ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর জিহাদ উনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা (পর্ব ৬)
, ০৩ মে, ২০২৩ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আইন ও জিহাদ
মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কয়েকজন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর ময়দানে সংবাদ সংগ্রহের জন্য পাঠিয়ে দেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর ময়দানে গিয়ে একটি পুরাতন কূপের নিকট দুইজন ক্রীতদাস দেখে তাদেরকে ধরে নিয়ে আসেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মাগরিব উনার নামায শেষ করে আনুষ্ঠানিকভাবে উভয় ক্রীতদাসকে জিজ্ঞাসা করেন, “কুরাইশরা এখন কোথায়? তারা বললো কুরাইশরা এখন (উদ্ওয়াতুল কুছওয়া) নামক স্থানে। অর্থাৎ কুরাইশরা “জুহফা” নামক স্থান থেকে রওয়ানা করে এখন (উদ্ওয়াতুল কুছওয়া) নামক স্থানে অবস্থান করছে। অর্থাৎ ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর ময়দানের সর্বশেষ প্রান্তে “আকানকাল” নামক বড় টিলার পিছনে অবস্থান করছে। জিজ্ঞাসা করা হলো: তারা কতজন? বললো তারা সংখ্যায় অনেক। পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হলো: তারা সংখ্যায় কতজন হবে? তারা উত্তর দিল: আমরা ঠিকভাবে বলতে পারবো না। জিজ্ঞাসা করা হয়, দৈনিক কতটি উট যবাই করা হয়? তারা উত্তর দিলো: একদিন ৯টি, আর একদিন ১০টি।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন: তাহলে তাদের সংখ্যা নয়শত থেকে ১ হাজারের মধ্যে হবে। সুবহানাল্লাহ্্!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা মুবারক করলেন, “কুরাইশ নেতাদের মধ্যে কে কে যুদ্ধে এসেছে? তারা বললো, “উতবা ইবনে রবীয়া, শায়বা ইবনে রবীয়া, আবুল বুখতারী ইবনে হিশাম, হাকীম ইবনে হিযাম, নাওফেল ইবনে খুয়াইলিদ, হারিছ ইবনে আমর ইবনে নাওফেল, নযর ইবনে হারিছ, যাময়া ইবনে আসওয়াদ, আবূ জেহেল ইবনে হিশাম, উমাইয়া ইবনে খলফ, নাবিয়া ইবনে হাজ্জাজ, আমর ইবনে আব্দে উদ, (হযরত সুহাইল ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) (শেষোক্ত দু’জন তখনও মুসলমান হন নাই)।
এরপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে লক্ষ্য করে ইরশাদ মুবারক করলেন, “তাহলে তো পবিত্র মক্কা শরীফ তার ক্বালবকে (হৃদয়কে) আপনাদের দিকে ছুড়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ সম্মানিত বদর জিহাদে ১৪ জন কুরাইশ নেতার মধ্যে ১১ জনই ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর জিহাদ উনার মধ্যে নিহত হয়।
আর কুরাইশদের অবস্থান সম্পর্কে খ¦লিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِذْ أَنْتُمْ بِالْعُدْوَةِ الدُّنْيَا وَهُمْ بِالْعُدْوَةِ الْقُصْوَى وَالرَّكْبُ أَسْفَلَ مِنْكُمْ
অর্থ: “আপনি স্মরণ করুন। যখন আপনারা ছিলেন উপত্যকার নিকট প্রান্তে। আর তারা (কুরাইশরা) ছিলো একটু দূরে অর্থাৎ ময়দানের সর্বশেষ প্রান্তে “আকানকাল” নামক টিলার পিছনে। আর কাফিলা ছিলো আপনাদের অপেক্ষা নিম্ন ভূমিতে”। (পবিত্র সূরা আনফাল: পবিত্র আয়াত শরীফ-৪২)
