কারামতে উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
, ০৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
কারামত মুবারক ১:
এক পীর বোন হামেলা ছিলেন। বাসায় উনার পেট ব্যথা উঠার কারণে আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার দেখে বলেন, এটা প্রসব ব্যথা নয়। তখন উক্ত পীরবোনের বোন উনাকে বলেন কিছুক্ষণ হাটাহাটি করার জন্য। উক্ত পীরবোন যে কামরায় হাঁটাহাঁটি করছিলেন ঠিক সেই রুমের পাশে হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি অবস্থান মুবারক করছিলেন। উক্ত পীর বোন বলেন যখন আমি বুঝতে পারলাম হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনি পাশের কামরায় আছেন তখন আমি খেয়াল করে দেখি আমার সন্তান প্রসব হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উপস্থিতিতে সালিকার সব মুশকিল আসান হয়ে যায়।
কারামত মুবারক ২:
এক পীরবোনের শিশু ছেলের অনেকদিন যাবত শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোসকার মতো হয়েছিল। তিনি ছেলেকে শিশু ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। ডাক্তার দেখানোর পরও ঠিক হচ্ছিল না। পরে সেই পীর বোন হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছে শিশু ছেলেকে নিয়ে এসে সমস্যার কথা জানান। হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি কিছুক্ষণ শিশু ছেলেটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন, অতঃপর তিনি ফু মুবারক দিয়ে দেন। উক্ত পীর বোন বলেন, সেই রাত থেকেই ওই ফোসকা গুলো চুপসে যাওয়া শুরু করে এবং ২-৩ দিনের মধ্যে আমার শিশু ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ফু মুবারকে সব জটিল রোগ ও শিফা লাভ করে।
কারামত মুবারক ৩:
এক পীর বোন যখন হামেলা ছিলেন, তিনি স্বপ্নে দেখেন হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনি বড় কামরায় চৌকি মুবারকের উপর বসে আছেন এবং উনার কোলে একজন শিশু সন্তান। হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উক্ত পীর বোনের কাছে সেই শিশু সন্তানকে দেন। কয়েক মাস পর যখন উনার সন্তান হল তখন উনি দেখতে পেলেন যে ওই স্বপ্নের দেখানো সন্তান আর ওই পীর বোনের সন্তান হুবহু একরকম। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সালিকাদেরকে স্বপ্নে যা দান করেন, সালিকারা তা বাস্তবেই লাভ করে।
কারামত মুবারক ৪:
এক পীর বোনের ২০ বছর ধরে হাতের মধ্যে প্রচন্ড ব্যথা। কোনোভাবেই ভাল হচ্ছিল না। একসময় ঐ পীর বোন দরবার শরীফে এসে হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছে বিষয়টি জানিয়ে খাছভাবে দুআ মুবারক চান। এরপর পর থেকে পীরবোনের হাত পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার দুআর বদৌলতে দীর্ঘ মেয়াদী কঠিন অসুস্থতাও বিদূরিত হয়।
কারামত মুবারক ৫:
দরবার শরীফে অবস্থানরত এক পীর বোনের একদিন প্রচ- পেট ব্যাথা উঠে। ব্যাথার তীব্রতা এত বেশি ছিল যে তিনি নড়াচড়া করতে পারছিলেন না। এমতাবস্থায় কয়েকজন পীরবোন মিলে ধরে অসুস্থ পীরবোনকে হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছে নিয়ে যান। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি পীরবোনকে পেটের কোথায় ব্যাথা এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস, পীরবোন বলার পর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উনার নিজ ঔষধ মুবারক থেকে কিছু ঔষধ মুবারক পীরবোনকে খাওয়ায় দেন। তখন অন্যান্য পীরবোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে জানান যে, আম্মাজ্বী! এই পীরবোন তো উঠে দাঁড়াতেও পারছেন না, হাঁটতেও পারছেন না। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম বলেন, একটু পর ও উঠে দাঁড়াতেও পারবে হাঁটতেও পারবে। তারপর দেখা যায় যে, কিছুক্ষণের মধ্যেই উক্ত পীরবোন উঠে দাঁড়ান এবং এমনকি হাটতেও পারছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোয়ায় সালিকা মূহুর্তেই শিফায়ে কামিল লাভ করে।
