ইউরোপের ঐতিহাসিক গাজী হুসরেভ-বেগ মসজিদ
, ৩রা শাবান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৬ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ২৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১০ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) স্থাপত্য নিদর্শন
মসজিদের অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাজসজ্জার বেশিরভাগ মুরিশ স্থাপত্যশৈলী দ্বারা প্রভাবিত ও নির্মিত ছিল, যার কিছু নিদর্শন কেবল মসজিদের প্রবেশমুখের প্রবেশদ্বারে অবশিষ্ট রয়েছে। মসজিদের মূল ক্বিবলা দেয়ালে একপাশে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারকের ক্যালিগ্রাফি রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ১৫৩১ থেকে ১৫৩৪ খৃ: এর মধ্যবর্তী সময়ে গভর্ণর গাজী হুসরেব বেগ ঠিক এমনি আরেকটি মসজিদ সিরিয়ার ঐতিহাসিক আলেপ্পো নগরীতে নির্মাণ করেন স্থপতি মিমার সিনানের তত্ত্বাবধানে, যা আলেপ্পোর 'খসরুবিয়া মসজিদ' নামে সুপরিচিত। উল্লেখিত মসজিদ্বয়ের নকশা ও অবকাঠামো দেখতে প্রায় একই রকম অবকাঠামো দেখতে প্রায় একই রকম ।
গাজী হুসরেব বেগ তাঁর শাসনামলে উসমানীয় সালতানাতের প্রশাসক হিসেবে বসনিয়া-হারজেগোভিনার জনগণের কল্যাণে অতুলনীয় অবদান রেখে গেছেন- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দ্বীনী ও সামাজিক ক্ষেত্রে তাঁর এই বিশাল অবদানের কথা বসনিয়া-হারজেগোভিনার মানুষ আরো বহুকাল কৃতজ্ঞতার সাথে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী গাজী হুসরের বেগকে তাঁর অন্তিম ইচ্ছানুযায়ী এই মসজিদ চত্ত্বরেই ইন্তেকালের পর দাফন করা হয়েছে, তাঁর কবরের ফলকে কিছু কথা লেখা আছে, যা তিনি জীবিতকালে লিখে গিয়েছিলেনঃ সংকর্মের মাঝে সর্বাত্তম হচ্ছে সাদকায়ে জারিয়া। অর্থাৎ মানব কল্যানে এমন কিছু করা, যা থেকে মানুষ দীর্ঘকাল উপকৃত হতে পারে। তাই ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করে আমি এক মুহূর্তের জন্যও ভুলে যাইনি যে, আমি কোন কিছুর মালিক নই, বরং প্রকৃত মালিকের এক নগণ্য দাস মাত্র।
আমার বিবেচনায় এই অনুভূতি প্রকাশের সর্বোত্তম স্থান হচ্ছে মসজিদ, আর পন্থা হচ্ছে নামায। আর আমাদের সকলকেই কাল কেয়ামতের কঠিন সময়ে অনন্ত জীবনের ফায়সালার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। সেই কঠিন সময়ের অনুশিলন হিসেবে আমি দিবা-রাত্রি পাঁচওয়াক্ত তাঁর সামনে করজোড়ে দাঁড়াই, যাতে সেদিন তিনি আমার প্রতি দয়া করেন। মহান আল্লাহ পাক সেই কাঙ্খিত ক্ষমা ও সান্নিধ্য লাভের আশায় আমি মসজিদ নির্মাণ করলাম। এক নগণ্য দাস হিসেবে আমি মহান আল্লাহ পাক উনার কৃপাপ্রার্থী। সমাপ্ত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব ০৭)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হাজীগঞ্জ দুর্গ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব ০৬)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সুনামগঞ্জে কালের সাক্ষী শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পাগলা বড় মসজিদ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৫০০ বছরের ঐতিহাসিক নিদর্শন বাঘা শাহী মসজিদ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব ০৫)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব ০৪)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব ০৩)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব ০২)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব ০১)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৪০০ বছরের আলোচিত প্রাচীন স্থাপত্য তেবাড়িয়া জামে মসজিদ
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)