নির্মমতার ইতিহাস:
ইংরেজ ব্রিটিশ দস্যুদের অত্যাচারের সাক্ষী ডানলপের নীলকুঠি
, ৫রা রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২১ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পাঁচ মিশালী
ব্রিটিশ ইংরেজ শাসনামলে ইংরেজ দস্যুদের অত্যাচারের মধ্যে একটি হলো নীলচাষিদের ওপর নির্মম নির্যাতন। দেশের বিভিন্ন স্থানে এখনও সেই অত্যাচারের সাক্ষী হিসেবে টিকে আছে নীলকুঠির ধ্বংসাবশেষ।
জোর করে চাষিদের দিয়ে নীল চাষ করানো এবং চাষিদের ওপর নির্মম অত্যাচারের জন্য নীলকুঠিতে থাকতো আলাদা কক্ষ। মাদারীপুর সদর উপজেলায় এখনো টিকে আসে সেই দুঃসহ স্মৃতি বিজড়িত একটি নীলকুঠি। বর্তমান প্রজন্মের কাছে নীলকুঠি ইংরেজ শোষণের ইতিহাস বহন করে।
মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রাম। শিবচর-মাদারীপুর আঞ্চলিক সড়কের ছিলারচর থেকে আউলিয়াপুর গ্রামের জন্য আলাদা একটি গ্রামীণ সড়ক। ওই সড়ক দিয়ে একটু এগুলেই আউলিয়াপুর বাজার। বাজারের সঙ্গেই আছে নীলকুঠির (নীল তৈরির কারখানা) ধ্বংসাবশেষ। তৎকালীন ডানলপ নামে এক ইংরেজ দস্যু লুটেরার এ নীলকুঠির তত্ত¦াবধানে ছিলো। এজন্য ‘ডানলপের নীলকুঠি’ নামেই পরিচিত এ নীলকুঠি। তবে স্থানীয়দের মুখে ফিরতে ফিরতে আজ অনেকেই এটিকে ‘ঢলক সাবের’ নীলকুঠি ডাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইংরেজ শাসনামলে মাদারীপুরে নীলচাষের জন্য ‘নীলকুঠির’ নামে একটি খামার স্থাপন করে ইংরেজ দস্যু নীলকররা।
চাষাবাদের জন্য উর্বর ভূমি হওয়ায় সেসময় জেলার ছিলারচর ইউনিয়নের আউলিয়াপুর নামে এ গ্রামে নীলকরদের আস্তানা গড়ে ওঠে। ধারণা করা হয়, ১৮০০ সালের আগে আউলিয়াপুর গ্রামে নীল তৈরির এ খামারটি গড়ে তোলা হয়।
খামারের দেখভালের দায়িত্বে ছিলো ব্রিটিশ দস্যু ডানলপ। ১৮৪৭-৪৮ সালে নীল চাষের ফলে স্থানীয় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে নীল চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তারা। তখনই নির্মম ইংরেজ দস্যুদের অত্যাচার-জুলুমের শিকার হন কৃষকরা।
নীলকুঠির যতটুকুই এখন অবশিষ্ট রয়েছে, তা নিঃসন্দেহে একটি ইতিহাসের সাক্ষী। এ নীলকুঠির সঙ্গেই রয়েছে খ্যাতিমান আউলিয়া হজরত শাহ সুফী খাজা ইউসুফ শাহ আহসান রহমতুল্লাহি আলাইহি’র দরগা শরিফ। অযতœ-অবহেলায় এ দরগা শরিফটিও আজ জরাজীর্ণ।
বর্তমানে প্রায় বিলুপ্ত দস্যু ডানলপের নীলকুঠির পূর্ব দিকে রণখোলা, পশ্চিমে আউলিয়াপুর বাজার, উত্তরে কালীতলা ও দক্ষিণে আউলিয়াপুর দরগা শরিফ। রণখোলা নামক স্থানেই নীলকরদের সঙ্গে যুদ্ধ হলে পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায় এ এলাকার দস্যু নীলকর ও তার লোকজন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শীতে চোখের যত্ন
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাকাশ হতে আসা সংকেতের রহস্য উন্মোচন করল বিজ্ঞানীরা
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
চাঁদের পাশে ভেনাসের দুর্লভ দৃশ্য
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সোনালি অতীতের সাক্ষী চুনাখোলা মসজিদ
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চুলে ‘মধু’ ব্যবহার করলে যে সব উপকার পাবেন
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ার যত রেকর্ড
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শৈত্যপ্রবাহ কী? এটি কখন হয় ও কতদিন থাকে?
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহে বছর ও সময়ের হিসাব কেমন?
০৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শীতে শরীর গরম রাখতে খেতে পারেন যেসব খাবার
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আফ্রিকার মুসলিম প্রধান দেশগুলোর নাম ও সংখ্যা
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শীতে যে কারণে বাড়ে ফ্যাটি লিভার, সুস্থ থাকার উপায়
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)