ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদী চক্রান্তের মুখোশ উন্মোচন (পর্ব-৫)
, ২৬ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৯ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) বিজ্ঞান মুসলমান উনাদেরই অবদান
সুমহান ক্বওল শরীফ
نَـحْمَدُهٗ وَنُصَلِّـىْ وَنُسَلِّـمُ عَلـٰى رَسُوْلِـهِ الْـكَرِيْـمِ وَعَلـٰى وَالِـدَىْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّـمَ وَحَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْـمُؤْمِنِـيـْنَ عَـلَيْـهِـنَّ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ اَهْلِ بَيْتِهِ الْـكَرِيْـمِ عَلَيْـهِمُ السَّلَام
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَسْئَلُوْنَكَ عَنِ الْاَهِلَّـةِ ۖ قُلْ هِـىَ مَوَاقِيْتُ لِلنَّاسِ وَالْـحَـجِ ۗ
অর্থ : “ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার নিকট মানুষেরা চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে, আপনি জানিয়ে দিন, এটা হচ্ছে মানুষের জন্য ইবাদত উনার সময় নির্ধারক এবং সম্মানিত হজ্জ উনার সময় ঠিক করার মাধ্যম।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮৯)
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে বাঁকা চাঁদকে সময় নির্ধারণ করার মাধ্যম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অমাবস্যার চাঁদ, জোৎস্ন্যার চাঁদ, অর্ধ চন্দ্র, সূর্যাস্তের কিছু পূর্বে ডুবে যাওয়া চাঁদ, নির্দিষ্ট বয়সের চাঁদ এসবের উল্লেখ করা হয়নি। অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মনগড়া ব্যাখ্যা করে আজকাল ইহুদীদের মদদপুষ্ট খারিজী, রাফিজী, সালাফী, ওহাবী গং তাদের বানানো নিয়মে মাস গণনা করে যাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْـنِ عُـمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّـمَ اِنَّا اُمَّةٌ اُمِيَّةٌ لَا نَـكْـتُبُ وَلَا نَـحْسِبُ اَلشَّهْرُ هٰكَذَا وَهٰكَذَا وَهٰكَذَا وَعَقَدَ الْاِبْـهَامَ فِى الثَّالِثَةِ ثُـمَّ قَالَ اَلشَّهْرُ هٰكَذَا وَهٰكَذَا وَهٰكَذَا يَعْنِىْ تَـمَامَ الثَّلٰثِـيْـنَ يَعْنِىْ مَرَّةً تِسْعًا وَّعِشْرِيْـنَ وَمَرَّةً ثَلٰثِـيْـنَ.
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার উম্মত সহজ সরল। উনাদের জন্য মাসের হিসাব রাখা কষ্টকর হবে। তাই মাস হয় এই, এই, এইতে (এই বলে তিনি দুই হাত মুবারক তিনবার দেখালেন) এবং তৃতীয় বারে (এক হাত মুবারকের) বৃদ্ধা আঙ্গুল মুবারক বন্ধ রাখলেন (অর্থাৎ ঊনত্রিশ দিনে)। অতঃপর ইরশাদ মুবারক করলেন, মাস হয় এই, এই ও এইতে অর্থাৎ পূর্ণ ত্রিশ দিনে। অর্থাৎ একবার ঊনত্রিশ দিন আরেকবার ত্রিশ দিন দেখালেন।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
সুতরাং চন্দ্রমাস বা আরবী মাস ২৯ দিন অথবা ৩০ দিনে হয়ে থাকে। কোন মাসে যদি কোন কারণবশতঃ ২৯তম দিন শেষে সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা না যায় তবে উক্ত মাস ৩০ দিন পূর্ণ করার পর পরবর্তী মাস শুরু হবে।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْـرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّـمَ صُوْمُوْا لِرُؤْيَتِه وَاَفْطِرُوْا لِرُؤْيَتِه فَاِنْ غُـمَّ عَلْيْكُـمْ فَاَكْـمِلُوْا عِدَّةَ شَعْبَانَ ثَلَاثِـيْـنَ.
অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা রোযা রাখ (রমাদ্বান শরীফ উনার) চাঁদ দেখে এবং রোযা ভঙ্গ কর (শাওওয়াল শরীফ উনার) চাঁদ দেখে। যদি (২৯ তারিখ) মেঘ অথবা অন্য কোন কারণে তোমাদের প্রতি চাঁদ দেখা না যায় তবে শা’বান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।” (বুখারী শরীফ; মুসলিম শরীফ; মিশকাত শরীফ ১৭৪; শরয়ী তাক্বউইম-১৪৩৫ হিজরী, পৃষ্ঠা-৮)
প্রতি মাসেই চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া। প্রতি মাসেই মুসলমান উনাদের জন্য রয়েছে বিশেষ বিশেষ কিছু দিন এবং রাত। আর সে কারণে চাঁদ না দেখে মনগড়া তারিখে আরবী মাস শুরু করা কবীরা গুনাহ। এখানে একটি বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, প্রতি মাসেই চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া। কিন্তু সঠিক তারিখে মাস শুরু করা ফরয। কেননা সঠিক তারিখে মাস শুরু না হলে অনেক ফরয-ওয়াজিব ইবাদত পালনে ত্রুটি হবে। যেমন পবিত্র রোযা, পবিত্র হজ্জ, পবিত্র ছলাতুল ঈদাইন ইত্যাদি। কাজেই প্রতি মাসে নতুন চাঁদ তালাশ করা সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ওয়াজিবে কিফায়া। আর চাঁদ না দেখে মনগড়া তারিখে পবিত্র রোযা শুরু করা ও পবিত্র ঈদ পালন করা কঠিন কবীরা গুনাহ।
সউদী ওহাবী সরকারের বানানো মনগড়া ক্যালেন্ডারের অনুসরণের কারণে প্রতি বছর পবিত্র হজ্জ বাতিল হচ্ছে, পবিত্র রোযা নষ্ট হচ্ছে, পবিত্র ঈদ বাতিল হচ্ছে। সউদী আরব ছাড়াও অনেক মুসলিম দেশেও চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু হচ্ছে না। চাঁদের তারিখ হের-ফের করে সহজেই মুসলমানদের আমল নষ্ট করা যায়। তাই মুনাফিকদের সাথে নিয়ে কাফির-মুশরিকরা সারা বিশ্বে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করার সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত নির্দেশিত পদ্ধতির পরিবর্তে তাদের বানানো মনগড়া পদ্ধতি চাপিয়ে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে এখনও বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশের মুসলমানগণ সম্পূর্ণরূপে উদাসীন। মুসলমানদের আমল হিফাজতের জন্য, সচেতনতার জন্য আমাদের দেশে এবং বিদেশে চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে আরবী মাস শুরু করার অভিপ্রায় নিয়ে তৈরি করা হয়েছে আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি “রু’ইয়াতে হিলাল মজলিস”। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন রু’ইয়াতে হিলাল মজলিসের এই কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কবুল করেন। (আমীন)
“রু’ইয়াতে হিলাল মজলিস” গঠনের কারণ এবং “রু’ইয়াতে হিলাল মজলিস” কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম
চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা নিয়ে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে বেশ কিছু মাসয়ালা-মাসায়িল আলোচনা হয়েছে। তবে সকল আলোচনাই হচ্ছে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা এবং কোন মাসে কতজন দেখলে তা গ্রহণযোগ্য হবে সেসব প্রসঙ্গে। চাঁদের আলোচনায় কোন জটিলতা স্থান পায়নি। এর কারণ চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে বা কেউ তা পরিকল্পিতভাবে সৃষ্টি করতে পারে তা পূর্ববর্তী মানুষের অনুভূতিতেও জন্ম নেয়নি।
