মানুষের মধ্যে খেলার ব্যাপক বিস্তার তো ঘটেছেই, উপরন্তু ধর্মীয় বক্তা, খতিবরা পর্যন্ত মাঠে গিয়ে খেলাধূলা করে। অনেক মাদরাসায় বিকেল বেলায় দেখা যায় ছাত্ররা খেলাধূলায় মত্ত। নাউযুবিল্লাহ!
আসলে আগে মুসলমানরা এভাবে খেলাধূলা নামক অপ্রয়োজনীয় জিনিসে সময় ব্যয় করতো না। তারা অবসরে ঘোড়া দৌড়, তীর-তরবারি চালানো, যুদ্ধ প্রশিক্ষণে সময় ব্যয় করতো। আপনারা জানেন, সম্প্রতি ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধ চলমান। ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের শিক্ষা ব্যবস্থা অনুযায়ী, সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সেনা প্রশিক্ষণ নেয়া বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। কখনও যদি যুদ্ধ লাগে, তবে তারা সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেখা যায়, এই যুদ্ধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিটি ইসরায়েলী শিশু ছোট বয়স থেকেই যুদ্ধ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের শত্রু সম্পর্কে ধারণা পায়। ফলে ‘শত্রুকে ধ্বংস করে বিশ্বজুড়ে ইহুদীবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে’ এই ধারণা প্রতিটি ইহুদী শিশুকে ছোটবেলা মন-মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের মধ্যে এই চর্চাটি নেই। বরং আমাদেরকে কত উপায়ে অপ্রয়োজনীয় খেলাধূলায় মত্ত থাকা যায়, সেই শিক্ষা দেয়া হয়। অথচ হাদীছ শরীফে মুসলমানদের খেলাধূলা নয়, বরং যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করা হয়েছে। পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মানুষের প্রত্যেক খেলাধূলা বাতিল, তবে তীর নিক্ষেপ, ঘোড়া দৌড় এবং নিজ স্ত্রীর সাথে শরীয়তসম্মত হাসি-খুশি ব্যতীত।” (তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ এবং ছহীহ ইবনে খুযাইমা)
আসলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের যুদ্ধ প্রশিক্ষণের বিষয়টি যে নেই তা নয়। আছে। এই দায়িত্বটা দেয়া আছে, সরকারের বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অধিদপ্তরকে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষা বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলাই হল বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)-এর দায়িত্ব। কিন্তু এ বিষয়টি পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত নয়, সামান্য কিছু শিক্ষার্থীকে বাছাই করে এ ট্রেনিং দেয়া হয়। কিন্তু সবাইকে এর সাথে সংযুক্ত করা হয় না। অপরদিকে বাংলাদেশে পাঠ্যবইয়ে ‘শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধূলা’ নামক বিষয়ের মাধ্যমে খেলাধূলাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং সেখানে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক নম্বরও সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রতিটি শিক্ষার্থী বাধ্যতামূলক খেলাধূলায় সম্পৃক্ত হচ্ছে।
আমাদের নতুন প্রজন্মকে খেলাধূলা থেকে বাস্তব জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসা খুব খুব দরকার।
-মুহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাইতুল্লাহ বা পবিত্র মসজিদ ও বাইতুর রসূল বা পবিত্র মাদরাসা সম্পর্কে ইলিম (৩)
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদুয যামান, সুলত্বানুল আরিফীন, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক (৩)
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীর মহাসম্মানিত মুয়াল্লিমাহ্
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে জাদু করার কারণে উনার দাসীকে ক্বতল বা মৃত্যুদ-
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তা’লীম গ্রহণ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছিফত মুবারক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪৫)
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত মু’জিযাহ শরীফ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৭)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)