খাদ্যে ব্যবহৃত কেমিক্যালের মান যাচাইয়ের ব্যবস্থা নেই কেনো? মান যাচাইয়ের প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইয়ের মান শূন্য কেনো? সরকারের কর্তব্য কী?
, ০১ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
বিএসটিআইয়ের পরিচালক এ প্রসঙ্গে বলেছে, তৈরি পণ্যের গুণমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। খাবারে কেমিক্যাল ব্যবহারে বিএসটিআইয়ের স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে। ওই স্ট্যান্ডার্ডে ব্যবহারের মাত্রা রয়েছে। তবে সঠিক মাত্রায় ব্যবহার হচ্ছে কিনা, তা ব্যবহারকারীরাই ভালো বলতে পারবে। তা দেখার দায়িত্ব বিএসটিআইয়ের নয়। বলাবাহুল্য বিএসটিআইয়ের এ বক্তব্য গোটা জাতির জন্য গভীর হতাশাব্যাঞ্জক।
জানা গেছে, বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে খাদ্যে ব্যবহৃত ইস্ট, বেকিং পাউডার, হাইড্রোজ, ঘন চিনি, স্যাকারিন, ব্রেড ও কেক ইমপ্রুভার, বোরিক পাউডার, অ্যামোনিয়াম বাইকার্বোনেট, চেরি ফল, সাইট্রিক এসিড, সোডিয়াম পাইরোফসফেট, আম, কলা, আপেল, কমলা, ডিম, কাঁঠাল, ঘি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও মরিচের রঙ। এসব কেমিক্যাল খাবার তৈরিতে ব্যবহার হয়ে আসছে।
জানা গেছে, পাউরুটি তৈরিতে ব্যবহার হয় ব্রেড ইমপ্রুভার, ঘন চিনি, স্যাকারিন, ইস্ট ও বেকিং পাউডার। বিস্কুটে বেকিং পাউডার, ফ্লেভার, ডিমের রঙ, ঘির ফ্লেভার, ডালডা ও তেলের পরিবর্তে মার্জারিন, অ্যামোনিয়াম বাইকার্বোনেট। কেক তৈরিতে ইমপ্রুভার, হপস পাউডার, চেরি ফল ও হাইড্রোজ। চানাচুরে সাইট্রিক এসিড, টেস্টিং সল্ট, সোডিয়াম বেনজয়েট, বেকিং পাউডার, রঙ ও সোডিয়াম পাইরোফসফেট। আইসক্রিমে ব্যবহার হচ্ছে রঙ, স্যাকারিন ও কোকো পাউডার। কিন্তু এসব কেমিক্যাল সঠিক মাত্রায় ব্যবহার হচ্ছে কিনা বা উৎপাদনকারীরা যে কেমিক্যালটি ব্যবহার করছে, তা মানসম্পন্ন কিনা, সেটাও জানে না ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ রয়েছে, খাবার তৈরিতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে এসব কেমিক্যাল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে টেক্সটাইল মিলে ব্যবহার করা রঙ। অসৎ ব্যবসায়ীরা মোটা অঙ্কের লাভের আশায় এসব কেমিক্যাল বিক্রি করছে। এগুলো খাবারের সঙ্গে মানুষের শরীরে ঢুকছে, যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। স¦াস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নিষিদ্ধ কেমিক্যালযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে গ্যাস্ট্রিক, চর্মরোগ, হাঁপানি, পাকস্থলি প্রদাহ, লিভার ক্যান্সার ও কিডনির নানা রোগ হতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সরকারের যে প্রতিষ্ঠানটি খাদ্যদ্রব্যসহ সবধরনের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতের ক্ষেত্রে মাননিয়ন্ত্রণ করে সেই বিএসটিআইয়ের মান নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। যন্ত্রপাতির অভাব, জনবল সংকটসহ বহুবিধ সমস্যায় প্রতিষ্ঠানটি এখনো মানসম্পন্ন হয়ে উঠতে পারেনি। ফলে পণ্যের দাম, মান ও ওজনে ঠকবাজি চলছেই। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বিএসটিআইয়ের স¦ীকৃতি জোটেনি। এ প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া গুণগতমানের সনদ কোনো দেশেই গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডোর) পরিদর্শক দল বিএসটিআই পরিদর্শন শেষে বলেছে, এর সনদ ও মানের নিশ্চয়তা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নয়। ইউনিডো এ ব্যাপারে কিছু সুপারিশ করলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সনদ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় রপ্তানিকারকরা দেশীয় পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে পাঠাতে নানা জটিলতায় পড়ে। বিভিন্ন পণ্যের নমুনা ভারতীয় ল্যাবরেটরির মান সনদ নিয়ে তবেই তা অন্য দেশে রপ্তানি করা সম্ভব হয়।
বিএসটিআইর আঞ্চলিক দফতরগুলোর বেহাল অবস্থা। বিভাগীয় আঞ্চলিক দফতর নিম্নমানের ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতিতে সাজানো। বিএসটিআইর চট্টগ্রাম দফতরে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ পণ্যের পরীক্ষণ ব্যবস্থা নেই। ১৫৬টি পণ্যের মধ্যে মাত্র ৫৭টির মান যাচাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি পণ্যের মান পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। অনেক ভেজাল পণ্যের নমুনার ‘পরীক্ষণ রিপোর্টের’ জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়। ততদিনে ওই ভেজাল পণ্যের বাজারজাত সম্পন্ন হয়ে যায়।
বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স বাতিল করা শতাধিক প্রতিষ্ঠানের পণ্যও বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। পণ্যের মোড়কে যথারীতি ব্যবহৃত হচ্ছে বিএসটিআইর লোগো। ওজনে কম দেয়ার ক্ষেত্রেও চলছে নানা ধরনের কারসাজি। জানা যায়, এক বছরেরও বেশি সময় আগে ১০৬টি প্রতিষ্ঠানের ৪৭ ধরনের খাদ্যপণ্যের লাইসেন্স বাতিল করে বিএসটিআই। কিন্তু এসব পণ্য বিক্রি বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। দেয়া হয়নি কোনো নির্দেশনাও।
একটি পণ্যের নমুনা যাচাই করে বিএসটিআই যে মান সনদ দেয়, সে মান বজায় থাকছে কি না তা তদারকির দায়িত্বও তাদের। কিন্তু বাজারে মান তদারকির নজির দেখা যায় না। পণ্য উৎপাদনকারীর অনুকূলে শুধু মান সনদ দিয়েই বিএসটিআই দায়িত্ব শেষ করছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।
বলাবাহুল্য এটা স্বাধীন রাষ্ট্রে সুস্পষ্টত সংবিধান লঙ্ঘন। কাজেই সরকারকে অবিলম্বে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যালসহ সব ক্ষতিকর উপাদান মুক্ত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠাপোষকতা করতে হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)