অর্থাৎ “আয় আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি স্মরণ করুন। যখন আপনারা ছিলেন উপত্যকার নিকট প্রান্তে অর্থাৎ ঐতিহাসিক সম্মানিত বদরের নিকটবর্তী সীমানায়। আর কুরাইশরা ছিলো একটু দূরে অর্থাৎ ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর ময়দানের সর্বশেষ প্রান্তে “আকানকাল” নামক যে বড় টিলা রয়েছে তার পিছনে। আর হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কাফেলা ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর ময়দান থেকে ৩ মাইল দূরে লোহিত সাগরের উপকূল দিয়ে দ্রুতগতিতে ফিরে যাচ্ছিল পবিত্র মক্কা শরীফ উনার দিকে। যা আপনাদের অপেক্ষা নিম্ন ভূমিতে।” অর্থাৎ সম্মানিত মুসলিম কাফিলা ঐতিহাসিক সম্মানিত বদরের নিকটে। আর কুরাইশরা বদরের সর্বশেষ প্রান্তে অর্থাৎ আকানকাল নামক টিলার পিছনে। এরপরেই নিচে নরম ভূমি এরপর বদরের বিশাল মাঠ। আর হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কাফেলা লোহিত সাগরের উপকূল দিয়ে দ্রুতগতিতে ফিরে যাচ্ছিল পবিত্র মক্কা শরীফ উনার দিকে। যা আপনাদের অপেক্ষা নিম্ন ভূমিতে।” (তাফসীরে মাযহারী)
এরপর খ¦লিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَوْ تَوَاعَدْتُمْ لَاخْتَلَفْتُمْ فِي الْمِيعَادِ وَلَكِنْ لِيَقْضِيَ اللَّهُ أَمْرًا كَانَ مَفْعُولًا لِيَهْلِكَ مَنْ هَلَكَ عَنْ بَيِّنَةٍ وَيَحْيَى مَنْ حَيَّ عَنْ بَيِّنَةٍ وَإِنَّ اللَّهَ لَسَمِيعٌ عَلِيمٌ
অর্থ: “যদি আপনারা পরস্পরের মধ্যে সম্মানিত জিহাদ সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত করতেন। তাহলে আপনাদের এই সিদ্ধান্তে ইখতিলাফ দেখা দিতো। কিন্তু বস্তুত যা ঘটারই ছিল, খ¦লিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্ পাক তিনি তা সম্পন্ন করার জন্য উভয় দলকে জিহাদের ময়দানে সমবেত করলেন। যে ধ্বংস হবে সে যেনো সত্য স্পষ্টভাবে প্রকাশের পর ধ্বংস হয় আর যে জীবিত থাকবে সে যেনো সত্য স্পষ্টভাবে প্রকাশের পর জীবিত থাকে। খ¦লিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্ পাক তিনি সবকিছু শোনেন এবং সবকিছুই জানেন”। (পবিত্র সূরা আনফাল: পবিত্র আয়াত শরীফ-৪২)
অর্থাৎ “যদি আপনারা পরস্পরের মধ্যে সম্মানিত জিহাদ সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত করতেন। তাহলে আপনাদের এই সিদ্ধান্তে ইখতিলাফ দেখা দিতো। একথার অর্থ হলো “হে সম্মানিত মুসলিম মুজাহিদ কাফিলা আপনাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্মানিত বদর জিহাদ সংঘটিত হয়নি। আপনারা একমত হয়ে এ রকম পরিকল্পনা করতে পারতেন না। মুশরিক কুরাইশরা ছিলো আপনাদের চেয়ে ৩ গুণ। তাদের যুদ্ধের আয়োজনও ছিল বিশাল। এই বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাদের মধ্যে ঘটতো চরম ইখতিলাফ। এরপর বলা হয়েছে কিন্তু বস্তুত যা ঘটারই ছিল খ¦লিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্ পাক তিনি তা সম্পন্ন করার জন্য উভয় দলকে ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর ময়দানে সমবেত করলেন। এ কথার অর্থ হলো খ¦লিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার উদ্দেশ্য মুবারক ছিলেন, সত্য ও মিথ্যা মুখোমুখি হোক। সত্য হোক বিজয়ী এবং মিথ্যা হোক পরাজিত। আর সমস্ত মাখলূক্বাত উনারা খ¦লিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছা মুবারক এবং পরিকল্পনা মুবারক কার্যকর করতে বাধ্য। তাই হয়েছিল, পূর্ব পরিকল্পনা ব্যতিরেকেই পরিপূর্ণ লোকবল ও অস্ত্রবল ছাড়াই সম্মানিত মুসলিম মুজাহিদ কাফিলা উপস্থিত হয়েছিলেন ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর ময়দানে। কেননা হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বাণিজ্য কাফিলাকে মুকাবিলা করাই ছিলো সম্মানিত মুসলিম মুজাহিদ কাফিলার উদ্দেশ্য। এভাবে ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর ময়দানে এসে উপস্থিত হতেই উনারা দেখতে পেলেন পূর্ণ রণ প্রস্তুতি নিয়ে অদূরে অবস্থান করছে মুশরিকদের বিশাল বাহিনী। অপরদিকে মুশরিকদেরও উদ্দেশ্য ছিলো না যুদ্ধ হোক। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বাণিজ্য কাফিলা রক্ষা করা। এভাবে অগ্রসর হতে হতে তারাও এসে দাঁড়ালো সম্মানিত মুসলিম কাফিলার মুখোমুখি। অবশেষে তাই ঘটলো, যা ঘটাতে চেয়েছিলেন খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং তিনি নিজেই।
খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি চেয়েছেন উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক সম্মানার্থে উনাকে সাহায্য করতে। তাই উনার পক্ষ থেকে প্রেরণ করেছিলেন সশস্ত্র হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে। খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি চেয়েছিলেন সমুন্নত হোক মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পতাকা। আরো চেয়েছিলেন মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শত্রুরা হোক লাঞ্ছিত ও অপমানিত। শেষ পর্যন্ত তাই ঘটেছিল, পূর্ণ হয়েছিলেন খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র ইরাদা মুবারক ও ইচ্ছা মুবারক।
এরপর বলা হয়েছে, “যে ধ্বংস হবে সে যেনো সত্য স্পষ্টভাবে প্রকাশের পর ধ্বংস হয় আর যে জীবিত থাকবে সে যেনো সত্য স্পষ্টভাবে প্রকাশের পর জীবিত থাকে।” এ কথার অর্থই হলো হক্ব-নাহক্ব, সত্য-অসত্যের পার্থক্যকে সুস্পষ্ট করার জন্য একটি জিহাদ ছিল অনিবার্য। সম্মানিত জিহাদে পরিপূর্ণ বিজয়ের মাধ্যমেই বিশ্বব্যাপী সকলের সামনে উদ্ভাসিত হয়ে উঠে সত্যের প্রকৃতিরূপ। তাই খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এইভাবে সত্যপন্থী এবং মিথ্যাপন্থী উভয় দলকে সশস্ত্র জিহাদ মুবারকে উপস্থিত করেছিলেন। আর এখানে ধ্বংস হওয়ার অর্থ হবে অবিশ্বাস বা কুফরীকে গ্রহণ করা। আর জীবিত হওয়ার অর্থ হবে মহাসম্মানিত ঈমান উনাকে গ্রহণ করা। কেননা মহাসম্মানিত ঈমান মুবারকই প্রকৃত জীবন। আর কুফরী হলো প্রকৃত ধ্বংস বা মৃত্যু। খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ভালো জানেন, কে ঈমান আনবে আর কে ঈমান আনবে না। অতএব, যে কাফের হতে চায় সে যেন হক-নাহক্ব স্পষ্ট হওয়ার পরই চিরস্থায়ী কাফের হয়। আর যে ঈমানদার হবে সেও যেনো হক-নাহক স্পষ্ট হওয়ার পরই ঈমানদার থাকে। (তাফসীরে মাযহারী)
খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকেই উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার সঠিক অর্থ উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন। আমীন!
-আল্লামা মুহম্মদ জাহাঙ্গীর হুসাইন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত জিহাদের ময়দানে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বীরত্ব মুবারক (২)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৬৩)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত জিহাদ মুসলমানদের একটি বিশেষ ফরয ইবাদত
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৬২)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত জিহাদ উনার ময়দানে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ একজন অপরজনকে প্রাধান্য দেয়ার বেমেছাল দৃষ্টান্ত মুবারক
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৮)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৬)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৭)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৫)
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৬)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)