মন্তব্য কলাম
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
, ০২রা জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২০ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
‘বাংলাদেশের জন্য একটি স্থায়ী সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ২৩শে মার্চ মাসে রাষ্ট্রপতি ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করেন। আদেশ অনুসারে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সাবেক পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদে এ অঞ্চল থেকে নির্বাচিত সকল সদস্য (১৬৯+৩১০=৪৭৯ জন) নিয়ে এই গণপরিষদ গঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নিহত, স্বাভাবিক মৃত্যু এবং অন্য কারণে ৪৯ জন সদস্য বাদ পড়েন। বাকি ৪৩০ জন সদস্য নিয়ে গণপরিষদ গঠিত হয়। এদের মধ্যে মাত্র ৩ জন বাদে (২ জন স্বতন্ত্র ও ১জন ন্যাপ- মোজাফফর) বাকি সবাই আওয়ামী লীগদলীয়।
প্রসঙ্গত গঠিত এই গণ পরিষদ সম্পর্কে অনেক কঠিন ও সত্য সমালোচনা ছিলো। যা সে সময়ে মুজিব সরকারের আমলে চাপা পড়ে গেলেই ইতিহাসের নিরীখে তা জ্বলন্ত হয়ে উঠেছে এবং বর্তমানে সংবিধানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আইনী ভিত্তি তথা বৈধতায় নিরীখে সংবিধানকেই অবৈধ সংবিধান রূপে নির্নয় করতে হচ্ছে।
১৯৭২ এর ৬ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে দুই প্রাক্তন প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা আ.স.ম. আবদুর রব ও শাহজাহান সিরাজ বলেন, “পরিষদ-সদস্যের শতকরা নব্বই জনই যেখানে স্বাধীনতা-সংগ্রামের সাথে যুক্ত না থেকে আরাম-আয়েশে গা ভাসিয়ে দিয়ে এবং নানা ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন সম্পূর্ণ সময়টুকু ভারতে নির্লিপ্ত জীবন যাপন করেছে, সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের অধিকার সেই সব গণপরিষদ-সদস্যের আদৌ আছে বলে দেশবাসী মনে করেন না। ”
[সূত্র: ৭ অক্টোবর দৈনিক গণকণ্ঠ, ১৯৭২]
সংবিধান বিষয়ে তখনকার আরেকটি প্রভাবশালী দল মওলানা ভাসানীর ন্যাপও প্রশ্ন উত্থাপন শুরু করেছিল। এই দলটি ‘ভোটের আগে ভাত চাই’ শ্লোগান দিয়ে ১৯৭০ সালের সেই নির্বাচন বর্জন করে। মওলানা ভাসানী এবং তার গোত্রভুক্ত অনেকেরই রাজনৈতিক তৎপরতা বেশ আগে থেকেই স্বাধীন পূর্ববাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছিল। সে কারণেই তারা ইয়াহিয়া খানের অধীনে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। শুরুর দিকে গণপরিষদের সংবিধান প্রণয়নের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন না করলেও এবং নতুন সরকার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ প্রকাশিত ন্যাপের মুখপত্র সাপ্তাহিক হক কথায় ‘সংবিধান প্রণয়ন করিবে কাহারা’ র্শীষক নিবন্ধটিতে ইয়াহিয়া খানের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের ম্যান্ডেট নিয়ে বিজয়ী হওয়া ব্যক্তিদের স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের এখতিয়ার বিষয়ে প্রথম ইঙ্গিতপূর্ণ কথা তোলা হয়। [সূত্র: হককথার সবগুলো উদ্ধৃতি সাপ্তাহিক হক কথা সমগ্র থেকে গৃহীত। বিপুল জনপ্রিয় এই সাপ্তাহিকটি ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ হয়। ]
পরবর্তীতে হক কথার ১৪ জুলাই সংখ্যাটিতে আরও স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করে ‘গণপরিষদের আইনী ভিত্তি কোথায়’ শীর্ষক নিবন্ধটিতে বলা হয়:
‘জেনারেল ইয়াহিয়া খানের পাঁচ দফা শর্ত মেনে এই সদস্যরা নির্বাচনে গিয়েছিল। সেই নির্বাচনে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য জাতীয় পরিষদ তথা গণপরিষদ নির্বাচিত হয়েছিল, তৎসহ নির্বাচিত হয়েছিল প্রাদেশিক পরিষদ। পাকিস্তান কায়েম থাকাকালে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবার পর এই দুই সময়ের ব্যবধান মাত্র ৯ মাস হলেও রাজনৈতিক সচেতনতা, আশা-আকাক্সক্ষা ও মূল্যদানের দিক দিয়ে জনগণ অনেক এগিয়ে গেছে। ’
এরপর গণপরিষদ খসড়া সংবিধান উত্থাপন করলে মওলানা ভাসানী ও তার রাজনৈতিক দল ন্যাপ (ভাসানী) এর বিভিন্ন ধারার তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি গণপরিষদের বৈধতা নিয়ে আবারও সরাসরি প্রশ্ন তুললেন। ২০ অক্টোবর প্রবীণ মওলানা ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় আবারো বলেন:
‘বর্তমান গণপরিষদে ফ্যাসিস্ট ইয়াহিয়া সরকারের আইনগত কাঠামোর অধীনে নির্বাচিত সদস্যগণ ৬-দফা দাবী আদায়ের জন্য জনগণের ম্যান্ডেট পাইয়াছিলেন। সুতরাং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলির সম্মিলিত সংগ্রামে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় তাহাদের কোন অধিকার নাই। ’
গণপরিষদ সদস্যদের দেশব্যাপী নিপীড়ন, ত্রাণসামগ্রী চুরি, সম্পত্তি দখল, দুর্নীতিসহ নানান অপরাধমূলক তৎপরতার অজস্র সংবাদ প্রচারিত হওয়া শুরু হলে অচিরেই গণপরিষদের এই সদস্যদের সংবিধান প্রণয়নের নৈতিক অধিকারটি জনমনেও গুরুত্ব পেতে শুরু করে।
সম্ভবত এই বৈধতার প্রশ্নটিকে মওলানা ভাসানীই প্রথম এই দিক দিয়েও উত্থাপন করেন যে, এই গণপরিষদের সদস্যদের জনগণ নির্বাচিত করেছিল পাকিস্তানের কাঠামোর মাঝেই সীমিত সায়ত্ত্বশাসনের দাবি সম্বলিত ৬ দফার বাস্তবায়নের জন্য। ফলে বৈধতার প্রশ্নটিকে দুটি দিক থেকে ন্যাপের দুই অংশ থেকে উত্থাপন করা হয়। মোজাফফর সাহেব স্বাধীনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের চেতনার যে বিকাশ ঘটেছে, তার প্রতিফলন ঘটাবার জন্য নতুন করে গণপরিষদের নির্বাচনের অনুরোধ করেন। অন্যদিকে ভাসানী এই গণপরিষদ পাকিস্তানের কাঠামোর মাঝেই নতুন শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল, সেই দিকটি তুলে ধরেন। উভয় বক্তব্যেরই মূল সুর একই: স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত গণপরিষদটি স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের চেতনার বহিঃপ্রকাশ নয়।
বাংলাদেশের সংবিধান রচনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এই গণপরিষদের কোন আইনপ্রণয়নী ক্ষমতা ছিল না, মন্ত্রীসভার ওপর কোন নিয়ন্ত্রণ ছিল না, ছিল না সরকারের ব্যয়ের ওপরও কোন তদারকির ক্ষমতা। ফলে যে বিপুল বিস্তারী রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির লুণ্ঠন, অপব্যয় এবং তাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বৃদ্ধির কাজে বেপরোয়া ব্যবহার রুদ্ধ করার কোন আইনী ব্যবস্থা কিংবা জবাবদিহিতা আদায়ের উপায় প্রথম থেকেই ছিল না।
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাসের শুরুতেই আমরা একদিকে দেখব একদিকে বৃটিশ কায়দায় সংসদীয় সরকার গড়ে তোলার প্রকাশ্য ঘোষণা, আরেকদিকে ছিল চরমতম ব্যক্তিকেন্দ্রীক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রকাশ্য তোড়জোড়। গণপরিষদের সদস্যদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দান, এবং সেই মতপ্রকাশ মনমতো না হলে তা দলন। উপনিবেশিক ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা প্রাপ্ত হওয়া ভারত-পকিস্তানের তুলনায় যে বিপ্লবাত্মক চরিত্র রক্তক্ষয়ী একটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের গণপরিষদের থাকার কথা ছিল, তা তো হয়ইনি, আওয়ামী লীগের নিজেরই আয়ত্তে থাকা গণপরিষদের কাছ থেকেও তার স্বাভাবিক কর্তৃত্বটুকুও কেড়ে নেয়া হয়েছিল।
