একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حضرت ثَوْبَانَ رضى الله تعالى عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوشِكُ الْأُمَمُ أَنْ تَدَاعَى عَلَيْكُمْ كَمَا تَدَاعَى الْأَكَلَةُ إِلَى قَصْعَتِهَا فَقَالَ قَائِلٌ: وَمِنْ قِلَّةٍ نَحْنُ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ بَلْ أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ كَثِيرٌ وَلَكِنَّكُمْ غُثَاءٌ كَغُثَاءِ السَّيْلِ وَلَيَنْزَعَنَّ اللَّهُ مِنْ صُدُورِ عَدُوِّكُمُ الْمَهَابَةَ مِنْكُمْ وَلَيَقْذِفَنَّ اللَّهُ فِي قُلُوبِكُمُ الْوَهْنَ فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا الْوَهْنُ؟ قَالَ حُبُّ الدُّنْيَا وَكَرَاهِيَةُ الْمَوْتِ
অর্থ: হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, খাদ্য গ্রহণকারীরা যেভাবে খাবারের পাত্রের চতুর্দিকে একত্রিত হয়, অচিরেই বিজাতিরা (কাফিররা) তোমাদের বিরুদ্ধে সেভাবেই একত্রিত হবে। একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, সেদিন আমাদের সংখ্যা কম হওয়ার কারণে কি এরূপ হবে? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, না তোমরা বরং সেদিন সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে; কিন্তু তোমাদের অবস্থা হবে প্লাবনের স্রোতে ভেসে যাওয়া আবর্জনার মতো। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের প্রতি ভয় দূর করে দিবেন, তিনি তোমাদের অন্তরে ‘ওয়াহান’ প্রবেশ করিয়ে দিবেন। এক ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্øাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ‘ওয়াহান’ কি? তিনি বললেন, ওয়াহান হচ্ছে দুনিয়ার মোহ এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করা। নাঊযুবিল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ : পত্রি হাদীছ শরীফ নং ৪২৯৭, দালায়েলুন নুবুওওয়াহ লিল বায়হাক্বী)
বর্তমান সময়ের সাথে উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা মিলে একেবারেই মিলে যাচ্ছে। বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে সমস্ত কাফিররা মুসলমানদের উপর যুলুম-নির্যাতন করার জন্য একত্রিত হচ্ছে। পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে মুসলমানদের উপর যুলুম করা হচ্ছেনা। কাফিররা চাচ্ছে মুসলমানদেরকে দুনিয়ার যমীন থেকে মিটিয়ে দিতে। যদিও এটা কখনোই সম্ভব না।
কিন্তু পৃথিবীতে এতো এতো মুসলমান থাকা সত্বেও তাদের মাঝে কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মুসলমানদের অন্তরসমূহ সত্যিই দুনিয়ার মুহাব্বতে গরক হয়ে আছে। এবং মৃত্যুকে তারা যেন ভয় পাচ্ছে। অথচ ঈমানদারদের জন্য মৃত্যু হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাত মুবারকে যাওয়ার সেতু স্বরূপ।
এই অবস্থা থেকে না উঠে আসলে মুসলমানরা কখনোই কামিয়াবী হছিল করতে পারবে না। আর এর জন্য প্রয়োজন হক্কানী আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করা। মহান আল্লাহ পাক সকলকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৫)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত ঈমান, আর উনাদের সমালোচনা করা লা’নতগ্রস্ত হওয়ার কারণ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন (৪)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা জায়েয নেই
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)