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো চাঁদের তারিখ একদিন হের-ফের করলেই মুসলমানদের অনেক আমল যেমন পবিত্র হজ্জ, পবিত্র ঈদ, বিশেষ দিন এবং রাত সমূহ যেমন পবিত্র শবে বরাত শরীফ, পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর শরীফ, পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ, পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ, পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইত্যাদি মহান দিন এবং রাত্রিগুলোর ফযীলত থেকে বিরত রাখা যায়। সে কারণেই কাফির-মুশরিকরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কিছু নামধারী মুসলমান মুনাফিক শাসকগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে সেই বিভ্রান্তি সারা পৃথিবীর মুসলমান দেশসমূহে ছড়িয়ে দিচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
পনের শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি তাদের ষড়যন্ত্রের এই মুখোশ উন্মোচন এবং সারা বিশ্বের মুসলমান উনাদেরকে সচেতন করার লক্ষ্যে চাঁদ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা, লেখালেখি, ওয়াজ-নছীহত এমনকি আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি গঠন করেছেন।
পূর্বে মুসলমানদের মধ্যে আরবী মাস গণনার প্রচলন ছিল। ফলে মাস শেষে অর্থাৎ ২৯তম দিনে সচেতনভাবেই চাঁদ দেখে আরবী মাস গণনা করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে যখন হিজরী তারিখ গণনার পরিবর্তে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের প্রচলন হলো তখন চাঁদ দেখার সচেতনতা জনসাধারণ থেকে কমে গেলো। তখন মুসলিম দেশগুলোতে সরকারি তরফ থেকে চাঁদ দেখার কমিটি গঠন করা হলো আরবী তারিখের হিসাব রাখার উদ্দেশ্যে। কিন্তু ১৯৪৮ সালের পর থেকে এই চাঁদ দেখা কমিটির চাঁদের তারিখ হিসাব রাখার পদ্ধতি এবং কমিটির সদস্যদের মানসিকতার মধ্যে একটি ব্যাপক পরিবর্তন আসলো। এই পরিবর্তনের নেপথ্য নায়ক ইহুদী মদদপুষ্ট সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার।
সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে মাসের ২৯তম তারিখে চাঁদ তালাশ করতে হবে। চাঁদ দেখা না গেলে মাস ৩০ দিনে পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু এই সহজ পদ্ধতি বাদ দিয়ে বিভিন্ন মুসলিম দেশে আরবী মাস গণনা শুরু হতে লাগলো বিভিন্ন মনগড়া পদ্ধতি অনুযায়ী।
বিভিন্ন অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ক্রাইটেরিয়া ব্যবহার হতে লাগলো মাস শুরুর ব্যাপারে। সউদী আরব, যে দেশের দিকে তাকিয়ে থাকে সমস্ত মুসলিম বিশ্ব তাদের ক্যালেন্ডার রচনা করার কর্তৃপক্ষ হচ্ছে ‘উম্মুল কুরা’। এই উম্মুল কুরা চাঁদ দেখে আরবী মাস গণনা না করে একটি নিজস্ব পদ্ধতি তৈরি করে নিয়ে সে অনুযায়ী মাস গণনা করে যাচ্ছে। অনেকের পক্ষেই বিষয়টি গ্রহণ করা কঠিন হলেও এটা সত্য সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে সঠিক তারিখে মাস গণনা না করার কারণে পবিত্র হজ্জসহ মুসলমানদের অনেক আমল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রতিবাদ করার কেউ নেই। আমরা আপনাদের ধারণা দেবার লক্ষ্যে নি¤েœ কয়েকটি ছক প্রকাশ করলাম।
