খাবারে ঢুকছে প্লাষ্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য।
স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানীর শঙ্কায় দেশের জনগন। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্ত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
, ২৫ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৪ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ১৩ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২৯ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
উল্লেখ্য, গবেষণা মতে, প্লাষ্টিক এর অতিরিক্ত ব্যবহারের কারনে প্রতিদিন দেশের মানুষের পেটে যাচ্ছে ৬৮৬৫০০ প্লাস্টিক ফাইবার। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের একটি মিল খাওয়ার সময়ে, কম করে ১০০টি ছোট ছোট প্লাস্টিক ‘পার্টিকল’ পেটে যায়। ঘরের চারপাশের ‘সফট ফার্নিশিং’ ও ‘সিন্থেটিক ফাইবার’-এ যে পলিমার থাকে, তা থেকেই সৃষ্ট এই ‘পার্টিকল’।
শপিং ব্যাগের পাশাপাশি আসবাব, গৃহস্থালি, বোতলজাত এবং বাণিজ্যিক কাজে বল্গাহীনভাবে বাড়ছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন করা হয়। কিন্তু সেই আইনের তোয়াক্কা আর কেউ এখন করছে না। ঢাকায় একটি পরিবার প্রতিদিন চারটি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে। সেই হিসাবে শুধু রাজধানীতে প্রতিদিনই দুই কোটির বেশি পলিথিন ব্যাগ একবার ব্যবহার করে ফেলে দেয়া হয়। এ হার চলতে থাকলে ২০২৫ সালে বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার দাঁড়াবে প্রতিদিন ৫০ হাজার টন। এই চিত্র খুবই বিপজ্জনক। পলিথিনের বিকল্প হিসাবে টিস্যু ব্যাগ নামে যে ব্যাগের ব্যবহার শুরু হয় সেটার উপাদানও মূলত প্লাস্টিক। পলিথিন ব্যাগের পাশাপাশি বাংলাদেশে বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ৩০ লাখেরও বেশি টিস্যু-ব্যাগ ব্যবহার হয়। রাস্তায় বেরিয়ে মিনারেল পানির বোতল কেনার অভ্যাস অনেকেরই। মনে করা হয় ওই পানি সবচেয়ে নিরাপদ। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেখানেও লুকিয়ে আছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাজারে বিক্রি করা ৯০ শতাংশ পানির বোতলে প্লাস্টিকের কণা রয়েছে। বাংলাদেশের নামীদামী বোতলজাত পানিতে ব্যাপকভাবে প্লাস্টিকের কণার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রে পানির মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণার অস্তিত্ব রয়েছে। বোতলজাত পানিতে পাওয়া ওই সকল প্লাস্টিকের মধ্যে রয়েছে নাইলন, পলিপ্রপিলেন ও পলিথাইলিন টেরেপথালেটের মতো রাসায়নিক উপাদান।
উল্লেখ্য, প্লাস্টিক দূষনের সবচেয়ে বেশি শিকার শিশুরা। বাজারের চিপস, ওয়েফার, চকোলেট ও জুসে কার্বোহাইড্রেড, মেলামিন অতিমাত্রায় থাকায় শিশুদের জন্য ক্ষতিকর হলেও এসব খাবারের প্রতি তাদের আকৃষ্ট করে তোলা হচ্ছে। অথচ খাবারের সঙ্গে প্লাস্টিক মিশিয়ে সেগুলোকে করা হচ্ছে আরো বিষাক্ত। কৌশলগতভাবে বিভিন্ন চিপস কোম্পানিগুলো তাদের বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য এবং শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য চিপসের মধ্যে গিফট হিসেবে দেয়া হচ্ছে প্লাস্টিকের নানা রকম খেলনা। ওইসব খেলনার কারনে অভিভাবকরা এবং শিশুরা এসব চিপস কিনে খাচ্ছে। ফলে চিপসের সাথে প্লাস্টিকের কণা শিশুদের শরীরে ঢুকে যাচ্ছে।
প্লাস্টিক কণা তথা প্লাস্টিক দূষন মানবদেহের জন্য অতি ভয়ানক একটি বিষয়। গবেষকদের মতে, বিসফেনল-এ নামের টক্সিক এ ক্ষেত্রে বড় ঘাতক। গরম খাবার প্লাস্টিকের সংস্পর্শে এলে ওই রাসায়নিক প্লাস্টিক কণা খাবারের সঙ্গে মেশে। এটি নিয়মিত শরীরে ঢুকলে মহিলাদের ইস্ট্রোজেন হরমোনের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু কমে যায়। হার্ট, কিডনি, লিভার, ফুসফুস এবং ত্বকও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকী, ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। অন্যদিকে এই প্লাষ্টিকের কণা শিশুদের শরীরে ঢোকার ফলে শিশুদের স্থুলতা বৃদ্ধি পায় এবং শিশুরা উচ্চরক্তচাপে ভোগে। স্থুলতা ও উচ্চরক্তচাপসহ কিডনি, লিভার, ফুসফুসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সেইসাথে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, হৃদরোগ এমনকি কিডনী বিকলও হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ এই প্লাস্টিক দুষনের কারনে তারা মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্য হুমকিতে পড়ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্লাস্টিকের এই কণার দূষণের পরিণতির ইতিহাস অতি ভয়ানক। ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, অস্ট্রেলিয়ার পিভিসি কারখানার কর্মীদের মধ্যে এক সময়ে ক্যানসারের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। যার কারণ ছিলো এই প্লাস্টিকের কণার দূষণ। কর্মীদের পাশাপাশি ওইসব দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী প্লাস্টিক দূষণের শিকার হয়েছিলো। তারা এখন সচেতন হয়েছে। প্লাস্টিক পন্য বর্জন করছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার এখনও এই প্লাস্টিকের দূষণ নিয়ে কোনো প্রকার কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের শিশু প্রজন্ম ও জনগনকে।
সরকারের জন্য তাই ফরয- অবিলম্বে এই প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা। দেশের ভবিষ্যৎ- শিশু প্রজন্মসহ দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য রক্ষা করা।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)