আড়াই হাজার বছর ডুবে থাকা ‘শহরের’ অবাক করা গুপ্তধন
, ২০ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পাঁচ মিশালী
গ্রিস উপকূলে এথেন্সের কাছে সালামিস নামে একটি দ্বীপে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলো গ্রিসের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ১২ জন প্রতœতত্ত্ববিদ। উদ্দেশ্য ছিল, দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় খনন কাজ চালিয়ে ঐতিহাসিক নিদর্শন খুঁজে বের করা। তবে পানির নিচে সন্ধান মিলল প্রাচীন গুপ্তধন। আর তা নিয়ে গ্রিস জুড়ে হইচই পড়ে গেছে।
অনুসন্ধানে পানির নিচে মিলেছে ডুবে যাওয়া এক ভবনের। আর সেই ভবনে দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে থাকা গুপ্তধনেরও। গুপ্তধন এবং সমুদ্রের তলায় ডুবে থাকা ভবন নজর কেড়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ইতিহাসবিদদের।
এই গুপ্তধনের মধ্যে রয়েছে প্রায় ২ ডজন ব্রোঞ্জের মুদ্রা, ফুলদানি, মার্বেল টুকরো এবং সিরামিক টুকরা। মার্বেল শিল্পকর্মের মধ্যে দুটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
তবে দুটি মার্বেল পাথরই দীর্ঘদিন ধরে পানির নিচে থাকার কারণে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত। ওই প্রাচীন ডুবে যাওয়া ভবন কোন সময়ে তৈরি হয়েছিল এবং কারা সেই বাড়ি তৈরি করেছিল, তা নিয়ে গ্রিসজুড়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
গত বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রতœতাত্ত্বিকরা যে ভবনটি খুঁজে পেয়েছে, তাতে এক সময়ে বহু মানুষ বসবাস করত বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২২ সাল থেকেই সালামিস দ্বীপে খোঁজ চালাচ্ছিলো গ্রিসের সংস্কৃতি মন্ত্রকের গবেষকরা। খোঁজ চালাতে চালাতে সালামিসের পূর্ব তীরে ডুবুরিদের দল ওই প্রাচীন ভবনের অবশিষ্টাংশের খোঁজ পায়।
প্রাথমিকভাবে প্রতœতাত্ত্বিকরা সালামিস শহরের চারপাশে সমুদ্রের নিচে একটি প্রাচীরের ভগ্নাংশ আবিষ্কার করেন। মনে করা হয়েছিল, গ্রিসের প্রাচীন এই শহরকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করতে একসময় তা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, সেই প্রাচীর সমুদ্রগর্ভে চলে গিয়েছে। আবার ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, ওই প্রাচীরটি কোনো প্রাচীন দুর্গের অংশ ছিল। পরবর্তী সময়ে আরও খোঁজ চালিয়ে ওই বিশাল ভবনটি খুঁজে পায় প্রতœতাত্ত্বিকরা। প্রাচীন গ্রিসে এই ধরনের ভবনকে ‘স্টোয়া’ বলা হতো।
এই ধরনের ভবনগুলি সমুদ্রের তীরে তৈরি করা হতো। স্টোয়ার ছাদ মূলত খোলা এবং বিস্তৃত থাকত। সমুদ্রের ধারে এই ধরনের ভবনের ছাদগুলিতে বাজার বসত। বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাবেশের জন্যও ব্যবহৃত হত ভবনগুলি।
সালামিস দ্বীপ ইতিহাসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। ৪৮০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক-পার্সিয়ানদের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে এই সালামিস দ্বীপেই, যা ইতিহাসে ‘সালামিসের যুদ্ধ’ নামে পরিচিত। সেই যুদ্ধে জয় পেয়েছিল গ্রিস।
গ্রিসের সংস্কৃতি মন্ত্রকের মতে, সে দেশের প্রাচীন শহরের বিন্যাস এবং আবাসিক সংগঠন বোঝার জন্য স্টোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। সালামিসে যে স্টোয়া ভবনটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে সেটির দৈর্ঘ্য ১০৫ ফুট এবং প্রস্থ ২০ ফুট। সেই ভবনের মধ্যে সাতটি কক্ষের অবশিষ্টাংশ রয়েছে। কক্ষগুলির প্রত্যেকটিতে এখনও প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। এই কক্ষগুলির এক একটির ক্ষেত্রফল ১৫ বর্গ ফুটেরও বেশি।
আংশিকভাবে নিমজ্জিত ওই ভবন খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীর বলে মনে করছে ইতিহাসবিদদের একাংশ। তবে তা নিয়ে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। ওই ভবনের পাশাপাশি কোনো শহর উদ্ধার হয় কি না, তা নিয়েও গবেষণা চলছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শীতে শরীর ও ফুসফুস সুস্থ রাখবে যেসব সুপারফুড
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চাঁদ নিয়ে রহস্যের জট খুললো, জানা গেল ২৮৩ কোটি বছর আগের ঘটনার ব্যাখ্যা
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বদলে যাচ্ছে রসায়নের শত বছরের পুরনো সূত্র
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাতাস থেকে সরাসরি পুষ্টি পেতে পারে মানবদেহ : গবেষণা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উৎপাদন বাড়াতে ছাঁটাই করা হয় চা গাছ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্দি-কাশি দূর করতে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মধুর গুণাগুণ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সর্দি-কাশি দূর করতে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মধুর গুণাগুণ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশের যে গ্রামের জনসংখ্যা চারজন!
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ডাবের পানি খেলে শরীরে কি হয়? ডাবের পানির উপকারিতা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ধানের গোলা এখন কেবলই স্মৃতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
১০ হাজার ফুট ওপর থেকেও যেভাবে শিকার দেখতে পায় ঈগল
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওজন আর রক্তচাপ কমায় বিটের রস! বাড়ায় স্মৃতিশক্তি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)