একটি ছকে দেখা যাবে কিভাবে মুসলিম দেশগুলোতে চাঁদ দেখার সুন্নতী পদ্ধতি বাদ দিয়ে মনগড়া নিয়মে মাস গণনা হচ্ছে। আমাদের দেশেও আরবী মাস শুরু নিয়ে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করেছিল দেশের তথাকথিত এক মুফতী। সামগ্রিকভাবে সকল বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে দেশের মুসলমানদের আমলের সুবিধার্থে আরবী মাসের সঠিক তারিখ জানাবার উদ্দেশ্যে এই আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি ‘মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ গঠন করা হয়েছে। ১৪২৭ হিজরী সনের পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রু’ইয়াতে হিলাল মজলিসের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিকে এটি জাতীয় পর্যায়ে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।
রু’ইয়াতে হিলাল মজলিস কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম নিম্নে তুলে ধরা হলো-
১। দৈনিক পত্রিকাসমূহের মধ্যে একমাত্র বিশ্বে বহুল পঠিত দৈনিক আল ইহসান শরীফ পত্রিকাতেই রু’ইয়াতে হিলাল মজলিসের যিনি প্রতিষ্ঠাতা এবং পৃষ্ঠপোষক মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল উমাম, আওলাদে রসূল মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার চাঁদ সম্পর্কিত ক্বওল শরীফ হিসেবে ব্যানার হেডিং প্রকাশ করা হয়।
২। রু’ইয়াতে হিলাল মজলিসের যিনি সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নির্দেশে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এ নিয়মিত চাঁদ বিষয়ে লেখা প্রকাশিত হয়ে আসছে।
৩। চাঁদ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে ধারণা দেয়ার উদ্দেশ্যে রেসালা প্রস্তুত করা হয়েছে।
৪। সর্বপ্রথম হিজরী ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে।
৫। রু’ইয়াতে হিলাল মজলিস শরীয়তসম্মত পদ্ধতিতে চাঁদ দেখার প্রতিবেদন সংগ্রহ করে। বাইনোকুলার এবং টেলিস্কোপে চাঁদ দেখার প্রতিবেদন গ্রহণ করা হয় না।
৬। দেশের ৬৪টি জেলায় রু’ইয়াতে হিলাল মজলিসের প্রতিনিধি রয়েছেন যারা সম্মানিত শরীয়ত উনার পাবন্দ।
৭। রু’ইয়াতে হিলাল মজলিস বিভিন্নভাবে লেখা এবং ই-মেইলের মাধ্যমে সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছে ও করছে।
৮। আন্তর্জাতিক কমিটি হওয়াতে বিদেশী সদস্যদের প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয় এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।
৯। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এ আলাদা সময় সূচি প্রকাশ করতে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।
১০। বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার দিন-তারিখ বিশ্লেষণ কার্যক্রম নিয়ে থাকে।
১১। মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে চাঁদের উপর সিডি প্রকাশ করা হয়েছে।
১২। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে চাঁদ বিষয়ে পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে।
