স্থাপত্য-নিদর্শন
খেজুরের পাতায় লিখা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ
, ০২ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) স্থাপত্য নিদর্শন
আরব আমিরাতের শারজাহ সিটিতে অবস্থিত ‘মাজমাউল কুরআনুল কারীম’ কর্তৃপক্ষ খেজুরের পাতায় লিখা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার একটি দুষ্প্রাপ্য কপি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেছে। ‘মাজমা’র মহাসচিব জানিয়েছে, ‘প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন যুগের এবং বিশ্বের অসংখ্য দেশের পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার দুর্লভ কপি এবং দুষ্প্রাপ্য প্রতœঐতিহাসিক নুসখা সংগ্রহ করে গর্বিত। ’
এই দুষ্প্রাপ্য অনুলিপিটি সম্পূর্ণরূপে খেজুরের পাতায় লিখা হয়েছে। কালামুল্লাহ শরীফের এই কপিটি লিখতে খেজুরের পাতা দিয়ে সর্বমোট ৭০টি পৃষ্ঠা বানানোর প্রয়োজন পড়েছে। প্রত্যেক পৃষ্ঠায় ৮টি খেজুরের পাতার (টুকরো) অংশযুক্ত করা হয়েছে এবং প্রতিটি খেজুরের পাতার দুই অংশে লিখার জন্য তিনটি করে লাইন রাখা হয়েছে। এভাবে এক পৃষ্ঠায় দুই পাশ মিলে সর্বমোট ৪৮টি লিখার লাইন হয়েছে। খেজুরের পাতার টুকরো অংশ দিয়ে প্রত্যেক পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য ৫৩ সে.মি. এবং প্রস্থ ৪২ সে.মি. হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
কালামুল্লাহ শরীফ উনার এই দুষ্প্রাপ্য অনুলিপিটি মরক্কোতে লিখা হয়েছিল। সেখানে ক্যালিগ্রাফার খেজুরের পাতার টুকরো অংশগুলোকে খুব সতর্কতার সঙ্গে পরিচর্যা করেছেন। তিনি সেগুলো প্রথমে পরিষ্কার করেছেন। অতঃপর সমানভাবে টুকরো টুকরো করে কেটেছেন। এরপর সেগুলো যেন দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং যুগ যুগ ধরে অপরিবর্তিত থাকে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য নির্দিষ্ট উপকরণ ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে যতœ নিয়েছেন। সর্বশেষ প্রত্যেক পৃষ্ঠার টুকরোগুলো সমান করে একটার পর একটা সেলাই করেছেন এবং সব পৃষ্ঠাগুলো একত্রিত করে চামড়ার কভারের মধ্যে সংরক্ষণ করেছেন।
কালামুল্লাহ শরীফ উনার এ দুর্লভ এবং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কপিটি শারজাহ’র মাজমা- এর অধীনে পরিচালিত আটটি জাদুঘরের মধ্যে অন্যতম।
-মুহম্মদ নাইম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
লালমনিরহাটের ১৪শ বছর আগের ঐতিহাসিক ‘হারানো মসজিদ’ (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলিম স্থাপত্য শৈলীর অন্যতম আল্লাহর মসজিদ
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৫)
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৪)
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনন্য স্থাপত্যের নজির বাংলাদেশে: মসজিদে নববী শরীফ উনার হুবহু নকশায় রাজারবাগ শরীফে সুন্নতী জামে মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাসম্মানিত ১২ই শরীফে
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৩)
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন খাগড়াছড়ির সবচেয়ে পুরনো ঐতিহাসিক শাহী জামে মসজিদ
১৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (২)
১৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)