খেলাধুলার অপর নাম নিষ্ঠুর অমানবিকতা
, ০৬ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আপনাদের মতামত
প্রাচীন রোমান সম্রাজ্যের গ্ল্যাডিয়েটর হওয়ার জন্য বেছে নেয়া হতো ক্রীতদাস, বন্দী ও ভিন্ন মতাদর্শের মানুষকে। ময়দানে তাদের হিংস্র পশুর সাথে ছেড়ে দেয়া হতো। গ্ল্যাডিয়েটর আর হিংস্র পশুর বাঁচা-মরার লড়াই চতুর্পাশ থেকে দর্শক ও রোমান শাসকরা বিনোদন হিসেবে উপভোগ করতো। তারা আনন্দ করতো, চিৎকার করতো। দর্শকদের জন্য সেই লড়াই আনন্দের হলেও গ্লাডিয়েটরদের জন্য তা মোটেও আনন্দের ছিলো না।
আধুনিক যুগে কিছু বহুল প্রচলিত খেলাধূলা গ্ল্যাডিয়েটরদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যেমন- ক্রিকেট খেলা, যেখানে একজন বোলার বল করে, বাউন্স দেয় ব্যাটারের মাথা, বুক, পেটকে টার্গেট করে। ব্যাটার কোন মতে সেই বাউন্স থেকে মাথা বাঁচায়। আবার কেউ বাউন্স থেকে মাথা বাঁচাতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। আবার কারো মাথায় বাউন্স লেগে মৃত্যুও হয়। অথচ এই নিষ্ঠুর অমানুষিক দৃশ্য দেখে দর্শকরা হৈ হুল্লা করে, বিনোদন পায়। কেউ ইনজুরিতে পা ভাঙ্গে, কারো হাত ভাঙ্গে, কারো হাঁটুতে, কারো কাঁধে অস্ত্রোপচার। কেউ ব্যাথায় চিৎকার করে, কেউ অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়, কেউ ভাঙ্গা-সেলাই করা হাত নিয়ে ব্যাটিং-বোলিং করে। কিন্তু দর্শক চায় খেলোয়াড় যত অসুস্থই হোক, সে খেলুক, তাকে বিনোদন দিক, সে আনন্দে উদ্বেলিত হোক।
ফুটবল খেলার অবস্থা তো আরো করুণ। কত ফুটবলার যে খেলার সময় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করে কিংবা হাত-পা ভেঙ্গে শুয়ে থাকে তার ইয়ত্তা নেই। ফাউল করে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়কে ইনজুরি ফেলানো যেন খেলারই অনুষঙ্গ।
ইউরোপের অনেক দেশে আবার রয়েছে ষাঁড়ের লড়াই। শুনেছি, কিছু কিছু এলাকায় বুল ফাইট নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এ নিষিদ্ধ করার পেছনে কাজ করেছে প্রাণী অধিকার কর্মীরা। তাদের দাবী এ খেলায় পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা করা হয়। আমার কাছে বিষয়টি অবাক লেগেছে, কারণ- প্রাণী অধিকার কর্মীরা প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা নিয়ে কথা বলে, কিন্তু মানবাধিকার কর্মীরা মানুষের প্রতি নিষ্ঠুরতা নিয়ে কথা বলে না, কারণ এর মাধ্যমে নাকি মানুষ বিনোদন পায়!
মুখে বলি খেলাধূলা মানুষকে নিষ্ঠুরতা, হিংস্রতা, উগ্রতা, অমানবিকতা থেকে দূরে রাখে, কিন্তু বাস্তবে খেলাই যে মানুষকে নিষ্ঠুর, হিংস্র, উগ্র ও অমানবিক করে তুলে তার নির্লজ্জ উদাহরণ।
-মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)