১৩। প্রামাণ্য চিত্রসহ চাঁদ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এবং হতে থাকবে।
১৪। সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের মাস গণনার পদ্ধতির ত্রুটির উপর প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়েছে।
১৫। বিশ্বে প্রথম নামাযের সময় সূচিতে ইশরাক, দুহা (চাশত) এবং তাহাজ্জুদ ওয়াক্ত সন্নিবেশন করা হয়েছে।
যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল উমাম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি যেহেতু রু’ইয়াতে হিলাল মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠাপোষক সেহেতু বিশ্বব্যাপী রু’ইয়াতে হিলাল মজলিসের গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক হারে বাড়ছে। প্রায় প্রতি মাসে বিশেষ করে যে সকল মাসগুলোতে ফযীলতপূর্ণ বিশেষ দিন এবং রাত থাকে সে দিন এবং রাতগুলো সঠিকভাবে পালন করার জন্য আমল করার জন্য, দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য-অগণিত মানুষ ফোনের মাধ্যমে সঠিক তারিখ জেনে থাকেন। ফলে রু’ইয়াতে হিলাল মজলিসের সদস্য হওয়া, মজলিসের কার্যক্রমে সহায়তা করা মূলত ছদকায়ে জারিয়ার কাজে সহযোগিতা করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে রু’ইয়াতে হিলাল মজলিসের কার্যক্রমে সফল ভূমিকা রাখার তাওফীক দান করুন। (আমীন)
বাঁকা চাঁদ বা হিলাল দেখার শর্তসমূহ
পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী আরবী মাসের ২৯তম দিনে চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিব। অমাবস্যার পর চাঁদ যখন দেখা যাওয়ার আকৃতিতে আকাশে উদয় হয় তখন তাকে ইংরেজীতে ক্রিসেন্ট (ঈৎবংপবহঃ) এবং বাংলায় বাঁকা চাঁদ বলে। এটিই হচ্ছে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে প্রথম চাঁদ, যাকে সম্মানিত ইসলামী পরিভাষায় ‘হিলাল’ বলে।
হিলাল বা বাঁকা চাঁদ কোন কোন চন্দ্রমাসে ২৯ দিন পূর্ণ হওয়ার পর প্রথম দেখা যায়। আবার কোন কোন চন্দ্রমাসে ৩০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর পশ্চিম আকাশে প্রথম দেখা যায়। পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী কোন চন্দ্রমাসে ২৯তম দিন শেষে আকাশ মেঘলা থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে সে মাসটি ৩০ দিন গণনা করে পরবর্তী মাস শুরু করতে হবে। আর মহাকাশ বিজ্ঞানের কিছু তথ্যের বা শর্তের মাধ্যমে ২৯তম দিন শেষে চাঁদ দেখতে পাওয়ার সম্ভাব্যতা বিষয়ে সহজেই জানা যায়। তবে উক্ত শর্ত পুরোপুরি মিলে গেলেও চাঁদ দেখতে পাওয়ার আগাম ঘোষণা দেয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত খালি চোখে চাঁদ দেখতে পাওয়া না যাবে। মহাকাশ বিজ্ঞানের শর্তগুলো কেবল চাঁদ দেখতে সম্ভাব্যতাকেই প্রকাশ করে, নিশ্চিত চাঁদ দেখা বুঝায় না। তাই, মহাকাশ বিজ্ঞান অনুযায়ী চাঁদ দেখা যাওয়ার আকৃতিতে পৌঁছলেও শুধু সে তথ্য অনুযায়ী আরবী মাস শুরু করা যাবে না। খালি চোখে অবশ্যই চাঁদ দেখতে হবে।
