ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর জিহাদ (পর্ব-২১)
, ০৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৩ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ২২ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আইন ও জিহাদ
পূর্ব প্রকাশিতের পর:
হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, বুখারী ও মুসলিম শরীফ উনাদের মধ্যে উল্লেখ আছে, বদর জিহাদে মুসলিম বাহিনী উনাদের পক্ষ থেকে হযরত হামযা আলাইহিস সালাম, হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজ্হাহু আলাইহিস সালাম, হযরত উবাইদাহ্ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের সম্পর্কে এবং কুরাইশদের পক্ষ থেকে উতবা, অলীদ ও শায়বা সম্পর্কে পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়।
যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ فَالَّذِينَ كَفَرُوا قُطِّعَتْ لَهُمْ ثِيَابٌ مِنْ نَارٍ يُصَبُّ مِنْ فَوْقِ رُءُوسِهِمُ الْحَمِيمُ
অর্থ: এই দুইটি বিবদমান পক্ষ তারা তাদের রব তা’য়ালা সম্পর্কে তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে বিতর্ক করে। যারা কুফরী করে, তাদের জন্য আগুনের পোশাক প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে। ” (পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-১৯)
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে উল্লেখ আছে هَذَانِ خَصْمَانِ (এই দুইটি বিবদমান পক্ষ) অর্থাৎ মু’মিন মুসলমানগণ উনাদের একটি পক্ষ আর কুরাইশদের একটি পক্ষ। মু’মিন মুসলমানগণ উনাদের একটি পক্ষ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো বদর ময়দানে মুসলিম বাহিনী উনাদের পক্ষ থেকে তিনজন বিজয়ী ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। আর কুরাইশদের একটি পক্ষ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, কুরাইশদের পক্ষ থেকে উতবা, অলীদ ও শায়বা।
اِخْتَصَمُوْا فِيْ رَبِّهِمْ)) তারা তাদের রব তা’য়ালা সম্পর্কে, তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে বিতর্ক করে) অর্থাৎ তারা তাদের রব তা’য়ালা উনার যাত পাক, ছিফাত পাক ও নির্দেশ মুবারক সম্পর্কে বিতর্ক করে। অথবা তারা তাদের রব তা’য়ালা উনার সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে বিতর্ক করে অর্থাৎ যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ্ পাক উনার রসূল হিসেবে মেনে নেয় না। এবং উনার উপর ওহী মুবারকের মাধ্যমে নাযিলকৃত সম্মনিত দ্বীন ইসলাম উনাকে সত্য হিসেবে মেনে নেয় না। বরং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং দ্বীন ইসলাম উনাকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য আগুনের পোশাক প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে।
হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজ্হাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “এই পবিত্র আয়াত শরীফ আমাদের সম্পর্কে এবং কুরাইশদের পক্ষ থেকে উতবা, অলীদ ও শায়বার সাথে আমাদের মোকাবিলা সম্পর্কে নাযিল হয়। অর্থাৎ উনারা যে বীরত্ব মুবারক প্রকাশ করেছেন সে প্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছে উক্ত পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ উনার ১৯ নং পবিত্র আয়াত শরীফ।
-আল্লামা মুহম্মদ জাহাঙ্গীর হুসাইন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের ফিরিস্তি (৭)
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৫)
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের ফিরিস্তি (৬)
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
২৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৪)
২৫ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের ফিরিস্তি (৫)
২৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের ফিরিস্তি (৪)
১৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৩)
১৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১২ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (২৩)
১২ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরীমূলক কাজের ফিরিস্তি (৩)
১০ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (২)
০৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)