এছাড়া সংবিধান প্রণয়নের আগ পর্যন্ত আইন প্রণয়নের সকল ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছিল এককভাবে রাষ্ট্রপতির ওপর, যিনি আবার প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কোন কিছু করতে পারতেন না। এভাবে গণপরিষদ কার্যত রাষ্ট্রপতির (এবং রাষ্ট্রপতি আইনত প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই সকল কাজ পরিচালনা করতেন বলে প্রধানমন্ত্রীর) অধীনস্ত হল এবং সরকারের জবাবদিহিতা চাইবার মত কোন প্রতিষ্ঠান আর অবশিষ্ট থাকলো না।
গণপরিষদকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ তদারকি ক্ষমতা তুলে দেয়ার এই প্রস্তাব শেখ মুজিবুর রহমানের ক্রোধের উদ্রেক করবে। ঘটলোই ঠিক তাই। গণপরিষদের বিবরণীর ঠিক পরবর্তী অংশে আমরা পাই:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: মেম্বারদের আর একটা বিষয়ে হুঁশিয়ার করতে চাই। স্পীকার যখন কথা বলেন, তখন আর কোন মেম্বরের অধিকার নাই কথা বলার। বললে আপনি মেহেরবানি করে তাকে পরিষদ থেকে বের করে দিতে পারেন।
ওই শেষ। এই হুঁশিয়ারির পর আওয়ামী লীগের আর কোন সদস্য গণপরিষদের হাতে সার্বভৌম সংসদের ক্ষমতা তুলে দেয়ার প্রস্তাব কখনো আর তোলেননি। সুতরাং ইতিহাসের নিরীখে অভিজ্ঞমহল বর্ণনা করেন ৭২ এর সংবিধান রচনারই সত্যিকার সাংবিধানিক ভিত্তি ছিল না। যেমনটি নেই বর্তমান উপদেষ্টা সরকারেরও সংস্কার কমিশনের।
প্রসঙ্গত, ৭২ এর সংবিধানের প্রস্তাবনার শুরুতে ‘সর্বশক্তিমান, পরম দয়ালু, ক্ষমাশীলের নামে’ কথাগুলো যুক্ত করার প্রস্তাব করেন এ কে মুশাররফ হোসেন আখন্দ। তার যুক্তি ছিল, দেশের জনগোষ্ঠীর ৮৩ শতাংশ মুসলমান। যারা তাদের সব কাজ সর্বশক্তিমানের নামে শুরু করে। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা হলো দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান। তাদের দ্বীন ইসলাম ইসলামই ইনসাফের ব্যবস্থা। কাজেই বৈষম্য বিরোধী ইনসাফ কায়েম করতে হলে ইসলামের আলোকেই সংবিধান প্রনয়ন করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাপবিত্র রওজা শরীফ ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফের পবিত্র ভূমি জাজিরাতুল আরবকে অপবিত্র করে দিন দিন পরিণত করা হচ্ছে অবাধ পাপাচারের পঙ্কিলরাজ্যে নাউযুবিল্লাহ! কা’বা শরীফের আদলে তৈরি মঞ্চে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশন শো, উদ্দাম কনসার্ট, বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ কোটি টাকার ভারতীয় সিনেমার টিকিট; পালিত হচ্ছে হ্যালোইনও! নাউযুবিল্লাহ!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢেকে রাখলেই প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা (নাউযুবিল্লাহ) বোরকা পড়াকে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশ পর্দার আড়ালে নারীদের বন্দী, বৈষম্য এবং পিছিয়ে পড়ার অপবাদ দিলেও বাস্তবতা হচ্ছে গোটা ইউরোপ-আমেরিকায় নারীর প্রতি বৈষম্য হয়রানি, সহিংসতা, অত্যাচার আর ব্যভিচারের মাত্রা ভয়াবহ পশ্চিমাদের বোরকা নিষিদ্ধের প্রবনতা শুধুই ইসলাম আর মুসলিম বিদ্বেষ (পর্ব-১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চলচ্চিত্র নামক জাহান্নামী সংস্কৃতির ফাঁদে মুসলিম উম্মাহ। নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সিনেমার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিস্তার ঘটছে ইসলামোফোবিয়ার। পরকালের কথা স্মরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)