ক) চাঁদের বয়স : অমাবস্যার পর থেকেই চাঁদের বয়স বাড়তে থাকে এবং এক সময় দিগন্তরেখায় চাঁদ দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণভাবে ২৯তম দিন শেষে চাঁদ দেখতে পাওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ১৭ ঘন্টা থেকে ২৩ ঘণ্টা। আর সে কারণেই চাঁদ দেখতে পাওয়ার জন্যে অন্যান্য অনেক শর্তসমূহের মধ্যে চাঁদের বয়স একটি শর্ত।
খ) চন্দ্র-সূর্যের কৌণিক দূরত্ব : অমাবস্যার সময় চাঁদ-সূর্যের কৌণিক ব্যবধান শূণ্য ডিগ্রি। অমাবস্যার পর চাঁদ যত সরে আসতে থাকে সূর্যের সাথে তার কৌণিক ব্যবধানও বাড়তে থাকে। বর্তমানে বায়ুম-লের দূষণ, আলোর দূষণ এবং ধূলাবালির কারণে চাঁদ সূর্য থেকে ৯০-১২০ পর্যন্ত সরে আসার পর চাঁদ দৃশ্যমান হয়। এই পরিমাণ কোণ তৈরি করতে চাঁদের সময় লাগে প্রায় ১৭ থেকে ২৩ ঘণ্টা।
গ) চাঁদের উচ্চতা : খোলা মাঠের দিকে তাকালে যেখানে আকাশটা যমীনের সাথে মিশে গেছে বলে মনে হয়, সে স্থানটিকে দিগন্তরেখা বা উদয় রেখা বলে। যে চাঁদ সূর্যাস্তের সময় দৃশ্যমান হবে সাধারণতঃ সে চাঁদকে ৮০-১০০ উচ্চতায় বা তার চেয়েও অধিক উচ্চতায় অবস্থান করতে হয়। যদি সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্তরেখার ৮০-১০০ বা এর উপর অবস্থান করে, তাহলে সময়ের সাথে সাথে চাঁদ ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে থাকে এবং এভাবে নামতে নামতে কেবলমাত্র দিগন্তরেখা থেকে ৪০-৫০ উপরে অবস্থান করলে ২৯তম দিন শেষে চাঁদকে দেখা যায় বা দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঘ) চন্দ্রাস্ত ও সূর্যাস্তের সময়ের পার্থক্য : চন্দ্রাস্ত ও সূর্যাস্তের সময়ের পার্থক্য হয় যদি ৪২ মিনিট তবে প্রথম ১০ মিনিট এবং শেষ ১০ মিনিট চাঁদ দেখা যায় না। মধ্যবর্তী ২০ মিনিটের শেষ ১০ মিনিটের মধ্যে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং যখন চন্দ্রাস্ত এবং সূর্যাস্তের সময়ের পার্থক্য ৪২ মিনিট হয় তখন সময়কে ৪ ভাগ করে তৃতীয় ভাগে চাঁদ খোঁজার জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
বাঁকা চাঁদ দেখার জন্য সাধারণতঃ ১৫-৩৫ মিনিট ধৈর্য্য ধরতে হয়।
একবার দেখে ফেললে চোখ সরিয়ে নিয়ে আবার তা দেখতে হবে।
সব সময় না হলেও সচরাচর ২৯ দিনের চাঁদ হয় চিকন এবং অবস্থান করে দিগন্ত রেখার খুব কাছে এবং
৩০ দিনের চাঁদ হয় তুলনায় বড় এবং অবস্থান করে উচ্চাকাশে।
নিম্নে চাঁদ দেখার শর্তসমূহ ছকের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো :
চাঁদ দেখতে পাওয়ার কিছু শর্ত সূর্যাস্তের সময় অবস্থা
চাঁদের বয়স ১৭ থেকে ২৩ ঘণ্টা
চন্দ্র-সূর্যের কৌণিক দূরত্ব ৯০-১২০
চাঁদের উচ্চতা ৮০-১০০
চন্দ্রাস্ত-সূর্যাস্তের পার্থক্য কমপক্ষে ৪২ মিনিট
ঙ) আজিমাত (Ayimuth) : চাঁদ প্রতি মাসে একই স্থানে দেখা যায় না। পশ্চিমের ডানে ও বামে সরে সরে আসে। যখন আজিমাত ২৭০০ বলা হবে তা হবে সরাসরি পশ্চিমে। ২৭০০ এর বেশি আজিমাত হলে চাঁদ খুঁজতে হবে পশ্চিমের ডানে এবং ২৭০০ এর কম হলে চাঁদ খুঁজতে হবে পশ্চিমের বামে।
উপরোক্ত শর্তগুলো মেনে চাঁদ দেখতে পাওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করে কেবল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ওমান ২৯তম দিন শেষে চাঁদ তালাশের আয়োজন করে থাকে। বাকি অন্যান্য দেশ সম্মানিত শরীয়ত বিরোধী বিভিন্ন মনগড়া পদ্ধতিতে আরবী মাস গণনা করে থাকে। নিম্নে বিভিন্ন দেশের মনগড়া পদ্ধতিগুলো ছকের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো-
