ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুল মুসলিমীন, মুহ্ইউস সুন্নাহ, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র হাদীছ শরীফের সবচেয়ে উঁচু সনদ “ওয়াহ্দিয়্যাত”-এর দুর্লভ ও উন্নত তবক্বা বা স্তর নছীব হয়
, ২৯ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
উছূলে হাদীছ শরীফ তথা হাদীছ শরীফ উনার মূলনীতিতে উঁচু সনদের দিক থেকে ওয়াহ্দিয়্যাত একটি তবকা বা স্তর রয়েছে। আর ওয়াহ্দিয়্যাত ঐ সকল হাদীছ শরীফকে বলা হয় যাতে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারী কারো মাধ্যম ছাড়া সরাসরি কোনো হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেন। আর তা তখনই সম্ভব, যখন তিনি তাবিয়ী হবেন।
এই ওয়াহ্দিয়্যাত-এর দুর্লভ ও উন্নত তবক্বা বা স্তর ইমামুল মুহাদ্দিছীন, ইমামুল মুজতাহিদীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারই শুধু নছীব হয়েছে। অন্য কোনো ইমাম ও মুহাদ্দিছ উনাদের কারো ভাগ্যে জুটেনি। উনার এমনি সৌভাগ্য যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাঝে শুধুমাত্র একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মধ্যস্থতা রয়েছে। “জামিউল মাসানিদিল ইমামিল আ’যম-২/৩৫৩ পৃষ্ঠায়, গ্রন্থকার হযরত আল্লামা খাওয়ারেযমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন- ইমামুল মুহাদ্দিছীন, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছয় জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং একজন মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাদের থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করার সৌভাগ্য লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ। তা নিম্নরূপ-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ اَنس بِنْ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ جَابِر بِنْ عَبْدِ الله رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بِنْ اَبِىْ اَوْفٰى رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ عَائِشَةَ بِنْتِ عَجْرَدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ وَاثِلَةَ بْنِ الْاَسْقَعِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সনদের দ্বিতীয় প্রকার ‘ছুনাইয়্যাত’ যাতে ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে শুধু দুই ব্যক্তিত্বের মাধ্যম হয়েছেন। অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাবিয়ী থেকে শুনেছেন এবং তাবিয়ী ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে শুনেছেন। আর ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুনেছেন। একে উছূলে হাদীছ শরীফ উনার ইমামগণের মতে ‘ছুনাইয়্যাত’ বলা হয়। এটাও স্বীয় উঁচু সনদ ও মর্যাদার কারণে এক বিশেষ শান ও অবস্থান রাখে। আর এতে ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ব্যতীত সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম পর্যায়ের কোনো মুহাদ্দিছ ও ফক্বীহ এবং মুজতাহিদ বিদ্যমান নেই। এই ‘ছুনায়ী’ হাদীছ শরীফ বর্ণনার ক্ষেত্রে হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা ব্যতীত কোনো ইমাম অথবা মুহাদ্দিছ এমন নেই, যিনি এ তরীক্বায় রেওয়ায়েত করেন।
রেওয়ায়েতের প্রথম প্রকার ‘ওয়াহ্দিয়্যাত’ তো কোনো ইমাম ও মুহাদ্দিছ উনারা সে পর্যায়ে পৌঁছেননি। এ মর্যাদা শুধু সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারই সৌভাগ্য নছীব হয়েছে এবং মর্যাদা ও সম্মানে কেউ উনার সমপর্যায়ে পৌঁছতে পারেনি। কোনো মুহাদ্দিছ ও ফক্বীহ উনাদের এ দৌলত লাভ হয়নি। এখন দ্বিতীয় প্রকারের মাঝেও ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছাড়া ফিক্বাহ ও হাদীছ শরীফ উনাদের সমস্ত ইমামগণ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সমপর্যায়ে পৌঁছতে পারেননি এবং উনারা নিঃসন্দেহে অপারগ।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খেলাধুলা নাজায়িয ও হারাম হওয়া সম্পর্কে সম্মানিত ইসলামী শরীয়তের ফায়সালা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মানুষকে আমলের প্রতি নিরুৎসাহিত করতেই পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে মওজু-জয়ীফ ইত্যাদি অপপ্রচার করছে বাতিল ফিরক্বারা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
একটা আদেশ মুবারক অমান্য করে আরেকটা মান্য করা জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩০)
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মাজার শরীফে হামলাকারী বেয়াদব ও লানতপ্রাপ্ত
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে -৪
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৬)
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)