খিলাফত মানে কী?
, ২৭ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৩ সাদিস , ১৩৯২ শামসী সন , ৩১ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১৫ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত
খিলাফত মানে হচ্ছে শরীয়ত কায়েম। মানে আইন-কানুন পবিত্র কুরআন শরীফ সুন্নাহ শরীফ অনুসারে হবে।
খিলাফতের কথা এজন্য মনে করলে প্রথম আমার মনে যে প্রশ্ন উদয় হয়-
শরীয়ত যদি কায়েম হয়, তবে আমি নিজে কতটুকু শরীয়ত মানতে পারবো ? অথবা আমি যে খিলাফত চাই, আমি নিজে এখন কতটুকু শরীয়ত অনুসারে চলি।
এজন্য খিলাফতের কথা মানুষ বলে, তবে খিলাফতের প্রস্তুতির মূল হচ্ছে-
নিজেকে শরীয়তের জন্য প্রস্তুত করা। নিজে শরীয়তের সব কিছু ঠিক মত মানা।
হযরত সাইয়্যিদ আহমেদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি খিলাফত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু উনাকে মুসলমানদের মধ্যে মুনাফিকরা শহীদ করে। যারা উনাকে শহীদ করেছিলো, তারা নিজেদের মুসলমান দাবী করতো ঠিক, কিন্তু শরীয়ত মানতে পারতো না। তিনি শরীয়তের আইনী কড়াকড়ি করায়, তারা উনার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উনাকে শহীদ করে।
তেমনি দেশে শরীয়া আইন জারী হলে, আমার-আপনার মত মুসলমানরাই তার প্রথম বিরোধীতা শুরু করবে, কারণ তার নফস তো সেটা মানতে পারবে না।
উদাহরণস্বরূপ, প্রাণীর ছবি শরীয়তে নিষিদ্ধ। আপনি যদি ছবির বিরুদ্ধে বলেন, তবে অধিকাংশ মুসলমান তার বিরোধীতা করবে, বলবে- ছবি ছাড়া বর্তমান দুনিয়া চলে না। যারা বলে ছবি ছাড়া দুনিয়া চলে না, তার কাছে শরীয়ত থেকে দুনিয়া বড়। আর যার কাছে শরীয়ত থেকে দুনিয়া বড় তার জন্য খিলাফতের দরকার নাই।
এজন্য খিলাফত খিলাফত যারা করেন, তারা আগে নিজের মধ্যে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন। খিলাফত নিয়ে মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফে কি ইরশাদ করেছেন, সেটা খেয়াল করেন। সবার কথা ভুল হবে, আল্লাহ পাক উনার কথা ভুল হবে না।
পবিত্র সূরা নূর উনার ৫৫ নং আয়াতে আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
আল্লাহ পাক ওয়াদা করতেছেন, তাদেরকে জমিনের বুকে খিলাফত দিবেন, যারা ঈমান আনবে এবং আমলে ছলেহ (ইসলাহি আমল) করবেন।
অর্থাৎ ঈমান আনার পর অন্তর পরিশুদ্ধকরণ আমল তথা পরিপূর্ণ সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা করার সাথে খিলাফত ওয়াদাবদ্ধ।
সুতরাং কেউ যদি সত্যিই খিলাফত চায়, তবে তাকে আগে নিজেকে খিলাফতের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। সহিহ-শুদ্ধ আমল করতে হবে। সেই প্রস্তুতির জন্য তাকে একজন হক্কানী শায়েখের কাছে বাইয়াত হয়ে যিকির ফিকির করে অন্তর ইসলাহ করত আমলে ছালেহার দিকে যেতে হবে। এছাড়া ভিন্ন কোন উপায় নেই। কেউ নিজে নিজে মনে করতে পারে, কিন্তু আল্লাহ পাক তিনি যেভাবে বলছেন, কাজ করতে হবে সেভাবেই, অন্যভাবে করে লাভ হবে না।
-এস হাবীব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অটো রিক্সা বন্ধ নিয়ে কিছু কথা!
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)