দেশ চাঁদ দেখার মনগড়া পদ্ধতি গ্রহণযোগ্যতা
সউদী আরব ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী আরব এ পর্যন্ত ৪টি মনগড়া পদ্ধতি ব্যবহার করেছে :
১. প্রথম মনগড়া পদ্ধতি (১৯৫০-১৯৭২ ঈসায়ী) : সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্তরেখার ৯০ উপরে অবস্থান করলে মাস শুরু করতো। সউদী আরব এই সকল মনগড়া পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে ৯৯ ভাগ সময়েই সঠিক তারিখে মাস শুরু হয় না।
দেশ চাঁদ দেখার মনগড়া পদ্ধতি গ্রহণযোগ্যতা
২. দ্বিতীয় মনগড়া পদ্ধতি (১৯৭৩-১৯৯৮ ঈসায়ী) : মধ্য রাতের পূর্বে অমাবস্যা সংঘটিত হলে পরের দিন থেকে নতুন মাস শুরু হতো। আবার সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স ১২ ঘণ্টার বেশি হলে নতুন মাস শুরু করতো।
৩. তৃতীয় মনগড়া পদ্ধতি (১৯৯৮/৯৯-২০০১ ঈসায়ী) : সূর্যাস্তের ১ মিনিট পরেও চন্দ্র অস্ত গেলে নতুন মাস শুরু করতো।
৪. চতুর্থ মনগড়া পদ্ধতি (২০০৩ ঈসায়ী-বর্তমান সময় পর্যন্ত) : যদি সূর্যাস্তের পর চন্দ্র অস্ত যায় এবং সূর্যাস্তের পূর্বে অমাবস্যা সংঘটিত হয়, তবে পরের দিন থেকে নতুন মাস শুরু করে।
সউদী আরব এবং তার অনুসরণকারী দেশ দেশের সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি সিদ্ধান্ত শরীয়তের অনুকূলে হলে গ্রহণযোগ্য নতুবা নয়।
আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া যে তারিখে জিরোমুন বা অমাবস্যা সংগঠিত হয় তার পরের তারিখ থেকে নতুন আরবী মাস গণনা শুরু। এ পদ্ধতিতে আরবী মাস সঠিক তারিখে শুরু হয় না।
মিশর সূর্য অস্ত যাওয়ার এক থেকে পাঁচ মিনিট পর চন্দ্র অস্ত গেলে নতুন মাস শুরু করে। সূর্য অস্ত যাওয়ার ১-৫ মিনিট পর অস্তমিত চাঁদ দৃশ্যমান হয় না।
উচুঁ অক্ষাংশের কিছু দেশ (সুইডেন, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড) চাঁদের বয়স ১৫ ঘণ্টা অথবা তার বেশি। চাঁদের বয়স ১৭ ঘণ্টার কম হলে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
দেশ চাঁদ দেখার মনগড়া পদ্ধতি গ্রহণযোগ্যতা
কোন কোন দেশে এ পদ্ধতি পূর্বে ব্যবহৃত হয়েছে সূর্য অস্ত যাওয়ার ৩০-৫০ মিনিট পর চন্দ্র অস্ত গেলে নতুন মাস নির্ধারিত হয়।
উচুঁ অক্ষাংশের দেশে সূর্য অস্ত যাওয়ার ১ ঘণ্টা পরেও চন্দ্র অস্ত গেলে সে চাঁদ দৃশ্যমান হয় না।
ইরাক ১. চাঁদের বয়স ১০ ঘণ্টার বেশি,
২. সূর্যাস্তের সময় কৌণিক দূরত্ব ৫০-এর বেশি,
৩. সূর্যাস্তের সময় দিগন্ত রেখায় চাঁদের উচ্চতা ৩০-এর বেশি,
৪. সূর্যাস্ত ও চাঁদের অস্তের সময়ের পার্থক্য ১২ মিনিটের বেশি। বয়স কমপক্ষে ১৭-২৩ ঘণ্টা হতে হবে। উচ্চতা ৮০-১০০ হতে হবে। কৌণিক দূরত্ব ৯০-১২০ হতে হবে। সময়ের পার্থক্য ৪০ মিনিটের বেশি হতে হবে।
কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন, তুরস্ক সউদী আরবকে অনুসরণ করে মাস গণনা করে। এটা শরীয়ত সম্মত পদ্ধতি নয়।
নিউজিল্যান্ড, সুরিনাম নিকটতম দেশকে অনুসরণ করে-
নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে, সুরিনাম গায়ানাকে। নিজ নিজ অঞ্চলে চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিব।
