এক ইহুদীর কুবুদ্ধিতে বাংলাদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ শুরু (২)
, ২৬ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত
যাই হোক, বাংলাদেশকে ছাড়াও সে সময় একই কুবুদ্ধি কিসিঞ্জার চীনকেও দিয়েছিলো। কিসিঞ্জারের বুদ্ধিতে চীন ১৯৭৯ সালে ‘এক সন্তান নীতি’ নামক জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে একটি আইন প্রণয়ন করে। এ আইন অনুসারে চীনে কারো একটির বেশি সন্তান থাকতে পারতো না। একাধিক সন্তান হলে, বাবা-মাকে জরিমানার মুখে পড়তে হতো, চাকরি হারাতে হতো, এমনকি জোরপূর্বক গর্ভপাতও করতে হতো।
কিসিঞ্জারের বুদ্ধিতে ‘এক সন্তান নীতি’ গ্রহণ করে চীনের ক্ষতি হয়েছে, এটা বুঝতে চীনের ৩৭ বছর সময় লাগে। ২০১৬ সালে তাই দেশটি ‘এক সন্তান নীতি’ থেকে সরে আসে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের এ পলিসির কারণে চীনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্যের কাছাকাছি পৌছে। জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার জন্য যে পরিমাণ জন্মহার থাকা প্রয়োজন, দেশটির বর্তমান জন্মহার তার চেয়েও কম। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, এ নীতির কারণে দেশটিতে কমে গেছে যুবকদের সংখ্যা, অন্যদিকে বেড়েছে বয়সী মানুষের সংখ্যা। কর্মঠ মানুষ কমে পেনশন ভোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ এই সমস্যা আরো প্রকট, কারণ দেশের কর্মক্ষম মানুষের একটা বড় অংশ অবসরে চলে যাবে, কিন্তু সে অনুপাতে তরুণ প্রজন্ম আসবে না। এতে ভেঙ্গে পড়বে দেশটির অর্থনীতি।
বর্তমানে জনসংখ্যার হার বৃদ্ধির জন্য চীন বেশ উদ্যোগ নিয়েছে। অধিক সন্তনের জন্য পিতা-মাতার জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করেছে। বর্তমানে সন্তানের মা-বাবা হলে চীনে বেতনসহ ছুটি, কর ছাড় ও আর্থিক পুরস্কার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিশুকে লালন-পালনের জন্যও দেয়া হচ্ছে নানা রকম উৎসাহ ভাতা।
অর্থাৎ, বাংলাদেশ, চীনসহ বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কুবুদ্ধি দাতা ছিলো ইহুদী কিসিঞ্জার। তবে এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিলো, ঐ রাষ্ট্রের উন্নতি নয়, বরং আমেরিকার উন্নতি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কুবুদ্ধি যে এক ইহুদীর মাথা থেকে বের হয়েছিলো, এটা হয়ত অনেকেরই জানা নেই।
-রিফাত আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)