ইউরোপের ঐতিহাসিক গাজী হুসরেভ-বেগ মসজিদ
, ২৮শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২২ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ২০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) স্থাপত্য নিদর্শন

তুরস্কের উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় বায়েজিদের পৌত্র গাজী হুসরেব বেগ স্বীয় শাসনামলে বসনিয়া হারজেগোভিনা বাসীর জীবন মান উন্নয়নে ব্যপক জনকল্যাণমূলক কাজের উদ্যেগ গ্রহণ করেন। প্রচুর গৃহহীন মানুষকে তিনি স্বীয় অর্থে আবাসস্থল নির্মাণ করে দেন। মোটকথা জনকল্যাণে নিবেদিত " প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তাঁর অসামান্য অবদান ছিল। যেমন আজ থেকে প্রায় পাঁচশত বছর পূর্বে জনকল্যাণে তাঁর গড়া প্রতিষ্ঠানসমূহের মাঝে আজও বসনিয়া হারজেগোভিনায় তার অনেকগুলোই বিদ্যমান।
যেমন : ১. গাজী হুসরেব বেগ কিচেন (ফ্রি পান্থশালা)। ২. গাজী হুসরেব বেগ বাজার। ৩. গাজী হুসবের বেগ গণ-গ্রন্থাগার । ৪. কবরস্থান। ৫. গাজী হুসরেব বেগ খানকাহ। ৬. গাজী হুসরেব বেগ মাদ্রাসা। ৭. গাজী হুসরের বেগ হাসপাতাল। ৮. গাজী হুসরেব বেগ হাম্মামখানা ও ইস্তেঞ্জাখানা ইত্যাদি।
মসজিদের ইতিহাসঃ
মসজিদটি বসনিয়াতে উসমানীয় সালতানাতের শাসনামলে ৯৩৭ হিজরী সনে নির্মিত হয়েছিল। বসনিয়ার তৎকালীন উসমানীয় প্রশাসক গাজী হুসরেভ বেগ সারায়েভো শহরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। হুসরেভ বেগ-এর ওয়াকফের শহর উন্নয়নের পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় স্থান হিসেবে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এই মসজিদের স্থাপনায় একটি মক্তব এবং মাদরাসা (ইসলামী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়), একটি খিলানযুক্ত বাজার, একটি হাম্মামখানা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিখ্যাত মুসলিম স্থপতি মিমার সিনানকে এই মসজিদের মূল স্থপতির দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
রাজধানী সারায়েভোর ষ্টারী গ্রেড মিউনিসিপ্যালিটি অঞ্চলে অবস্থিত বেগ মসজিদ উসমানীয় সালতানাতের সোনালী যুগের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে আজও পূর্বের তুলনায় অনেকটা সীমিত পরিসরে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
১৮৯৮ সালে অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সা¤্রাজ্যের সময়কালে, বিশ্বের প্রথম মসজিদ হিসেবে গাজী হুসেরেভ-বেগ মসজিদে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়া হয় এবং আলোকসজ্জা করা হয়। চলবে.....
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
তাজ-উল-মসজিদ ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
টাইম ম্যাগাজিনের তালিকায় আশুলিয়ার জেবুন নেসা মসজিদ
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক চুনাখোলা মসজিদ
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (১৪)
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঐতিহাসিক বানিয়াবাসী মসজিদ (৩)
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঐতিহাসিক বানিয়াবাসী মসজিদ (২)
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঐতিহাসিক বানিয়াবাসী মসজিদ (১)
২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (১১)
২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঐতিহাসিক রোয়াইলবাড়ি দুর্গ (৩)
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (১০)
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঐতিহাসিক রোয়াইলবাড়ি দুর্গ (২)
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ঐতিহাসিক রোয়াইলবাড়ি দুর্গ (১)
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)