কথিত ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’(?) রোধে আমাদের যা করণীয়... (১)
, ২৯শে জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৪ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আপনাদের মতামত
বর্তমানে অন্যতম একটি প্রধান আলোচিত ইস্যু হলো ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’। হিন্দুদের ব্যাপকহারে সরকারি উচ্চপদ দিয়ে, কিংবা তাদের কুঁড়েঘর থেকে শুরু করে হিন্দুগ্রামের রাস্তাগুলো পাকা করে দিলেও এদেশের মুসলমানরা ‘অসাম্প্রদায়িকতা’র সার্টিফিকেট পাচ্ছে না, আফসোস! এই অচলাবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যা করণীয়, তা নিয়েই নিম্নোক্ত আলোচনা:
১ম উপায় :
কুচক্রী ইহুদীরা যখন খাইবারের যুদ্ধে পরাজিত হলো, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদেরকে উক্ত স্থান থেকে নির্বাসিত করার মুবারক ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। এমতাবস্থায় ইহুদীরা ব্যাপক অনুনয় বিনয় করে জিজিয়ার বিনিময়ে উক্ত স্থানে অবস্থান করার অনুমতি চাইলো এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদেরকে সাময়িকভাবে অনুমতি দিলেন উক্ত স্থানে অবস্থান করার।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় খলীফা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ইহুদীদেরকে খাইবার থেকে বিতাড়িত করেন। তিনি নাজরানের খ্রিস্টানদেরকেও নির্বাসিত করেছিলেন। কারণ তারা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল এবং তাদের সম্প্রদায়ের একজন সম্মানিত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে একজন খ্রিস্টান ব্যক্তি উঁচু স্থান থেকে ফেলে দিয়ে আহতও করেছিল।
বিপরীতে গত পাঁচ বছরে আওয়ামী ছত্রছায়ায় হিন্দু শিক্ষকরা শত শত মুসলিম ছাত্রীর সম্ভ্রমহানি করার পর, কিংবা পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে কটূক্তি করার পরও কি এদেশীয় হিন্দুরা বিতাড়িত হওয়ার অবস্থানে পৌঁছায়নি? অবশ্যই পৌঁছিয়েছে। সংখ্যালঘু নির্যাতন কোনো বাস্তবিক বিষয় নয়, এটি হলো ভারতীয় মদদে শক্তিশালী এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সাজানো নাটক মাত্র। যেখানে ভারতে হাজার হাজার মুসলমান মেরে কেটে সাফ করা হয়, সেখানে এদেশে কোনো হিন্দুর প্রতি মারমুখো হতে দেখা যায় না। তবুও কয়েকটি কুঁড়েঘর কিংবা ভাঙা মন্দিরের ছবি দেখিয়ে তিলকে তাল করা হয়। আর সরকার সেগুলোকে নিজ খরচে পাকা করে দেয়। কিন্তু তারপরও যেহেতু সংখ্যালঘুরা খুশি হচ্ছে না, সেহেতু তাদের ভারতে পাঠিয়ে দিয়ে আপদ বিদায় করাটাই হবে বুদ্ধিমান মুসলমান উনাদের কাজ।
-হামিদী আখন্দ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হে মুসলিম! এই আয়াত শরীফগুলো দেখার পরও কি তোমার বোধোদয় হয় না?
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কোনো অবস্থাতেই বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, মিল-মুহব্বত রাখা জায়িয নেই
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কথিত ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’(?) রোধে আমাদের যা করণীয়... (২)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কাফির-মুশরিকদের সাথে ‘বন্ধুত্ব’ আত্মঘাতী নীতি
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অসাম্প্রদায়িকতা এবং কাফির-মুশরিক-মুনাফিকদের ধোঁকাবাজি
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুসলমানদেরকে নিজের আসল ‘শত্রু’ চিনতে হবে
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানদের ঈমানী বিশ্ববিদ্যালয় কোথায়, কোথায় ঈমানী একাডেমী, কোথায় ঈমানী গবেষণাকেন্দ্র?
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রচলিত ‘জাতীয় সঙ্গীত’ পরিবর্তনের দাবির যৌক্তিকতা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তোমরা যারা দ্বীন ইসলাম উনাকে নিয়ে ব্যবসা করো...
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
অটো রিকশা বন্ধের আগে যে জিনিসগুলো বন্ধ করা উচিত
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
অটো রিক্সা বন্ধ নিয়ে কিছু কথা!
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)