ক্যারাবিয়ান ও অনেক ইউরোপীয় দেশ প্রথম চাঁদ দেখতে পাওয়া মুসলিম দেশকে অনুসরণ করে মাস গণনা করে। এটা সঠিক পদ্ধতি নয়।
নাইজেরিয়া নির্দিষ্ট কোন পদ্ধতি অনুসরণ না করে বছর বছর মনগড়া নিয়মে মাস গণনা করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। বিভ্রান্তির নেপথ্যে রয়েছে উলামায়ে সূ এবং বিভ্রান্ত শাসকগোষ্ঠী।
লিবিয়া যদি ছুবহে ছাদিকের পূর্বে অমাবস্যা সংঘটিত হয় তবে নতুন মাস শুরু করে। এটা শরীয়ত সম্মত পদ্ধতি নয়।
দেশ চাঁদ দেখার মনগড়া পদ্ধতি গ্রহণযোগ্যতা
ওঝঐঘঅ- যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইসলামিক দল কম্পিউটারে চাঁদ দেখে মাস নির্ধারণ
এটা শরীয়ত সম্মত পদ্ধতি নয়।
কোন কোন দেশে পূর্বে ব্যবহৃত হয়েছে পালাক্রমে ২৯ ও ৩০ দিনে মাস নির্ধারণ এটা শরীয়ত সম্মত পদ্ধতি নয়।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর সূর্যাস্তের সময় চাঁদ ২০-র বেশি দিগন্ত রেখার উপর থাকলে, চাঁদের বয়স ৮ ঘণ্টা হলে এবং কৌণিক দূরত্ব ৩০-র বেশি হলে নতুন মাস শুরু করে। বয়স কমপক্ষে ১৭-২৩ ঘণ্টা হতে হবে। উচ্চতা ৮০-১০০ হতে হবে। কৌণিক দূরত্ব ৯০-১২০ হতে হবে। সময়ের পার্থক্য ৪০ মিনিটের বেশি হতে হবে।
যুক্তরাজ্যের একটি ইসলামিক দল কয়েকটি মাসে নিজের দেশে চাঁদ দেখা না গেলে আফ্রিকা এবং মরক্কোতে চাঁদ দেখা গেলে মাস গণনা করে। এটা শরীয়ত সম্মত পদ্ধতি নয়।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ওমান শরীয়ত গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি অনুযায়ী অর্থাৎ খালী চোখে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করে। একমাত্র শরীয়ত সম্মত পদ্ধতি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার কর্তৃক জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ প্রভূত ক্ষেত্রে সৌন্দর্য্য বর্ধন ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করণ (২)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার কর্তৃক জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ প্রভূত ক্ষেত্রে সৌন্দর্য্য বর্ধন ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করণ (১)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সম্মানিত মুকুটস্বরূপ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কায়রোর ‘দারুল হিকমাহ’
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সম্মানিত মুকুটস্বরূপ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
একাডেমিক লাইব্রেরি
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
একাডেমিক লাইব্রেরি
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্যক্তিগত পাঠাগার বা প্রাইভেট লাইব্রেরি
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্যক্তিগত পাঠাগার বা প্রাইভেট লাইব্রেরি
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মসজিদ গ্রন্থাগার
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলিম সোনালী যুগের পাঠাগার
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নুরুদ্দীন ইবনে ইসহাক আল-বিতরূজী
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)