কথিত ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’(?) রোধে আমাদের যা করণীয়... (২)
, ৩০শে জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত
বর্তমানে অন্যতম একটি প্রধান আলোচিত ইস্যু হলো ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’। হিন্দুদের ব্যাপকহারে সরকারি উচ্চপদ দিয়ে, কিংবা তাদের কুঁড়েঘর থেকে শুরু করে হিন্দুগ্রামের রাস্তাগুলো পাকা করে দিলেও এদেশের মুসলমানরা ‘অসাম্প্রদায়িকতা’র সার্টিফিকেট পাচ্ছে না, আফসোস! এই অচলাবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যা করণীয়, তা নিয়েই নিম্নোক্ত আলোচনা:
দ্বিতীয় উপায় :
প্রথম উপায়টি বুদ্ধিমানের জন্য। বিপরীতে নির্বোধ হিন্দুপ্রেমিক, যারা হিন্দুদের সন্তুষ্ট করে তাদের সাথে বসবাসে আগ্রহী, তাদের জন্যও উপায় রয়েছে। তারা যদি ইতিহাসে এই ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের’ উৎস খুঁজতে যায়, তাহলে তারা দেখতে পাবে- এই অভিযোগের জন্ম হয়েছে বঙ্গভঙ্গ পরবর্তী সময়ে। ব্রিটিশআমলের উক্ত পর্যায়ে হিন্দুরা বিদেশী শাসকগোষ্ঠীর বিরোধিতা করতে গিয়ে দাবি করে তারা মুসলমানদের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, বিপরীতে নিজেদেরকে দাবি করে ‘নিপীড়িত সংখ্যালঘু’ হিসেবে। এর উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গভঙ্গের ন্যায্য অধিকার থেকে মুসলমানদেরকে বঞ্চিত করা। পরবর্তীতে হায়দারাবাদ, এমনকি বৌদ্ধ অধ্যুষিত সিকিমের ক্ষেত্রেও ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’-এর অভিযোগ আনা হয়েছিল তাদের স¦াধীনতার অধিকার খর্ব করতে।
সুতরাং দ্বিতীয় উপায়টি হলো, নিজের স¦াধীনতা বিকিয়ে দিয়ে হিন্দু ও ভারতমাতার অনুগত গোলামে পরিণত হওয়া। হিন্দুপ্রেমিক বাঙালি মুসলমান যেহেতু প্রথম উপায়টি গ্রহণে অক্ষম, সেহেতু আওয়ামী নেতৃত্বে তারা দ্বিতীয় উপায়টিকেই গ্রহণ করেছে। আওয়ামী নেতৃত্বে এদেশ ভারতের অধীন হবে, তারপর নরেন্দ্র মোদি আসলে এদেশের মুসলমানদের মেরে কেটে হিন্দুরা ঠা-া হবে। আর তারপরই শুধু বন্ধ হবে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’-এর চিরন্তন ভাঙা রেকর্ড!
কিন্তু ইতিহাসের পাতায় কি রেকর্ড লেখা থাকবে? সেখানে থাকবে, ‘একদা বাংলাদেশ নামক একটি দেশ ছিল, যেই দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নির্যাতনকারী মুসলমানরা বসবাস করতো। ’ হিন্দু প্রতিবেশীদের খুশি করতে গিয়ে মরার পরও কি রেহাই পাবে হতভাগা বাঙালি মুসলমান?
-হামিদী আখন্দ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হে মুসলিম! এই আয়াত শরীফগুলো দেখার পরও কি তোমার বোধোদয় হয় না?
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কোনো অবস্থাতেই বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, মিল-মুহব্বত রাখা জায়িয নেই
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কথিত ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’(?) রোধে আমাদের যা করণীয়... (১)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কাফির-মুশরিকদের সাথে ‘বন্ধুত্ব’ আত্মঘাতী নীতি
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অসাম্প্রদায়িকতা এবং কাফির-মুশরিক-মুনাফিকদের ধোঁকাবাজি
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুসলমানদেরকে নিজের আসল ‘শত্রু’ চিনতে হবে
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানদের ঈমানী বিশ্ববিদ্যালয় কোথায়, কোথায় ঈমানী একাডেমী, কোথায় ঈমানী গবেষণাকেন্দ্র?
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রচলিত ‘জাতীয় সঙ্গীত’ পরিবর্তনের দাবির যৌক্তিকতা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তোমরা যারা দ্বীন ইসলাম উনাকে নিয়ে ব্যবসা করো...
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
অটো রিকশা বন্ধের আগে যে জিনিসগুলো বন্ধ করা উচিত
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
অটো রিক্সা বন্ধ নিয়ে কিছু কথা!
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)