কারামত মুবারক ৬:
এক পীর বোনের হাতে ও পেটে ব্যাথা ছিল। তিনি ডাক্তার দেখানোর পর ডাক্তার বলেছিল, পেটে পাথর হয়েছে এবং সেই পীর বোনের ইউরিন ইনফেকশনও হয়েছিল। এসব অসুস্থতার কারণে উক্ত পীর বোন কোন খাবার ঠিক মত খেতে পারছিলেন না। পরে উক্ত পীরবোন নিয়ত করেন যে, তিনি দরবার শরীফে আসবেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করবেন এবং উনার নিকট দুআ মুবারক চাইবেন। সেই পীর বোন যখন দরবার শরীফের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলেন কয়েক মাইল আসার পরেই তিনি খাবার খেতে পারছিলেন, তখন থেকে খাবারের রুচি হয় এবং পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার দিকে সালিকা পৃথিবীর যেখান থেকেই রুজু হোক না কেন, তিনি সকলকেই গাইবী মদদ করেন।
কারামত মুবারক ৭:
এক পীর বোনের মায়ের হার্টের সমস্যা হয়েছিল। কিছুদিন পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে যেতেন এবং সিসিইউতে ভর্তি থাকতেন। হার্টের বিভিন্ন পরীক্ষা করা হলে কয়েকটি রিপোর্টে কিছু জটিল সমস্যা ধরা পরে। তখন ওই পীরবোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে জানিয়ে দোয়া মুবারক চান। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম পীর বোনের মাকে পড়ানো তেল, পানি, কালোজিরা ব্যবহার করতে বলেন। কিছুদিনের মধ্যেই ওই পীরবোনের মা সুস্থ হয়ে যানন এবং এখন, পরিপূর্ণ সুস্থ আছেন। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পড়ানো তেল, পানি, কালিজিরা সালিকার জন্য মহৌষধ হিসেবে কাজ করে।
কারামত মুবারক ৮:
দরবার শরীফের বালিকা মাদরাসার খিদমতে নিয়োজিত একজন আমিলা, পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধির জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার দিকে খেয়াল করে মনে মনে আরজী করছিলেন। কিন্তু বিষয়টি সরাসরি হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে জানাননি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যায় উনি যে পরিমাণ আর্থিক সচ্ছলতা মনে মনে চাচ্ছিলেন, উনার আর্থিক সচ্ছলতা ওই পরিমাণই বৃদ্ধি হয়েছে । সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সালিকার অন্তরের অন্তস্থলের খবরও রাখেন এবং দুআ কবুল করেন।
কারামত মুবারক ৯:
একদিন রাতে এক পীরবোনের কানের ভিতর হঠাৎ পোকা ঢুকে গিয়েছিলো। তিনি কানের ভেতর থেকে পোকা বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু কিছুতেই পোকাটি বের হচ্ছিল না। এভাবে সারা রাত পার হওয়ার পর যখন ফজর হলো, তখন উক্ত পীরবোন আম্মাজি আম্মাজি বলে হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে স্মরণ করতে থাকলেন। দেখা গেল কিছুক্ষণের মধ্যেই কান থেকে পোকা বের হয়ে চলে গেল। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার স্মরণ সালিকাকে সর্বপ্রকার বিপদ-আপদ, বালা মুছীবত হতে মুক্তি দেয়, হিফাযত করে।
কারামত মুবারক ১০:
কাপড় সেলাই করার সময় এক পীরবোনের শাহাদত আঙ্গুলে সুই ঢুকে গিয়েছিল। সুইটিকে বের করতে না পারার কারণে পীর বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে বলা হয় সুইটি অপারেশন ছাড়া বের করা সম্ভব নয়। তাই সেই পীর বোনকে জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। তখন সেই পীরবোন মনে মনে বলতে থাকেন, আম্মাজি উনার তো কত কারামত মুবারক আছে! অপারেশন ছাড়া কিডনি সুস্থ হয়ে যায়। আমার এই হাতের আঙ্গুলের সুই কি অপারেশন ছাড়া বের হবে না! পীর বোন এভাবেই বলছিলেন আর কান্না করছিলেন। কিছুক্ষণ পরে উনি খেয়াল করলেন যে উনার হাতে কিছু লাগছে, তিনি ধরে টান দেন। দেখা যায় সুইটি বের হয়ে চলে এসেছে। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার গাইবী মদদে উনাকে স্মরণকারীনী সালিকা বালা মুছীবত হতে খুব সহজেই মুক্তি পায়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)