কুরিয়ার সার্ভিসে নজরদারি নেই। সেবার নামে গ্রাহক ভোগান্তি বাড়ছে কুরিয়ার সার্ভিসে। মাদক পাচার ও অবৈধ কর্মকা-ে কুরিয়ার সার্ভিসের যথেচ্ছা ব্যবহার।
, ০৬ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৫, মে, ২০২৪ খ্রি:, ০১ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
ডাকবিভাগের ধীরগতি ও ভোগান্তির ফলে মানুষ নির্ভরশীল হচ্ছে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের ওপর। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চিঠি ও জিনিসপত্রের পাশাপাশি টাকাও পাঠানো হচ্ছে এই সেবা খাতের মাধ্যমে। প্রায় তিন যুগ আগে চালু হওয়া এ সেবা খাতে কোম্পানির সংখ্যার সঙ্গে বেড়েছে বিনিয়োগও; কিন্তু নির্ভরশীলতা বাড়ার উল্টোপথে কমতে থাকছে সেবার মান। গ্রাহক ভোগান্তি বেড়েই চলছে কুরিয়ার সার্ভিসে। ডাকবিভাগের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় হচ্ছে গ্রাহকদের এ সেবা পেতে। তারপরও থাকছে নানা ঝুঁকি। গুরুত্বপূর্ণ নথি, চিঠি ও মালামাল হারিয়ে যাচ্ছে। আর এ কারণে ক্ষতিপূরণ পান না কেউ। অনেকেই অভিযোগ করছে, ঠিক সময়ে ডাক না পৌঁছানোর।
অপরদিকে, মাদকদ্রব্য, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ নানা ধরনের নিষিদ্ধ পণ্য বহন চলছে কুরিয়ার সার্ভিসে। কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার আড়ালে চলছে এই চোরাকারবারি। দেশি-বিদেশি অনেক কুরিয়ার সার্ভিস আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিষিদ্ধ পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে নির্দিষ্ট ঠিকানায়। কিন্তু প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দেশের কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর উপর সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি না থাকার কারণে চোরাচালানের প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে কুরিয়ার সার্ভিসগুলো। যার কারণে চোরাকারবারিরা বর্তমানে কুরিয়ার সার্ভিসকেই নিরাপদে নিষিদ্ধ পণ্য বহনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে।
অভিযোগ উঠেছে, কুরিয়ার সার্ভিসের দুর্বল নিয়মনীতির সুযোগে অপরাধীরা তাদের কর্মকা- অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন বিধিমালা করা হলেও কয়েকটি কুরিয়ার সার্ভিস হাইকোর্টে রিট আবেদন করায় আদালত বিধিমালাটি স্থগিত করে। এছাড়াও কুরিয়ার সার্ভিসে অবৈধ পণ্য আনা-নেয়া বন্ধ করতে এবং অবৈধ তৎপরতা দমনের কার্যক্রম জোরদার করতে গঠিত টাস্কফোর্সের সংশ্লিষ্ট টিমের বিশেষ কোনো মনিটরিংয়ে ব্যবস্থা নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের শীর্ষ চোরাই সিন্ডিকেটের সদস্যরা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চোরাচালান ব্যবসা করে আসছে। কেউ কেউ নিজেই কুরিয়ার সার্ভিস খুলেছে শুধুমাত্র চোরাচালানের জন্য। আবার অনেক চোরাকারবারিরা কুরিয়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক চোরাচালান করে আসছে। এ চক্রের সদস্যরা রাজনৈতিক নেতা, থানা পুলিশ, বিজিবিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে এ চোরাচালান ব্যবসা করছে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, দেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জমজমাট চোরাচালান ব্যবসা চলছে। সীমান্ত এলাকায় থেকে সবচেয়ে বেশি মাদকদ্রব্য কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। এছাড়াও সীমান্ত এলাকায় আলাদাভাবে পাচার সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। যশোরের বেনাপোল, দিনাজপুরের হিলি বন্দরে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার আড়ালে চলছে চোরাচালান পণ্য আনা-নেয়ার কাজ।
পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি কুরিয়ার সার্ভিসগুলো বাংলাদেশ এখন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা নিরাপদ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে। বাংলাদেশে সক্রিয় দুটি পাকিস্তানি সিন্ডিকেটের ব্যাপারে তথ্য দিয়েছে ইন্টারপোল। বিদেশি পাঁচটি কুরিয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ আছে। শুধু বিদেশি নয়, দেশি কুরিয়ার সার্ভিসেও দেশের অভ্যন্তরে অস্ত্র, মাদক, গুলি, বিস্ফোরকসহ নিষিদ্ধ পণ্য পাঠাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পণ্য বিদেশে পাঠানোর পর তা ধরা পড়ায় আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, বিগত বছর লন্ডনের বার্মিংহামে আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস অ্যারামেক্সের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ হেরোইন চালান পাঠানোর পর আলোচনায় উঠে আসে কুরিয়ার সার্ভিসগুলো। ওই সময় গোয়েন্দা সংস্থা অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক ওই কুরিয়ারের কর্মকর্তাসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু কার্যত কুরিয়ারের মাধ্যমে বিদেশে হেরোইন পাচার থেমে নেই। দেশে ও দেশের বাইরে নানা কৌশলে মাদক পাচার করছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এক্ষেত্রে দু-চারজন ধরা পড়লেও সংশ্লিষ্ট রাঘব বোয়ালরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, টেকনাফ থেকে প্রায়ই ইয়াবার চালান ঢাকায় আসছে। বিশেষ করে যে ব্যক্তি চালান পাঠিয়ে থাকে তার নাম ও ঠিকানা ভুয়া দেয়া হচ্ছে। তার মোবাইল নম্বরও ঠিক দেয়া হয় না। এমনকি যে ব্যক্তি প্রাপক তার নাম ও ঠিকানাও ঠিক থাকছে না। এক্ষেত্রে মূল হোতা প্রেরক ও প্রাপক অধরা থাকছে। শুধু প্রাপকের মোবাইল নম্বর ঠিক দেয়া হলেও একটি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনবার। প্রাপককে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে ‘তার ভুয়া নম্বরটি’।
কিন্তু এখনো এই ব্যবসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা বাস্তবায়িত হয়নি। নীতিমালা তৈরি হলেও তা কার্যকর হয়নি। এই ব্যবসার জন্য লাইসেন্স থাকলেও এই ব্যবসার জন্য বিশেষ কোন লাইসেন্স ব্যবস্থা নেই। সাধারণ ব্যবসা কিংবা অন্য ব্যবসার ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স নিয়ে প্রায় ২০০ কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ফলে সেরা গ্রহণকারীরা বিভিন্ন সময় বিড়ম্বনার শিকার হলেও কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাপবিত্র রওজা শরীফ ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফের পবিত্র ভূমি জাজিরাতুল আরবকে অপবিত্র করে দিন দিন পরিণত করা হচ্ছে অবাধ পাপাচারের পঙ্কিলরাজ্যে নাউযুবিল্লাহ! কা’বা শরীফের আদলে তৈরি মঞ্চে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশন শো, উদ্দাম কনসার্ট, বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ কোটি টাকার ভারতীয় সিনেমার টিকিট; পালিত হচ্ছে হ্যালোইনও! নাউযুবিল্লাহ!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢেকে রাখলেই প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা (নাউযুবিল্লাহ) বোরকা পড়াকে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশ পর্দার আড়ালে নারীদের বন্দী, বৈষম্য এবং পিছিয়ে পড়ার অপবাদ দিলেও বাস্তবতা হচ্ছে গোটা ইউরোপ-আমেরিকায় নারীর প্রতি বৈষম্য হয়রানি, সহিংসতা, অত্যাচার আর ব্যভিচারের মাত্রা ভয়াবহ পশ্চিমাদের বোরকা নিষিদ্ধের প্রবনতা শুধুই ইসলাম আর মুসলিম বিদ্বেষ (পর্ব-১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চলচ্চিত্র নামক জাহান্নামী সংস্কৃতির ফাঁদে মুসলিম উম্মাহ। নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সিনেমার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিস্তার ঘটছে ইসলামোফোবিয়ার। পরকালের কথা স্মরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)