উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উস্কানি দিচ্ছে বিদেশী এনজিওগুলো
, ২৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩১ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি গোষ্ঠীগুলো উস্কে দেয়ার মূলে কাজ করছে বিদেশী কিছু সংস্থা, যেমন- জাতিসংঘ (ইহুদীসংঘ), ইউএনডিপি, কারিতাস, কেয়ার, আশা, সিসিডিবি’সহ আরো কিছু বিদেশী এনজিও। এরাই কুটবুদ্ধি ও কুপরামর্শ দিয়ে উপজাতি গোষ্ঠীগুলোকে ক্ষেপিয়ে রাখছে। এই উস্কে দেয়ার পেছনে উপজাতিদের মুলো দেখানো হয়- ‘তাদের জন্য আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করে দেয়া হবে’। কিন্তু বাস্তবে উপজাতিদের স্বার্থ এখানে মুখ্য নয়। মূল স্বার্থ পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের, যারা উপজাতি গোষ্ঠীগুলোকে শুধু ব্যবহার করছে তিন পার্বত্য জেলাকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে। কারণ বিশেষ ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানে কারণে তিন পার্বত্য জেলাকে আমেরিকার খুব খুব দরকার, তাই যেভাবেই হোক এই তিনি জেলাকে তাদের চাই চাই। এ প্রক্রিয়া চলে চার প্রকারে-
১. মগজ ধোলাই সম্পর্কিত পুশিং:
বিদেশী গোষ্ঠীগুলো উপজাতিদের কাছে গিয়ে সর্বদা কানপড়া দিতে থাকে- “তোমাদের বাংলাদেশের সাথে থেকে কি লাভ আছে? তোমরা নিজেরাই একটা দেশের জন্য চিন্তা করো, সেটা হবে তোমাদের রাজত্ব। সেখানে তোমরা যা খুশি তাই করতে পারবে। তোমাদের লোকবল আছে, সামর্থ্য আছে। অনেক এলাকায় ভূমি পাচ্ছে। তোমরাও চেষ্টা করলে পাবে। আমরা বাইরে থেকে তোমাদের সর্বপ্রকার সাহয্য করবো। ” এ ধরনের কানপড়া কিছু বিদেশী গোষ্ঠী সবসময় উপজাতি নেতাদের দিয়ে থাকে।
২. ফান্ডিং:
বাইরের এনজিও সংস্থাগুলো ফান্ড প্রবাহ দিয়ে মূল বিদ্রোহ জিয়িয়ে রাখে। এই ফান্ড প্রবাহ নানান জায়গায় হতে পারে। যেমন- বিভিন্ন উপজাতি নেতাদের কাছে, এনজিওতে ভালো চাকরি দিয়ে, আর্থিক অনুদানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে, ঘরবাড়ি বানিয়ে দিয়ে। এসব অর্থ প্রবাহের বিনিময়ে উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা হয়।
৩. মিডিয়ার সাহায্য:
সাম্রাজ্যবাদী (সিআইএ, র’ ও মোসাদ) অপশক্তি নিয়ন্ত্রিত কিছু মিডিয়া উপজাতি সন্ত্রাসীদেরকে এই উস্কানি দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে এ ধরনের মিডিয়ার মধ্যে নেতৃস্থানীয় হচ্ছে- ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ভোরের কাগজ, যায়যায়দিন। এরা অব্যাহতভাবে উপজাতিদের দেশদ্রোহী কাজে ফুয়েল দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে।
৪. অস্ত্র সাহায্য:
প্রতিবেশীসহ বাইরের কিছু দেশ থেকে উপজাতি সন্ত্রাসীদেরকে অস্ত্র সরবারাহ করে তাদের বিদ্রোহী মনোভাব ও স্বাধীন রাষ্ট্রের অলীক কল্পনা টিকিয়ে রাখা হয়েছে। যদিও কার্যক্রমটি সিআইএ ও মোসাদ নির্ভর। কিন্তু আমেরিকার তো বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত নাই। তাই ভারত ও মিয়ানমারের সহায়তায় তাদের সীমান্ত ব্যবহার করে উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কাছে মারণাস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।
তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে ইহুদীসংঘের সব সংস্থা এবং এনজিও’র কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
- হাসানুজ্জামান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ স্টাইলের শাসকগোষ্ঠী দিয়ে উন্নয়ন নয়, লুটপাটই হবে
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলমানরা তাদের সন্তানদের কি শেখাচ্ছে, কি শেখানো উচিত? (২)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)