এক ইহুদীর কুবুদ্ধিতে বাংলাদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ শুরু (১)
, ২৫ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৮ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আপনাদের মতামত
সম্প্রতি মার্কিন নীতি নির্ধারক কিসিঞ্জার মারা গেছে। একজন বাংলাদেশী হিসেবে তার নামটা শুনলে যে কথাটা সর্বপ্রথম মনে পরে সেটা হলো, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে বাংলাদেশকে সে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলো। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশকে কেন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে আখ্যায়িত করেছিলো কিসিঞ্জার? কি ছিলো তার উদ্দেশ্য?
এ উত্তর দেয়ার আগে প্রথমেই কিসিঞ্জারের পরিচয় সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক। কিসিঞ্জার হচ্ছে জার্মান ইহুদী। নাৎসীদের নির্যাতনে আমেরিকায় পালিয়ে আসা কিসিঞ্জার এক সময় বনে যায় আমেরিকার নীতি নির্ধারক। বর্তমান মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের পেছনে কিসিঞ্জারের ভূমিকা ব্যাপক। ইস্ট ব্লক থেকে চীনকে ভাগিয়ে আমেরিকার সাথে মৈত্রি স্থাপনের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়নকে একা করার অন্যতম কারিগর ছিলো সে। বেশ কয়েকজন আমেরিকান রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে এই ইহুদী।
মূলতঃ ১৯৭৪ সালে কিসিঞ্জার একটি পলিসি প্রণয়ন করে, যার উদ্দেশ্য ছিলো মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী করা। সেই পলিসির নাম - ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডি মেমোরেন্ডারম ২০০। এই পলিসিকে কিসিঞ্জার রিপোর্ট নামেও ডাকা হয়। এই পলিসির মূল কথা হচ্ছে, মার্কিন অর্থনৈতিক ও সামরিক স্বার্থ রক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যা বেড়ে গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হতে পারে। তাই এ পলিসি অনুসারে মার্কিন স্বার্থে ১৩টি রাষ্ট্রের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো বাংলাদেশ। মূলতঃ এই পলিসি বাস্তবায়ন করতেই সে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশকে জনসংখ্যার ভয় দেখায় এবং ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে জননিয়ন্ত্রণ করতে বলে।
ইহুদীদের একটি স্বভাব সবসময় মনে রাখবেন, সে নিজের প্রয়োজনটা অপরের প্রয়োজন হিসেবে দেখায়। তাদের প্রয়োজন আমেরিকার সম্র্যাজ্যবাদের বিস্তার ও সুসংহত করা। এজন্য তারা চাইছে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হ্রাস করতে। কিন্তু সেটা সে নিজ প্রয়োজন না বরং বাংলাদেশের প্রয়োজন হিসেবেই দেখাচ্ছে। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশকে অভাব থেকে বাঁচতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার কুবুদ্ধি দিচ্ছে। মূলতঃ তার বুদ্ধিতেই পরবর্তীতে বাংলাদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম গৃহিত হয়।
-রিফাত আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অমুসলিম-বিধর্মীদের নামে রাস্তা-ঘাটের নামকরণ এদেশের মুসলমানদের অপমান করার শামিল
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফিলিস্তিনি সংবাদ প্রচারে বাধা দিচ্ছে ফেইসবুক এরপরেও কী বিশ্ব মুসলিম ফেইসবুক বয়কট করবে না?
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গাজায় ইহুদীবাদী আগ্রাসন: আরব সরকারগুলো নীরব ও নিস্ক্রিয় থাকলেও ইহুদী পণ্য বর্জনের মাধ্যমে আরব মুসলিম নাগরিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হচ্ছে ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ‘সূ’ আহাজারীর কুফরী মন্তব্যের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সব ঈমানদারদের আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কনসার্ট, যাত্রা, সিনেমা ও জোকারী কায়দায় ওয়াজকারীদের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইসলামী মূল্যবোধ, আদর্শ ও ইতিহাস থেকে ভালো শাসক হওয়ার শিক্ষা নিতে হবে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কুখ্যাত জেনাখোর এবং জেনা করার জন্য ওয়াজকারী আমীর হামজা কী? তার ওস্তাদ তারেক মনোয়ারের কাছ থেকেই হারামের (ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী) দীক্ষা পেয়েছে?
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ইতিহাস, লুটপাটের ইতিহাস
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আইনি প্রেক্ষিত
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গণমাধ্যমে হেডিং হয়েছে, “..... সৌন্দর্য নিয়ে ওয়াজ; ক্ষমা চেয়ে আমির হামজা বললো ‘আমি সুস্থ না’” হক্কানী রব্বানী ওলীআল্লাহ বিরোধী হামজা গং ইলমে তাসাউফের বিরোধীতা করায় ওয়াজের গযবে- এখন জিনা করার জন্য ওয়াজ করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: কুয়েতে ঋণ নিয়ে নার্সসহ দেড় হাজার ভারতীয়ের পলায়ন অবিলম্বে সব মুসলিম দেশ থেকে ভারতীয় হিন্দুদের উচ্ছেদ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পশ্চিমা মিডিয়ার স্বাধীনতার নমুনা
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)